কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার কার্যকরী উপায়
কলার উপকারিতা ও অপকারিতাকলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার কার্যকরী উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কলা যেমন একটি পুষ্টিকর হল তেমনি কলার খোসাও রূপচর্চার জন্য খুবই উপকারী। কলার খোসা দিয়ে বিভিন্নভাবে রূপচর্চা করা যায়।
কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করে আপনি কিভাবে আপনার ত্বককে আরো সুন্দর ও মসৃণ করে তুলবেন সে বিষয়ে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার কার্যকারী উপায়।
পেজ সূচীপত্রঃ কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার কার্যকরী উপায়
- কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার কার্যকরী উপায়
- কলার খোসার উপকারিতা
- কলার খোসার ব্যবহার
- কলার খোসা মুখে মাখলে কি হয়
- কলার খোসা দিয়ে চুলের যত্ন
- কলার খোসা দিয়ে দাঁতের যত্ন
- কলার খোসা দিয়ে সার তৈরি
- কলার খোসা খাওয়ার উপকারিতা
- কলার খোসার অপকারিতা
- লেখকের মন্তব্যঃ কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার কার্যকরী উপায়
কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার কার্যকরী উপায়
কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার কার্যকরী উপায় সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা নেই।
আমরা কম বেশি সবাই কলা খায় কিন্তু কলার খোসা যে আমাদের রূপচর্চার জন্য কতটা
উপকারি তা আমরা অনেকেই জানিনা সেজন্য আমরা কলা খাওয়ার পর কলার খোসা ফেলে দেই।
মুখে ছোট ছোট প্রাণ দূর করতে কলার খোসা খুবই কার্যকারী। আপনি যদি ব্রণের ওপর কলার
খোসার ভেতরের অংশটা হালকাভাবে কিছুক্ষন ঘুম আসেন তারপরে দেখবেন আপনার ব্রণ
অনেকটাই কমে যাবে।
ত্বকে মসৃণ করতে কলার খোসা খুবি উপকারি। আপনার ত্বক যদি খসখসে ও শুষ্ক হয় তাহলে
কলার খোসার ভেতরের অংশ মুখে কিছুক্ষণ মেসেজ করার পর হালকাভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে
তারপর দেখবেন আপনার ত্বক খুবই সুন্দর ভাবে মসৃন এবং মোলায়েম হয়ে গেছে। ত্বককে
প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর এবং মসৃণ করতে চাইলে নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহার করতে
পারেন।
কলার খোসার উপকারিতা
কলার খোসার উপকারিতা অনেক যা আমরা অনেকেই জানিনা। কলা যেমন একটি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর ফল তেমনি কলার খোসাও আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। কলার খোসা শুধু ত্বকের জন্য উপকারী এমন নয় কলার খোসার আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। দাঁতের যত্নেও কলার খোসার উপকারিতা রয়েছে। অনেকের দাঁতে হলুদ ভাব হয়ে যায় যা দেখতে অনেক খারাপ লাগে।
কলার খোসার ভিতরের অংশ দিয়ে যদি এই হলুদ দাঁতের ওপর কিছুক্ষণ ঘষা যায় তাহলে দাঁতের হলুদ ভাব অনেকটাই কমে যায়। কলার খোসায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। কলার খোসার সঙ্গে মধু মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে মাখলে মুখের বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর হয়। কলার পাশাপাশি কলার খোসাও আমাদের জন্য অনেক উপকারী।
কলার খোসার ব্যবহার
কলার খোসার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তাই কলা খাওয়ার পর আমরা যেখানে
সেখানে কলার খোসা ফেলে দেই। এভাবে যেখানে সেখানে কলার খোসা ফেলে দেওয়ার ফলে
দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই আসুন আমরা কলার খোসা ফেলে না দিয়ে এর ব্যবহার
সম্পর্কে জানি এবং কলার খোসা ব্যবহার করি।
আরও পড়ুনঃ শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির কার্যকারী উপায়
- কলার খোসা দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে সার তৈরি করা যায়। কাঁচা কলার খোসা পানিতে কিছুদিন ভিজিয়ে রেখে তা দিয়ে তরল স্যার তৈরি করা যায়। আর পাকা কলার খোসা রৌদ্রে শুকিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে কলার খোসার গুড়া স্যার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
- কাঁচা কলার খোসা রান্না করে খাওয়া যায় বা ভর্তা করেও খাওয়া যায়। কাঁচা কলার আয়রন রয়েছে যা রক্তশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে।
- দাঁতের যত্নেও কলার খোসা অনেক উপকারী। দাঁতের হলুদ ভাব কমাতে এবং দাঁত ব্যথা কমাতে কলার খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ত্বকের যত্নেও কলার খোসা ব্যবহার অনেক উপকারী। পাকা কলার খোসা এবং মধু একসঙ্গে পেস্ট করে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক অনেক মসৃণ ও সুন্দর হয়।
- ব্রণের দাগ দূর করতে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়। ব্রনের দাগের উপর কলার খোসা ঘষে সারারাত রেখে দিয়ে সকালে ধুয়ে ফেললে দেখবেন ব্রনের দাগ অনেকটাই কমে গেছে।
- এছাড়াও হঠাৎ করে পোকামাক করে কামড় দিলেও ওই জায়গায় চুলকায় এবং ব্যথা করে সেখানে কলার খোসা ঘষে দিলেও চুলকানি এবং ব্যথা কমে যাবে।
কলার খোসা মুখে মাখলে কি হয়
কলার খোসা মুখে মাখলে কি হয় এ বিষয়টি আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানি না। অনেকেই আছে
মুখে কেমিক্যাল যুক্ত কোন ক্রিম বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে চায় না তাদের
জন্য কলার খোসা ত্বক এর যত্ন নেওয়ার জন্য খুবই উপকারী একটি জিনিস। পাকা কলার
খোসা ব্লেন্ড করে এর সাথে মধু মিশিয়ে মুখে লাগালে মুখের টক অনেক সুন্দর ও মসৃণ
হয়। কলার খোসা এবং মধুর মিশ্রণে মুখের কালো দাগ দূর করে।
কলার খোসার সাথে হলুদ মিশিয়ে ব্যবহার করলেও ত্বকের জন্য অনেক উপকার পাওয়া যায়। কলার খোসা ব্লেন্ড করে তার সাথে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগালে মুখের ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর হয়। হলুদ প্রাকৃতিক এন্টিব্যাকটেরিয়াল। তাই কলার খোসা এবং হলুদের পেস্ট ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক এন্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার কার্যকরী উপায় জানা থাকলে আমরা সহজেই প্রাকৃতিক ভাবে রূপচর্চা করতে পারব।
কলার খোসা দিয়ে চুলের যত্ন
কলার খোসা দিয়ে চুলের যত্ন করা যায় যা আমাদের অনেকেরই অজানা। তাই
আসুন আজকে জেনে নিই কিভাবে কলার খোসা দিয়ে আমরা চুলের যত্ন করতে পারি। কলার
খোসাতে রয়েছে ফ্যাটি এসিড যা মাথার ত্বকে জমে থাকা ময়লা এবং খুশকি দূর করতে
সাহায্য করে। এছাড়াও কলার খোসাতে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ময়েশ্চারাইজার যা মাথার
ত্বক এর আর্দ্রতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অনেক উপকারী।
কলার খোসা চুলের কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে কলার খোসাকে
পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি ঠান্ডা করে একটি স্প্রে বোতলের মধ্যে ভরে চুলে স্প্রে
করলে কন্ডিশনারের কাজ করবে। কলার খোসা দিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে লাগালেও চুলের
জন্য অনেক উপকারী হয়। পরিমাণ মতো কলার খোসা নারিকেল তেল টক দই এবং গোলাপজল
একসাথে ব্লেন্ড করে একটি চুলের প্যাক বানাতে হবে।
সেই প্যাক ২০থেকে ২৫ মিনিট চুলে লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে দেখবেন আপনার চুল অনেক উজ্জ্বল এবং
মসৃণ হবে। কলার খোসা নিয়মিত চুলে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং চুল
লম্বা হয়। আপনি যদি প্রাকৃতিক ভাবে চুলকে মজবুত সুন্দর উজ্জ্বল এবং লম্বা করতে
চান তাহলে নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।
কলার খোসা দিয়ে দাঁতের যত্ন
কলার খোসা দিয়ে দাঁতের যত্ন কথাটা শুনতে অবাক লাগছে তাই না? কিন্তু অবাক লাগলেও
সত্যি যে কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার পাশাপাশি দাঁতের যত্ন করা যায়। দাঁতের হলুদ
ভাব দূর করতে কলার খোসার ভিতরের অংশ কিছুক্ষণ দাঁতের সাথে ঘষে নিয়ে তারপর
কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলতে হবে তাহলে দাঁতের হলুদ ভাব অনেকটাই কমে যাবে। এভাবে
নিয়মিত করলে দাঁতের হলুদ রং একসময় আর থাকবে না।
আরও পড়ুনঃ বিট রুট দিয়ে রূপচর্চা
কলার খোসাতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা দাঁতের ব্যাকটেরিয়া জনিত
ব্যথা হলে কলার খোসা ব্যবহার করলে সে ব্যথা থেকে উপশম পাওয়া যেতে পারে। কলার
খোসার বিভিন্ন মুখী ব্যবহার রয়েছে যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক উপকারী। তাই
আমরা সঠিকভাবে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারলে সেখান থেকে আমরা অনেক উপকার পেতে
পারি। কলার খোসার বিভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে জেনে আমরা কলার খোসা ব্যবহার করবো।
কলার খোসা দিয়ে সার তৈরি
কলার খোসা দিয়ে সার তৈরি করা যায় যা আমাদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি।
কলার খোসা দিয়ে যে শুধুমাত্র রূপচর্চায় করা যায় এমনটা না কলার খোসা দিয়ে সার
তৈরি করে আমরা সেই শার্ট দিয়ে আমাদের বাড়িতেই আমরা যেসব গাছ লাগিয়ে থাকি সে সব
গাছে এই কলার খোসা দিয়ে তৈরি সার ব্যবহার করতে পারি। কলার খোসা দিয়ে তৈরি
সারপ্রাকৃতিক সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কলার খোসা দিয়ে তৈরি সার ব্যবহার করে আমরা
রাসায়নিকমুক্ত ফল এবং সবজি পেতে পারি।
কলার খোসা দিয়ে দুই ভাবে সার তৈরি করা যায়। এক, কলার খোসা একসাথে অনেকগুলো
জমিয়ে কিছুদিন রেখে দিয়ে সেগুলো পচে গেলে সার তৈরি হয়। সেই সার আমরা গাছ
লাগানোর সময় মাটিতে মিশিয়ে গাছ লাগাতে পারি। দুই, আমরা কলার খোসা রৌদ্রে
শুকিয়ে সেগুলোকে গুড়ো করেও সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। এই কলার খোসার গুড়া
গাছের গোড়ায় কিছুদিন পরপর ছিটিয়ে দিয়ে পানি দিলে গাছ অনেক সুন্দর হয়।
কলার খোসা খাওয়ার উপকারিতা
কলার খোসা খাওয়ার উপকারিতা যে কতটা আমরা অনেকেই জানিনা জানলে আমরা কখনোই কলার
খোসা ফেলে দিতাম না। কলা যেমন একটি স্বাস্থ্যকর খাবার তেমনি কলার খোসাও একটি
স্বাস্থ্যকর খাবার। আমরা বেশিরভাগ মানুষ কলা খায় কিন্তু কলার খোসাটা ফেলে দিই।
কলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলকে
কমাতে সাহায্য করে। কলার খোসায় থাকা ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
এই উপাদান ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে থাকে। ফাইবার যেহেতু অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে সেহেতু কলার খোসাতে ফাইবার রয়েছে তাই কলার খোসা খেলে ওজন কমাতেও অনেক সহায়ক হয়। কলার খোসাতে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করা ছাড়াও কলার খোসা খেয়েও অনেক উপকার পাওয়া যায়।
কলার খোসার অপকারিতা
কলার খোসার অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার। কেননা যে কোন জিনিসের উপকারিতা
এবং অপকারিতা দুটোই থাকে। কলার খোসার যেহেতু অনেক উপকারিতা রয়েছে সেহেতু এর কিছু
অপকারিতাও রয়েছে যা আমাদের জেনে থাকা ভাল। কলার খোসা একটি প্রাকৃতিক জিনিস তাই
এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তবুও কোন জিনিস যদি বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা
যায় তাহলে সেটা থেকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কারো কারো ত্বকে এলার্জিজনিত সমস্যা থাকতে পারে সেক্ষেত্রে কলার খোসা ব্যবহার
করলে এলার্জি সমস্যা বাড়তে পারে। তাই যাদের অ্যালার্জি সমস্যা আছে তারা কলার
খোসা ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন। সে ক্ষেত্রে কলার
খোসা ব্যবহারে আপনার কোন আর ভয় থাকবে না। কলার খোসার কিছু অপকারিতা থাকলেও এর
উপকারিতাই অনেক বেশি। তাই আপনি পরিমাণ মতো নিয়ম করে কলার খোসা ব্যবহার করতে
পারেন।
লেখকের মন্তব্যঃ কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার কার্যকরী উপায়
কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার কার্যকরী উপায় সম্পর্কে উপরে অনেক কিছু আলোচনা করা
হয়েছে। আশা করছি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। আর্টিকেল এর মাধ্যমে
আপনাদেরকে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র যা পড়ে আপনারা কলার খোসা
সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেতে পারেন। কলার পাশাপাশি কলার খোসা আমাদের জন্য অনেক
উপকারী তাই আমরা কলা খেয়ে কলার খোসা ফেলে না দিয়ে সেটি সঠিকভাবে ব্যবহার
করবো।
কলার খোসা উপকারিতার চেয়ে উপকারিতা অনেক বেশি তাই আমরা যদি সঠিক নিয়ম মেনে সঠিক
ভাবে কলার খোসা ব্যবহার করি তাহলে সেখান থেকে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক
উপকার পেতে পারি। যত ভালো জিনিসই হোক না কেন অতিরিক্ত ব্যবহার ভালো ফলাফল বয়ে
আনে না। কলার খোসাও ঠিক তেমনি অতিরিক্ত কলার খোসা ব্যবহার করলে সমস্যা হতে পারে
তাই আমরা পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করবো।
আর এস ড্রিমস ব্লগেনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url