কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কতকুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত জানতে চান? তাহলে আজকের এ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কুয়েত মধ্যপ্রাচ্যের একটি উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী দেশ। কুয়েতের মুদ্রার মান অনেক বেশি। বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ উন্নত জীবন যাপনের জন্য কুয়েতে পাড়ি জমাই।
কুয়েতে বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে যাই। আজকের এ
আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় হচ্ছে কুয়েতের ড্রাইভিং ভিসার বেতন এবং কুয়েতের আরো
অন্যান্য ভিসা সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক।
পেজ সূচীপত্রঃ কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
- কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
- কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা পাওয়ার উপায়
- কুয়েত ড্রাইভিং ভিসার সুযোগ সুবিধা
- কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- কুয়েতে সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বেতন কত
- কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে
- কুয়েত যেতে কত বয়স লাগে
- কুয়েত ড্রাইভিং ভিসার দাম কত
- কুয়েত ড্রাইভিং ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে
- বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে
- লেখক এর মন্তব্যঃ কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
যারা কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে চান তারা অনেকে জিজ্ঞেস করেন কুয়েত
ড্রাইভিং হিসেবে বেতন কত? কুয়েত একটি সমৃদ্ধশালী উন্নত মুসলিম দেশ সেখানে
প্রচুর পরিমাণে গাড়ি রয়েছে এজন্য কুয়েতে ড্রাইভিং কাজের চাহিদা অনেক
বেশি। কুয়েতে মুদ্রার মান অনেক বেশি এই জন্য অনেক মানুষ নিজের জীবনকে এবং
পরিবারকে সমৃদ্ধ করার জন্য কুয়েতে যেতে চাই। আপনি যদি ড্রাইভিং কাজে অভিজ্ঞ হন
এবং আপনার বৈধ লাইসেন্স থাকে তাহলে আপনি কুয়েত যেতে পারেন।
কুয়েতে ড্রাইভিং কাজের চাহিদা অনেক বেশি এবং বেতনও বেশি। কুয়েতে ড্রাইভিং কাজের
জন্য সর্বনিম্ন ৮০০০০ এবং সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা বেতন পাওয়া যায়। তবে এই বেতনের
পরিমাণটা নির্দিষ্ট নয় কেননা একেক জন ড্রাইভার এর কাজের সময় বা ধরন এক এক রকম
এদের জন্য বেতনও আলাদা এবং কাজের সময়ও আলাদা কেউ কাজ করে রাতের বেলা আবার কেউ
কাজ করে দিনের বেলা। যারা রাতে কাজ করে তাদের বেতন তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।
এছাড়াও সাধারণ ডিউটির পাশাপাশি আপনি ওভারটাইম করেও এখানে অনেক টাকা উপার্জন করতে
পারবেন। অভিজ্ঞ এবং দক্ষ ড্রাইভারকে বেশি মূল্যায়ন করা হয়। তাই আপনি যদি অনেক
বেশি উপার্জন করতে চান অবশ্যই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে কুয়েত ড্রাইভিং
ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাহলে সেখানে আপনি অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে
পারবেন।
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা পাওয়ার উপায়
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান অনেকে যারা কুয়েতের
ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য আগ্রহী। কুয়েতের ড্রাইভিং ভিসার জন্য আপনাকে
বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন কুয়েতে এজেন্সিতে খোঁজখবর নিতে হবে কেননা কুয়েতে সব
সময় ড্রাইভিং ভিসা দেওয়া হয় না। কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে
বাংলাদেশ থেকে ড্রাইভিং এর হেভি লাইসেন্স নিতে হবে।
সাধারণ কোন লাইসেন্স দিয়ে কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা পাওয়া খুব একটা সহজ হবে না।
এক্ষেত্রে আপনার যদি বাংলাদেশের বিআরটিসি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সার্টিফিকেট থাকে
তাহলে আপনার ভিসা পেতে সহজ হবে। ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে কুয়েত যাওয়ার পর সেখানেও
অনেক ধরনের স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স রয়েছে সেগুলো যদি আপনি করেন তাহলে আপনার
বেতন আরো বেশি হবে এবং আপনি সাধারণ বেতনের চাইতে আরো বেশি অর্থ উপার্জন করতে
পারবেন।
ভিসা প্রসেসিংয়ের সময় আপনাকে সতর্কভাবে কাজ করতে হবে যেন কোন প্রতারক চক্রের
ফাঁদে না পড়েন। যেটুক কুয়েত ড্রাইভিং ভিসার চাহিদা অনেক বেশি তাই প্রতারক
চক্ররাও অত পেতে বসে থাকে কিভাবে মানুষকে তাদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলবে। তাই
আপনাকে যেহেতু কোনো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে সে ক্ষেত্রে
সতর্ক থাকবেন। আপনাকে জাল ভিসাও দিতে পারে আপনি ভিসা পাওয়ার পর সবকিছু চেক করে
নিবেন।
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসার সুযোগ সুবিধা
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসার সুযোগ-সুবিধা কি এ বিষয়গুলো জানা দরকার কেননা আপনি যদি
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যান তাহলে সেখানে গেলে আপনি কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন
সেটা জানা থাকলে আপনার ভালো হবে। কুয়েত একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ এবং সেখানকার
আইন-শৃঙ্খলা ও নিয়ম-নীতি খুবই ভালো। সেখানে অন্যায়কে কোন প্রশ্রয় দেওয়া হয়
না। কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার সবচাইতে বড় সুবিধা হল বেতন।
আরো পড়ুনঃ কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়
অন্যান্য দেশে তুলনায় কুয়েতের ড্রাইভিং ভিসার বেতন অনেক বেশি। এজন্য বাংলাদেশ
থেকে অনেকে ড্রাইভিং পেশা হিসেবে বিদেশ গেলে কুয়েতেই যেতে চাই। কুয়েত খুবই
শান্তিপ্রিয় একটি দেশ যেখানে অন্যায় এবং সহিংসতার কোন প্রশ্রয় নেই। কুয়েতে
ড্রাইভিং ভিসার বেশ কয়েকটা ধরন রয়েছে। তার মধ্যে কোম্পানির ড্রাইভিং ভিসার
সুযোগ সুবিধা বেশি। আপনি যদি কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে অবশ্যই
কোম্পানির ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যাবেন।
কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ বিষয়টি অবশ্যই জানা দরকার যারা কুয়েত বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে যেতে চান। কেননা আপনি যদি জানতে পারেন যে কুয়েতে কোন কাজে চাহিদা বেশি তাহলে আপনার জন্য কুয়েত যাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে যে আপনি কোন কাজের ভিসা নিয়ে কুয়েত যাবেন। কুয়েত একটি সমৃদ্ধশালী উন্নত দেশ হয় অনেকে কুয়েত যেতে আগ্রহ পোষণ করে থাকেন।
কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জেনে এবং সেই কাজ সম্পর্কে দক্ষতা
অর্জন করে আপনি কুয়েত যাওয়ার জন্য আবেদন করবেন। কেননা দক্ষতা অর্জন করে গেলে
আপনি সেই কাজ করে সেখানে বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কেননা
দক্ষতার মূল্যায়ন সব জায়গায় বেশি। আপনি যে কাজের জন্য যাবেন সে কাজে যদি
আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনাকে মূল্যায়ন করা হবে বেশি এবং বেতনও
বেশি দেওয়া হবে।
তাই আপনি যদি অল্প সময়ে বেশি অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে কুয়েত যাওয়ার আগে
অবশ্যই কোন কাজে চাহিদা কুয়েতের বেশি আছে সে সম্পর্কে জানবেন এবং সেই কাজ
সম্পর্কে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে তারপরে কুয়েত যাওয়ার প্রসেসিং করবেন।
কুয়েতে সাধারণত ড্রাইভিং, ইলেকট্রিশিয়ান, কনস্ট্রাকশন, রেস্টুরেন্ট এর
সেফ, ক্লিনার, শপিং মল, রাজমিস্ত্রি ইত্যাদি কাজের চাহিদা বেশি।
কুয়েতে সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বেতন কত
কুয়েতের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বেতন কত সে সম্পর্কে জানা দরকার যারা কুয়েত যেতে চান তাদের জন্য। কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। অনেকেই জানে না কুয়েতের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বেতন কত? বিশেষ করে যারা কুয়েত যেতে চান তারা অবশ্যই কুয়েতের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বেতন সম্পর্কে জেনে নিবেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কুয়েতের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বেতন সম্পর্কে।
বর্তমানে কুয়েতের সর্বনিম্ন বেতন ৮০ দিনার যা বাংলা টাকায় হিসাব করলে ৩০ হাজার হয়। কেউ চাইলেও আপনাকে এর চেয়ে কম বেতন দিতে পারবে না। আর সর্বোচ্চ বেতন সেটা আপনার কাজের ওপর নির্ভর করবে এটা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। কারণ কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে তার মধ্যে একটি ভিসা হল ফ্রি ভিসা। যে ভিসাতে আপনার কাজের কোন উল্লেখ থাকে না।
আপনি কোন কাজ করবেন সেটা আপনি নিজে নির্বাচন করবেন এবং সে কাজ কতটা সময় ধরে করবেন সেটাও আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী।তাই সর্বোচ্চ বেতন আপনার কাজের উপর নির্ভর করবে আপনি যতক্ষণ কাজ করবেন সে অনুযায়ী বেতন পাবেন। তবে কুয়েতের সর্বোচ্চ বেতন হিসেবে ২৫০হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। তবে আপনি যে কাজের ভিসা নিয়ে যান না কেন সেই কাজে দক্ষতা অর্জন করে তারপরেই যাবেন তাহলে আপনার পক্ষে ভালো ইনকাম করা সম্ভব।
কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে
কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে এটা অনেকেই জানতে চান। এ বিষয়টা আসলে নির্দিষ্ট
করে বলা যায় না। কেননা কুয়েতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে এক এক ধরনের
ভিসার খরচ এক এক রকম হয়। এক্ষেত্রে আপনি যে ধরনের ভিসা নিয়ে যাবেন সেই অনুযায়ী
আপনার খরচ হবে। ভিসার খরচ আবার এজেন্সির ওপর নির্ভর করেও কম বেশি হয়। কেননা একেক
এজেন্সি এক এক রকম খরচ নেয়।
কুয়েত যেতে সাধারনত যে খরচ গুলো হয়ে থাকে তা হল ভিসা প্রসেসিং, মেডিকেল ফি,
প্রশাসনিক খরচ এবং আনুষঙ্গিক আরো কিছু খরচ রয়েছে। এসবগুলো মিলিয়ে আপনার কুয়েত
যেতে মোটামুটি ছয় থেকে আট লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। ভিজিট ভিসা বা স্টুডেন্ট
ভিসার খরচের চেয়ে ওর পারমিট ভিসার খরচ তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। ভিসার খরচ আবার
কখনো কখনো ভিসার মেয়াদের ওপরও নির্ভর করে কম বেশি হয়।
আরো পড়ুনঃ কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার কারণে কুয়েত যাওয়ার ভিসার খরচ বেশি হয়ে যায়। কম
খরচেও কুয়েত যাওয়ার উপায় আছে। সেটা হল যদি কুয়েতে আপনার কোন আত্মীয় বা
পরিচিত কেউ থাকে তাহলে তার মাধ্যমে যদি আপনি ভিসা সংগ্রহ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে
আপনি কম খরচে কুয়েত যেতে পারবেন। শুধুমাত্র প্লেন ভাড়া এবং আনুষঙ্গিক কিছু খরচ
করে আপনি এভাবে খুব সহজেই কুয়েত যেতে পারবেন।
কুয়েত যেতে কত বয়স লাগে
কুয়েত যেতে কত বয়স লাগে এটা অবশ্যই একটি জানার বিষয়। কেননা আপনি কুয়েত যেতে
চান অথচ সেখানে কত বয়স লাগে যাওয়ার জন্য সেটাই জানেন না তাহলে তো আপনি কুয়েত
যেতে পারবেন না। যে কোন দেশে কাজ করার জন্য সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হবে। ১৮ বছরের
আগে কাজ করলে সেটা শিশুশ্রম হিসেবে গণ্য হবে যেটা আইনত অপরাধ। তাই আপনাকে কুয়েত
যেতে হলে অবশ্য আপনার বয়স ১৮ এর উপরে হতে হবে। সর্বনিম্ন ১৮ বছর হলে আপনি কুয়েত
ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। কেননা কুয়েতে ২১ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মানুষদের কাজের জন্য উপযোগী মনে করা হয় এবং তাদেরকেই ভিসার জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কারণ এই বয়সের কর্মীদের জ্ঞান বুদ্ধি এবং শারীরিক শক্তির একটা ভারসাম্য থাকে বলে তারা মনে করেন। এর চেয়ে কম বয়স হলে জ্ঞান বুদ্ধির ঘাটতি থাকবে আর বেশি বয়স হলে শরীরের ক্ষমতা কমে যাবে।
তাই এই বয়সটাই কাজের জন্য উপযোগী বলে মনে করেন তারা। তবে ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে
বয়সের কোন সীমারেখা লাগেনা। যেকোনো বয়সে কুয়েত যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে
পারবে। এক্ষেত্রে বয়স ১৮ এর নিচে হলে অভিভাবকের অনুমতি পত্র লাগবে তাহলে যাওয়া
যাবে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে গেলে অবশ্যই আপনি ২১ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে
বিচার জন্য আবেদন করবেন তাহলে সহজে ভিসা পাওয়া যাবে।
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসার দাম কত
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসার দাম কত এই বিষয়টি অবশ্যই জানা দরকার যারা কুয়েত ড্রাইভিং
ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য। কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে
অবশ্যই আপনার একটি হেভি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। কুয়েতে ড্রাইভিং
কাজের চাহিদা অনেক বেশি সেজন্য ড্রাইভিং ভিসার দাম একটু তুলনামূলক বেশি। বর্তমানে
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসার দাম ৮ লক্ষ টাকার মত। প্রতিবছর ড্রাইভিং ভিসার
দাম পরিবর্তিত হয় কেননা দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে।
আপনি যদি কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে বাংলাদেশ থেকে অবশ্যই একটি
হেভি ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করবেন এবং ড্রাইভিং পেশায় ভালো দক্ষতা অর্জন করে
তারপর ভিসার জন্য আবেদন করবেন। বিদেশ যেহেতু আপনি যাবেনই টাকা উপার্জন করার জন্য
সেহেতু আপনি দক্ষতা অর্জন করে গেলে সেখানে ভালো পরিমান টাকা অর্জন করতে পারে না।
ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে কুয়েত যাওয়ার জন্য আপনি অবশ্যই একটি বিশ্বস্ত এজেন্সির
মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করবেন।
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে
কুয়েত ড্রাইভিং ভিজায় যেতে কত টাকা লাগে এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। যারা কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে চান তাদের অবশ্যই এ বিষয়টা জানা জরুরী। কেননা ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে কত টাকা লাগবে এ বিষয়টি যদি জানা না থাকে তাহলে বিভিন্ন প্রকার প্রতারণার শিকার হতে পারেন। বর্তমানে অনেক ভুয়া এজেন্সি মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার জন্য উৎপাতে বসে থাকে। তাই আপনাকে সতর্কতার সাথে জেনে নিতে হবে কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে গেলে আপনার কত টাকা লাগতে পারে।
কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার খরচ মোটামুটি ৮ লক্ষ টাকার মত। কিন্তু শুধু ভিসার খরচ দিয়েই তো আপনার কুয়েত যাওয়া হবে না এর জন্য ভিসা ছাড়াও আরো কিছু আনুষঙ্গিক খরচ আছে যেগুলো সব মিলিয়ে আপনার কুয়েত যেতে খরচ হতে পারে ১০ লক্ষ টাকা। আপনি যেহেতু কোন না কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন যেহেতু আপনার খরচ এর থেকে কম বেশি হতে পারে কেননা এজেন্সি অনুযায়ী খরচের পরিমাণ কিছুটা কম বেশি হয়।বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে এ বিষয়টি অনেকে জানতে চান যারা হয়ে
যেতে আগ্রহী। যারা প্রথম কুয়েত যেতে চাচ্ছেন তাদের মনে এ প্রশ্নটি বেশি
আসে। কেননা তারা যেহেতু প্রথম যেতে যাচ্ছেন তাদের কোন ধারণা নেই কতক্ষণ সময়
লাগে। কুয়েত মধ্যে প্রাচীর একটি অন্যতম ধনী এবং মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। এ
দেশটিতে যাওয়ার আগ্রহ অনেক মানুষের কেননা এদেশের মুদ্রার মান এবং জীবনযাত্রার
মান অনেক বেশি ভালো।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের দূরত্ব ৪২৮৬ কিঃমিঃ। বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার জন্য দুই ধরনের ফ্লাইট রয়েছে। একটি হলো ননস্টপ ফ্লাইট এবং আরেকটি হলো ওয়ানস্টপ ফ্লাইট। আপনি যদি ননস্টপ ফ্লাইটে যেতে চান তাহলে আপনার সময় লাগবে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা। আর আপনি যদি ওয়ান স্টপ ফ্লাইটে যেতে চান তাহলে আপনার সময় লাগবে ১২ থেকে ১৩ ঘন্টা। আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আপনি যেতে পারেন কোন ফ্লাইটে যাবেন।
লেখক এর মন্তব্যঃ কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত এ বিষয়ে উপরে অনেক কিছু আলোচনা করা হয়েছে আশা
করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা সেই সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। কুয়েত মধ্যপ্রাচ্যের
একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী এবং ধনী দেশ হিসেবে পরিচিত। এ দেশটিতে যাওয়ার আগ্রহ
অনেকেরই বেশি। কেননা কুয়েতের মুদ্রার মান অনেক বেশি। আমরা যেহেতু আমাদের জীবনকে
সমৃদ্ধ করার জন্য বিদেশ যেতে চাই তাই মুদ্রার মান হিসেবে আমরা অনেকেই কুয়েতকে
নির্বাচন করে থাকি।
কুয়েত যেমন ধনী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ঠিক তেমনি একটি শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র।
যেখানে কোন সহিংসতা বা দুর্নীতির সুযোগ নেই। আপনি আপনার জীবনকে উন্নত এবং সমৃদ্ধ
করার জন্য যদি বিদেশ যেতে চান তাহলে অবশ্যই কুয়েতকে নির্বাচন করতে পারেন কেননা
সবদিক থেকে কুয়েত একটি ভালো রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। আপনি যদি কুয়েত যাওয়ার
জন্য সিদ্ধান্ত নেন তাহলে উপরে যে সব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে সে বিষয়গুলো
ভালোভাবে খুঁটিনাটি জেনে তারপর সামনের দিকে অগ্রসর হবেন।
আর এস ড্রিমস ব্লগেনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url