গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় জানুন বিস্তারিত

গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এ বিষয়টি অনেকেই জানতে চান। কেননা সব বাবা-মা চায় তার সন্তান বুদ্ধিমান এবং মেধাবী হোক। এ জন্য বাচ্চার জন্মের আগে থেকেই সব বাবা-মা প্রস্তুতি নিতে চায় তাদের সন্তানকে কিভাবে বুদ্ধিমান এবং মেধাবী করা যায়। আপনিও কি চান আপনার সন্তান মেধাবী এবং বুদ্ধিমান হোক।

গর্ভাবস্থায়-কি-খেলে-বাচ্চা-বুদ্ধিমান-হয়

তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। গর্ভাবস্থায় আপনার স্ত্রীকে কি খাওয়ালে আপনার স্ত্রীর গর্ভস্থ বাচ্চা বুদ্ধিমান এবং মেধাবী হবে সে বিষয়টি জানতে হলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তাহলে চলুন বন্ধুরা জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান এবং মেধাবী হবে।

পেজ সূচীপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এ বিষয়টি বাবা-মায়ের জানতে চাওয়া খুবই স্বাভাবিক। কেননা সব বাবা-মা ই চান তাদের সন্তান বুদ্ধিমান এবং মেধাবী হোক। গর্ভাবস্থায় প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে তাহলে গর্ভস্থ বাচ্চার বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে। প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমনঃ মাছ-মাংস ডিম, বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং বীজ জাতীয় খাবার খেতে হবে। এ জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।

এছাড়াও সবুজ শাকসবজি,শুকনো ফল, এগুলোতে রয়েছে ফলিক এসিড এবং আয়রন যা গর্ভস্থ বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় নিয়মিত সবুজ শাকসবজি এবং শুকনো ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি মাছ খেতে হবে কেননা মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুবই প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় মায়ের খাবারের তালিকায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অবশ্যই রাখতে হবে।

সামর্থ্য থাকলে সামুদ্রিক মাছ যেমনঃ স্যামন,টুনা,কড লিভার ইত্যাদি মাছ গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা রাখতে পারেন কারণ এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গর্ভাবস্থায় একটি শিশুর ২৫ শতাংশ ব্রেন ডেভেলপমেন্ট হয়ে থাকে। আর বাকি ৭৫ শতাংশ জন্মের পর দুই বছরের মধ্যে হয়ে থাকে। তাই যদি চান আপনার বাচ্চা বুদ্ধিমান এবং মেধাবী হোক তাহলে গর্ব অবস্থায় থেকে শুরু করে বাচ্চা জন্মের দুই বছর পর পর্যন্ত পুষ্টিকর খাবারের তালিকা তৈরি করবেন।

শুধু এই সময় না একজন বাচ্চা বুদ্ধিমান এবং মেধাবী হওয়ার জন্য তাকে সবসময়ই পুষ্টিকর খাবার দেওয়া প্রয়োজন। বাচ্চার ২৫ শতাংশ ব্রেন ডেভেলপমেন্ট যেহেতু মায়ের গর্ভে হয়ে থাকে সেহেতু মায়ের খাবারের প্রতি অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। গর্ভাবস্থায় একজন মা যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সহ অন্যান্য সকল প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেন পায়। গর্ভবতী মাকে কলিন যুক্ত খাবার খেতে হবে।

ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কোলিন যা গর্ভস্থ শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি এবং মস্তিষ্ক বিকাশের খুবই কার্যকারী। তাই একজন গর্ভবতী মাকে অবশ্যই নিয়মিত ডিম খেতে হবে যাতে তার গর্ভস্থ সন্তানের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি এবং মস্তিষ্কের বিকাশ বাধা গ্রস্থ না হয়। নিয়মিত ডিম খেলে ডিমের কুসুমে যে কলিন রয়েছে তা গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের সাহায্য করবে। তাই গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের খাবারের প্রতি অবশ্যই গুরুত্ব দেয়া উচিত যাতে গর্ভের শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে বাধাগ্রস্থ না হয়।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এই বিষয়টি অনেকে জানতে চান। গর্ভাবস্থায় খাওয়ার উপরে বাচ্চার গায়ের রং নির্ভর করে না। বরং এটি একটি মেলানির নামক উপাদানের ওপর নির্ভর করে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা কিংবা কালো হয়। আর বাচ্চার গায়ের রং বাবা মায়ের জেনেটিক হরমনের উপর অনেকটা নির্ভর করে। বেশিরভাগ মানুষের আকাঙ্ক্ষা থাকে তাদের অনাগত সন্তানের গায়ের রং ফর্সা বা উজ্জ্বল হবে।বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা বা উজ্জ্বল হবে এজন্য খাবার খাওয়া উচিত নয়।

বরং কি খেলে আপনার বাচ্চা গর্ভাবস্থায় পুষ্টি পাবে এবং তার বিকাশ স্বাভাবিকভাবে হবে সেদিকে খেয়াল রেখে খাবার খাওয়া উচিত। তবে আদিকালের ধারণা মতে অনেকে মনে করেন গর্ভাবস্থায় ডিম, দু্‌ধ, জাফরা্ন, নারিকেল এগুলো খেলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয়। এগুলো আসলে কোন যৌক্তিক বিষয় না তবে এই খাবারগুলো পুষ্টিকর এগুলো খেলে আপনার গর্ভস্থ বাচ্চা তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে। তাই গর্ভাবস্থায় বাচ্চা এবং বাচ্চার মায়ের পুষ্টির দিকে খেয়াল রেখে গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা তৈরি করবেন।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা কালো হয় এ বিষয়টি অনেক বাবা মা জানতে চান। কেননা সব বাবা-মা চান তাদের গর্ভস্থ সন্তান এর গায়ের রং ফর্সা বা উজ্জ্বল হোক। কিন্তু এটা চাইলেই তো আর হবে না? বাচ্চা কালো হবে না ফর্সা হবে এটা আল্লাহর দান। তবে বিজ্ঞানের মতে একজন বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা বা কালো হওয়ার জন্য তার বাবা-মায়ের জিনগত প্রভাব থাকে। মানুষের গায়ের রং ফর্সা বা কালো এটা মেলানির নামক একটি উপাদানের কারণে হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা

আর বাচ্চার গায়ের রং নিয়ে আমাদের বাবা-মায়েদের চিন্তা না করাই উচিত। কেননা বাচ্চার গায়ের রং দিয়ে কিছু যায় আসে না। আমাদের যেটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে সেটা হল বাচ্চার চরিত্র যেন ভালো হয়। একজন চরিত্রবান সন্তান তার বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। এখানে সন্তানের গায়ের রং দিয়ে সন্তান ভালো না খারাপ তা সনাক্ত করা যায় না। এজন্য আমাদের সকল বাবা-মায়ের উচিত সন্তানকে চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করা।

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা 

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা এ বিষয়টি অনেকেই জানেন না। না জানতেই পারেন? যারা বই পত্র ঘাটাঘাটি করেন না বা গর্ভাবস্থার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন না তাদের ক্ষেত্রে না জানাটাই স্বাভাবিক। তাহলে চলুন আজকে আমরা জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া থেকে একজন গর্ভবতী মাকে বিরত থাকতে হবে। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মা এবং গর্ভস্থ শিশুর পুষ্টির জন্য বেশি বেশি শাক-সবজি খাওয়া প্রয়োজন। 

গর্ভাবস্থায়-কি-খেলে-বাচ্চা-বুদ্ধিমান-হয়
 কিন্তু কিছু কিছু সবজি আছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হবে। যেমন করলা, কাঁচা পেঁপে, বেগুন, অঙ্কুরিত বীজ বা শস্য জাতীয় খাবা্র, মুলা, সজিনা ইত্যাদি সবজি গর্ভাবস্থায় না খাওয়াই ভালো। এসব সবজি গর্ভাবস্থায় খেলে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হতে পারে এমন কি গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই গর্ব অবস্থায় এসব সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। যেসব সবজি খেলে গর্ভাবস্থায় কোন ক্ষতি হবে না সেসব সবজি পরিমাণ মত নিয়মিত খাওয়া উচিত গর্ভস্থ শিশু এবং গর্ভবতী মায়ের পুষ্টির জন্য।

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না এটা অবশ্যই একজন গর্ভবতী মায়ের এবং তার পরিবারের জানা উচিত। কেন না আমরা সকলেই জানি গর্ভাবস্থায় ফল খাওয়া গর্ভবতী মা এবং গর্ভস্থ শিশুর জন্য পুষ্টিকর। কিন্তু এমন কিছু ফল রয়েছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হবে বেশি। তাই গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া যাবেনা আসুন আমরা জেনে নেই। গর্ভাবস্থায় একটি মেয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় যে সময়ে তাদের শারীরিক এবং মানসিক অনেক পরিবর্তন ঘটে থাকে।

গর্ভাবস্থায় একজন মেয়ে ইচ্ছে করলেই তার পছন্দমত খাবার খেতে পারে না। তার গর্ভস্থ বাচ্চার কথা চিন্তা করে তাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। গর্ভাবস্থায় অনেকেই টক খেতে পছন্দ করেন। এজন্য অনেকে তেঁতুল খেয়ে থাকেন। তেতুলে ভিটামিন সি রয়েছে ভিটামিন সি অবশ্যই একজন গর্ভস্থ শিশু এবং গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজন। কিন্তু তেতুলে রয়েছে অতিরিক্ত মাত্রার ভিটামিন সি যা খেলে শরীরের প্রোজেস্টরের না উৎপাদন কমে যায় যা গর্ভপাত ঘটাতে পারে।

এজন্য গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত তেঁতুল খাওয়া ঠিক না। গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কেননা আনারসে রয়েছে ব্রমেলাইম যা গর্ভপাত ঘটাতে পারে। গর্ভাবস্থায় কলা এবং পেটের খাওয়া উচিত না কেননা কলা এবং পেপেতে রয়েছে লেটেক্স নামক উপাদান যা গর্ভপাত ঘটাতে পারে। তরমুজ একটি উপকারী ফল এটি খেলে মানুষের শরীরে পানির চাহিদা পূরণ হয়। তরমুজ শরীফকে ঠান্ডা রাখে। তাই যাদের সর্দি কাশির সমস্যা রয়েছে তাদের গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। কেননা তরমুজ খেলে সর্দি কাশি লেগে গেলে মা ও শিশু উভয়ের জন্য ক্ষতি।

গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা

গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা এ বিষয়টি অবশ্যই একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য জানা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। গর্ভাবস্থায় একটি মেয়ের অনেক শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন ঘটে যার ফলে সে ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করতে পারেনা। গর্ভাবস্থায় অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে কেননা একজন গর্ভবতী মায়ের খাবার থেকে গর্ভস্থ শিশু পুষ্টি পেয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় আধা সেদ্ধ কোন খাবার খাওয়া যাবে না। কেননা আধা সিদ্ধ খাবারের ব্যাকটেরিয়া থাকে যা গর্ভস্থ শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

দুধ,ডিম,মাছ, মাংস এগুলো অনেকেই আধা সিদ্ধ করে খেয়ে থাকেন এই খাবারগুলো কোন অবস্থাতেই আধা সিদ্ধ খাওয়া যাবে না। ক্যাফেইন জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা ক্যাফেইন খেলে অনেক সময় গর্ভবতী মহিলার ঘুমের সমস্যা হয়। একজন গর্ভবতী মহিলার পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত ঘুম না হলে এর খারাপ প্রভাব গর্ভস্থ শিশুর ওপর পড়তে পারে।

গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় চিরা খাওয়া যাবে কি না এ বিষয়টি অনেকে জানতে চান। হ্যাঁ অবশ্যই যাবে। চিড়া একটি পুষ্টিকর খাবার এবং সহজে হজমযোগ্য। গর্ভাবস্থায় হজম শক্তি দুর্বল থাকে হলে যে কোন খাবার হজম করা সমস্যা হয়। এ সময় একজন গর্ভবতী মহিলার চিড়া খেতে পারে যা সহজে হজম করতে পারবে। চিড়াতে রয়েছে ফাইবার যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। চিড়াতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট যা গর্ভাবস্থায় শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়।

এ সময় দুধ দিয়ে চিড়া খেতে পারেন তাহলে শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে কেননা দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম। চিড়াতে রয়েছে পানি শোষণ করার ক্ষমতা তাই এ সময়ে চিড়া খেলে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হয়। গর্ভাবস্থায় একটি মেয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল একটি সময়। এ সময়ে যে কোন খাবার খাওয়া যায় না। গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মা এবং শিশুর পুষ্টির কথা চিন্তা করে যে কোন খাবার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত এটা একজন গর্ভবতী মায়ের অবশ্যই জানা দরকার। কেননা গর্ভাবস্থায় ফল খাওয়া প্রয়োজন গর্ভবতী মা এবং গর্ভস্থ শিশুর পুষ্টির কথা চিন্তা করে। তবে গর্ভাবস্থায় সব ফল আবার মা এবং শিশুর জন্য উপকারী নয়। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া উচিত।, গর্ভাবস্থায় কমলা, আপেল, কলা, পেয়ার ইত্যাদি ফল খাওয়া ভালো। কমলা তে রয়েছে ভিটামিন সি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এটি গর্ব অবস্থায় মা এবং শিশু উভয়ের জন্য উপকারী।

গর্ভাবস্থায়-কি-খেলে-বাচ্চা-বুদ্ধিমান-হয়

এছাড়াও কমলাতে রয়েছে ফলিক এসিড যা গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে সাহায্য করে। কলা একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। পেয়ারাতেও রয়েছে ভিটামিন সি যা গর্ভবতী মহিলার শরীরে ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মহিলার খাদ্য তালিকায় আপেল রাখা উচিত। কেননা আপেলে রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন এ ফোলেড পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম এর মত পুষ্টি উপাদান যা একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য প্রয়োজন।

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি না তা জানা অবশ্যই একজন গর্ভবতী মায়ের প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার খাবারের তালিকায় অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার রাখা উচিত। লেবু হচ্ছে পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে একটি। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি যা একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। গর্ভকালীন সময়ে অনেকে খাবার খেতে পারে না বমি বমি ভাব লাগে তাই এ সময়ে খাবারের সাথে লেবু খেলে মুখে রুচি আসে।

গর্ভাবস্থায় হজম প্রক্রিয়া দুর্বল থাকে তাই এ সময়ে সকল খাবার খেয়ে হজম করা সমস্যা হয়। এ সময়ে লেবু খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় কেননা লেবুর রস হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। গর্ভাবস্থায় ভিটামিন সি গর্ভবতী মা এবং গর্ভস্থ শিশুর জন্য উপকারী তবে অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন সি খাওয়া যাবেনা তাহলে তা ক্ষতি করবে। এজন্য গর্ভাবস্থায় যে কোন খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।

লেখক এর মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এ বিষয়ে উপরে অনেক কিছু আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে গর্ভাবস্থার অনেক বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের খাবার সম্পর্কেও জানতে পেরেছন। গর্ভাবস্থায় একটি মেয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল একটি সময়। এ সময় খুবই সতর্কতার সাথে চলাফেরা এবং খাবার খেতে হয়। এ সময়ে একজন মায়ের খাবারের ওপর নির্ভর করে গর্ভস্থ সন্তান পুষ্টি পেয়ে থাকে।

তাই গর্ভাবস্থায় সবসময় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং সকল কিছু নিয়ম মেনে করতে হবে। গর্ভাবস্থায় একজন মাকে অনেক কিছুই ত্যাগ স্বীকার করতে হয় শুধুমাত্র গর্বের সন্তানের কথা ভেবে। আপনি যদি একজন নতুন গর্ভধারণকারী মা হন তাহলে আপনার জন্য উপরের বিষয়গুলো অনেক সাহায্য করবে। আপনি যদি চান আপনার সন্তান বুদ্ধিমান এবং মেধাবী হোক তাহলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবারগুলো নিয়মিত পরিমান মত খাবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর এস ড্রিমস ব্লগেনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url