চুলের যত্নে জবা ফুলের উপকারিতা -জবা ফুলের তেল বানানোর পদ্ধতি

বিট রুট দিয়ে রূপচর্চাচুলের যত্নে জবা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আপনি কি আপনার চুলকে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর করতে চাচ্ছেন? আজকের আর্টিকেলে জবা ফুল দিয়ে কিভাবে চুলকে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর এবং মজবুত করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করা হবে।

চুলের-যত্নে-জবা-ফুলের-উপকারিতা

আপনি যদি আপনার চুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চান এবং চুলকে মজবুত ও ঘন উজ্জ্বল করতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন। তাহলে বন্ধুরা চলুন জেনে নেয়া যাক জবা ফুল দিয়ে চুলের যত্ন করে কিভাবে চুলকে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর করা যায়।

পেজ সূচীপত্রঃ চুলের যত্নে জবা ফুলের উপকারিতা

চুলের যত্নে জবা ফুলের উপকারিতা

চুলের যত্নে জবা ফুলের উপকারিতা বিষয়টি অনেকের জানা নেই। চুলের যত্নে জবা ফুল এবং জবা পাতা উভয় খুবই উপকারী। জবা ফুল এবং জবা পাতা দিয়ে আপনি চুলের যত্ন করলে আপনার চুল হয়ে উঠবে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর চুলের গোড়া হবে মজবুত এবং চুল হবে ঘন ও উজ্জ্বল। জবা ফুল চুল পড়া রোধ করে  চুলকে ঘন ও উজ্জ্বল করে। জবা ফুলে রয়েছে অ্যামিনো এসিড যা চুলের প্রয়োজনীয় উপাদান কেরাটিন উৎপাদনের সাহায্য করে।

জবা ফুল চুলের কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে কেননা এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিউ কলেজ যা চুলকে সিল্কিওর ঝরঝরে করতে সাহায্য করে। জবা ফুলে রয়েছে রঙ্গক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন যা চুল পাকা রোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অনেকের মাথায় খুশকি ও চুলকানির সমস্যা থাকে জবা ফুলের ফেস মাথার স্কেলপে লাগালে খুশকি এবং চুলকানির সমস্যা দূর হবে। জবা ফুলে এমন কিছু কুষ্টি উপাদান রয়েছে যেগুলো মাথার খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।

জবা ফুলের রস নিয়মিত চুলে ব্যবহার করলে চুলের আদ্রতা বজায় থাকে। চুলকে প্রাকৃতিকভাবে লম্বা ও ঘন করতে জবা ফুলের জুড়ি মেলা ভার। জবা ফুল নিয়মিত চুলে ব্যবহার করলে আপনার চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং চুল প্রাকৃতিকভাবে কালো ও লম্বা হবে। জবা ফুলে এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যে জন্য নিয়মিত চুলের যত্নে জবা ফুল ব্যবহার করলে চুল হবে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর উজ্জ্বল ঝলমলে কালো ঘন লম্বা।

জবা ফুল মাথায় দেওয়ার নিয়ম

জবা ফুল মাথায় দেওয়ার নিয়ম আমাদের বেশিরভাগ মানুষেরই জানা নেই। আমরা অনেকেই জানি জবা ফুল আমাদের চুলের জন্য উপকারী কিন্তু জবা ফুল কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এটা আমাদের কাছে অজানা। তাই চলুন আমরা জেনে নেই কিভাবে জবা ফুল মাথায় দিলে আমরা ভালো ফলাফল পাবো। জবা ফুল এবং পাতা দুটোই আমাদের চুলের জন্য উপকারী। জবা ফুল মাথায় দেওয়ার কতগুলো নিয়ম রয়েছে।

এ নিয়ম গুলো অনুসরণ করে আমরা যদি জবা ফুল মাথায় ব্যবহার করি তাহলে আমাদের চুল প্রাকৃতিকভাবে অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে। যেমন আপনি জবা ফুলের রস সরাসরি স্কেল পেয়ে এবং চুলে লাগিয়ে এক ঘন্টা রাখার পর শ্যাম্পু করে ফেলবেন। তাহলে আপনার চুলে কন্ডিশনার এর কাজ করবে। আবার আপনি সারারাত মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে জবা ফুল এবং মেথি একসাথে ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে মাথায় এবং চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে এক ঘন্টা রেখে তারপর কুসুম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

এভাবে হেয়ার প্যাক বানিয়ে চুলে লাগালে আপনার চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং চুল পড়া রোধ করবে। আবার জবা ফুল এবং জবা পাতা একসাথে ব্লেন্ড করে ট্যাগ বানিয়ে চুলে লাগালেও আপনার চুলের জন্য অনেক উপকারী হবে। এটি আপনার চুলকে প্রাকৃতিকভাবে কালো করতে সাহায্য করবে। তাই আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে চুলের যত্ন করতে চান তাহলে নিয়মিত জবা ফুল বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করুন দেখবেন আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর হয়ে উঠবে।

জবা ফুলের হেয়ার প্যাক ব্যবহার

জবা ফুলের হেয়ার প্যাক ব্যবহার কিভাবে করতে হয় এটি আমরা অনেকেই জানিনা। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে আমরা জবা ফুলের হেয়ার প্যাক ব্যবহার করবো। জবা ফুলে রয়েছে এমাইনো এসিড এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস যা চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে চুলকে করে তোলে ঝলমলে উজ্জ্বল ও সুন্দর। জবা ফুলের প্যাক ব্যবহার করলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুলের খুশকি দূর হবে সেইসাথে চুল লম্বা ও কালো হবে।

আরো পড়ুনঃ পেটের চর্বি কমানোর কার্যকারী উপায়

জবা ফুল এবং ডিম একসাথে ব্লেন্ড করে হেয়ার প্যাক তৈরি করতে পারেন। এটি চুলে লাগিয়ে এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। আবার জবা ফুল এবং এ্যালোভেরার পাতা একসাথে ব্লেন্ড করে হেয়ার প্যাক তৈরি করতে পারেন। এটি চুলে দিয়ে ৪০ মিনিট অথবা.১ ঘন্টা রাখার পর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়াও আপনি জবা ফুল এবং একটি মিডিয়াম সাইজের পেঁয়াজ একসাথে ব্লেন্ড করে সেটিও চুলের লাগিয়ে এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

এভাবে জবা ফুল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হেয়ার প্যাক বানিয়ে আপনি যদি চুলের নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর হবে আপনাকে আর বাজারের কেনা কেমিক্যালযুক্ত কোন পণ্য চুলের যত্নের জন্য ব্যবহার করতে হবে না। তবে এটি আপনি সাবধানতার সাথে করবেন পরিমাণ মতো এবং নিয়মিত যেন অতিরিক্ত কিছু ব্যবহার না হয়। অনেকে আছেন যারা চুলে কেমিক্যালযুক্ত পণ্য ব্যবহার করতে চান না তারা এভাবে জবা ফুল দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে চুলের যত্ন করতে পারেন।

জবা ফুলের তেলের উপকারিতা

জবা ফুলের তেলের উপকারিতা অনেক যা আমরা অনেকেই জানিনা। জবা ফুলের তেল বানিয়ে ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে, চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং চুল প্রাকৃতিকভাবে লম্বা হবে। জবা ফুলের তেল বানিয়ে মাথায় দিয়ে মেসেজ করলে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে যা চুলকে লম্বা হতে সাহায্য করবে। জবা ফুলের রয়েছে ভিটামিন সহ বিভিন্ন পোস্টে উপাদান যা চুলের জন্য খুবই উপকারী। অনেকে আছেন চুলের যত্নের জন্য কেমিক্যাল যুক্তপণ্য ব্যবহার করতে চান না তারা জবা ফুলের তেল বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

জবা ফুলের তেল বানিয়ে আপনি যদি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। অনেকেই রয়েছেন সারা বছর খুশকির সমস্যায় অস্থির হয়ে যান। যাদের এই খুশকি সমস্যা তারা জবা ফুলের সাথে অ্যালোভেরা পাতা একসঙ্গে বেটে তেল বানিয়ে সেই তেল মাথায় দিলে খুশকি সমস্যা আপনার অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। মোটকথা জবা ফুল এমন একটি ফুল যাতে চুলের এমন কোন সমস্যা নেই যে দূর হয় না।

জবা ফুলের তেল বানানোর পদ্ধতি

জবা ফুলের তেল বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের বেশিরভাগ মানুষের ধারণা নেই। কেননা আমরা সাধারণত বাজারের কেনার তেল ব্যবহার করতে অভ্যস্ত। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তেল বানিয়ে ব্যবহার করলে যে আমরা অনেক উপকার পেতে পারি এ বিষয়ে আমাদের বেশিরভাগ মানুষের ধারণা থাকে না। তাই চলুন আমরা আজকে জেনে নেই জবা ফুলের তেল বানানোর বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে। জবা ফুলের তেল বানানোর বেশ কয়েকটা পদ্ধতি রয়েছে।

চুলের-যত্নে-জবা-ফুলের-উপকারিতা

কয়েকটি জবা ফুল এবং জবা পাতা একসঙ্গে বেটে এক কাপ নারিকেল তেলের সাথে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিলে তৈরি হয়ে যাবে জবা ফুলের তেল যা আপনি গোসলের এক ঘন্টা আগে চুলে লাগিয়ে তারপর গোসলের সময় শ্যাম্পু করে নিবেন। আবার জবা ফুল এবং অ্যালোভেরা জেল একসাথে বেটে সেই পেস্ট এক কাপ তেলের মধ্যে দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিলেও হয়ে যাবে জবা ফুলের তেল বানানো। 

এছাড়াও আপনি জবা ফুলের বেশ কয়েকটি পাপড়ি অলিভ অয়েল এক কাপ নিয়ে তার ভিতর পাপড়ি গুলো দিয়ে বেশ কয়েক দিন রাখার পর সেই তেলও ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে জবা ফুলের তেল বানিয়ে আপনি যদি নিয়মিত মাথা এবং চুলে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুল কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে উঠবে প্রাকৃতিকভাবে ঘন, লম্বা এবং উজ্জ্বল। তাই যারা প্রাকৃতিকভাবে চুলকে সুন্দর করতে চান তারা এভাবে তেল বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

লাল জবা ফুলের উপকারিতা

লাল জবা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে সকলের ধারণা থাকা দরকার। কেননা আমরা জবা ফুল বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি এজন্যই যে জবা ফুল অনেক উপকারী। কয়েক রঙের জবা ফুল রয়েছে। তার মধ্যে লাল জবা ফুল হচ্ছে অন্যতম। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা বেশিরভাগ সময় লাল জবাফুলই ব্যবহার করে থাকি। লাল জবা ফুলে রয়েছে সবচাইতে বেশি পুষ্টিগুণ। তাই আপনি চুলের যত্নে জবা ফুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে লাল জবা ফুলই ব্যবহার করবেন।

আরো পড়ুনঃ শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির কার্যকারী উপায়

লাল, সাদা, গোলাপি, কমলা ইত্যাদি বিভিন্ন রঙের এবং বিভিন্ন জাতের জবা ফুল পাওয়া যায়। এতগুলো রঙের জবা ফুলের মধ্যে লাল রঙের জবা ফুলি সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এই লাল ফুল দিয়েই চুলের যত্নে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়। অনেকের চুলে অকালে পাক ধরে এ অকালপক্কতা দূর করতে লাল জবা ফুল দিয়ে আপনি চুলের যত্ন নিলে আপনার চুলের অকালপক্কতা দূর হবে। আপনার চুলের যেকোনো যত্নের জন্য আপনি নিশ্চিন্তে লাল জবা ফুল ব্যবহার করতে পারেন।

পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা

পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হবেন। জবা অত্যন্ত পরিচিত একটা ফুল এবং আমরা সচরাচর জবাব ফুল দেখতে ্পায়। জবা ফুল সচরাচর আমরা দেখতে পেলেও জবা ফুলের বিভিন্ন ঔষুধি গুন সম্পর্কে আমাদের সকলের ধারণা নেই। জবা ফুলের বিভিন্ন জাত রয়েছে যেমনঃ জবা, রক্ত জবা, পঞ্চমুখী জবা, মরিচ জবা, ঝুমকো জবা ইত্যাদি। পঞ্চমুখী জবা বিভিন্ন ভেষজ ওষুধ হিসাবে কাজ করে।

হাতের তালুতে চামড়া ওঠা, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, অতিরিক্ত ঋতুস্রা্ব, বমি বমি ভাব কমাতে ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধানে পঞ্চমুখী জবা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। হাতের তালুতে চামড়া উঠলে পঞ্চমুখী জবার পাপড়ি হাতের তালুতে ঘষলে চামড়া ওঠার সমস্যা অনেকটা দূর হয়ে যায়। অনিয়মিত ঋতুস্রাব এর ক্ষেত্রে পঞ্চমুখী জবার কুড়ি এবং দারুচিনি একসাথে বেটে কয়েকদিন শরবত করে খেলে এ সমস্যা থেকে নিরাময় মিলে।

জবা ফুলের রস খেলে কি হয়

জবা ফুলের রস খেলে কি হয় এ বিষয়টি আমাদের সকলের জানা দরকার। কেননা জবা ফুল সব জায়গায় পাওয়া যায় এবং এর উপকারিতা অনেক। আমরা যদি এর রস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানি তাহলে এটি ব্যবহার করে আমরা নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারি। জবা ফুলের রস ওজন কমাতে সাহায্য করে। জবা ফুলের পাপড়ি দিয়ে আপনি চা বানিয়ে খেতে পারেন এটি খেলে আপনার ক্ষুধা কমে যাবে যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

চুলের-যত্নে-জবা-ফুলের-উপকারিতা

জবা ফুলে রয়েছে আয়রনের মত উপাদান যা আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। আপনাদের যাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা রয়েছে তারা নিয়মিত ভাবে পরিমাণ মতো জবা ফুলের রস খেতে পারেন তাহলে রক্তের স্বল্পতার সমস্যা অনেকটা দূর হবে। জবা ফুলে রয়েছে অ্যান্টি এজিং উপাদান যা আপনার বয়সের ছাপ দূর করবে। আপনি যদি নিয়মিত জবা ফুলের জুস খেতে পারেন তাহলে আপনার বয়স বাড়ার প্রবণতা কিছুটা কম হবে।

জবা ফুল দিয়ে রূপচর্চা

জবা ফুল দিয়ে রূপচর্চা করলে আপনার চেহারা প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর হবে। জবা ফুল যে শুধুমাত্র চুলের যত্নে বা স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে এমন না জবা ফুল দিয়ে রূপচর্চায়ও বেশ উপকারিতা পাওয়া যায়। কর্মব্যস্ত জীবনে আমরা আমাদের ব্যস্ততার কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলি এবং ত্বক হয়ে উঠে মলিন। জবা ফুলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার ত্বকের ওপেন পরসকে সংকুচিত করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এবং ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করে।

জবা ফুলের পাপড়ি দিয়ে বিভিন্নভাবে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগাতে পারেন এতে আপনার ত্বক প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বল এবং মসৃণ হবে। যেমনঃ জবা ফুলের পাপড়ির সাথে টক দই, চালের গুড়া, গোলাপজল, মুলতানি মাটি, চন্দন, অ্যালোভেরাজেল, দু্‌ধ, নারিকেল তেল ইত্যাদি মিশিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক বানাতে পারেন যা আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী হবে। এসব উপাদান জবা ফুলের পাপড়ির সাথে মিশিয়ে আলাদা আলাদা ফেসপ্যাক বানিয়ে আপনি বিভিন্ন সময় ব্যবহার করতে পারেন।

লেখক এর মন্তব্যঃ চুলের যত্নে জবা ফুলের উপকারিতা

চুলের যত্নে জবা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে উপরে অনেক আলোচনা করা হয়েছে। জবা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন আলোচনা করে আপনাদের বিভিন্ন তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। জবা ফুলের বিভিন্ন উপকারিতা পড়ে আপনারা যদি এটি ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই ভালোভাবে এর খুঁটিনাটি বিষয় জেনে শুনে অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন। আমরা যেহেতু স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ সেহেতু আমরা একটি বিষয় জেনে সেটি সম্পর্কে ভালোভাবে নিশ্চিত না হয়ে সেটি আমরা ব্যবহার করব না।

জবা ফুলের উপকারিতার কথা আমরা সবসময়ই শুনে থাকি এবং এটি আমরা অনেককে ব্যবহার করতেও দেখে থাকি। এটি সত্যিই একটি উপকারী ফুল যা আমাদের স্বাস্থ্য উপকারিতা, চুলের যত্নে এবং রূপচর্চায়ও অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তবে এটি অনেক উপকারী হলেও আমরা এটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করব যেন এর ব্যবহারে আমাদের কোন ক্ষতি সাধিত না হয় দরকার হলে এটি আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করব।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর এস ড্রিমস ব্লগেনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url