কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত

কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত এই কথাটা অনেকে জানতে চান। আমরা আমাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত করার জন্য অনেকেই প্রবাস জীবন যাপন করে থাকি। কুয়েত মধ্যপ্রাচ্যের একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী ও ধনী দেশ হিসেবে পরিচিত। কুয়েতের মুদ্রার মান অনেক বেশি। তাই অনেকেই কুয়েত যেতে আগ্রহ পোষণ করে থাকে।

কুয়েত-হোটেল-ভিসা-বেতন-কত

বাংলাদেশের মানুষ বেশিরভাগ কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব, দুবাই এ দেশগুলোতে বিভিন্ন কর্মের জন্য পাড়ি জমায়। আজকের এ আর্টিকেলে আলোচনার বিষয় মূলত কুয়েতে হোটেল ভিসার বেতন কত তা নিয়ে। তাই আপনি যদি কুয়েতের হোটেল  ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

পেজ সূচীপত্রঃ কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত

কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত 

কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে আজকেরে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। হোটেল ভিসার বেতন সম্পর্কে নির্ধারিত করে বলা যাবে না কারণ হোটেল একটি ব্যবসা এবং এ ব্যবসায়ী অনেক ধরনের পদ রয়েছে। এক এক ধরনের পদের জন্য একেক রকম বেতন দেয়া হয়। হোটেলের রিসিপশন থেকে শুরু করে ক্লিনার পর্যন্ত অনেকগুলো পদ রয়েছে যে পদ গুলোর বেতন ভিন্ন ভিন্ন।

আপনি যদি কুয়েতে হোটেল ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমেই নির্বাচন করতে হবে আপনি হোটেলের কোন পদের ভিসা নিয়ে যেতে চান। কারন আপনি যে পদের ভিসা নিয়ে যাবেন আপনার বেতন সে পদ অনুযায়ী ধরা হবে। আপনি যদি হোটেলের সর্বোচ্চ যে পদ আছে সেই পদের ভিসা নিয়ে যান তাহলে আপনার বেতনটাও হবে সর্বোচ্চ আর আপনি যদি সর্বনিম্ন পদের ভিসা নিয়ে যান তাহলে আপনার বেতন হবে সর্বনিম্ন এটাই স্বাভাবিক।

হোটেল ভিসার সর্বনিম্ন বেতন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বাংলাদেশী টাকায়। আর সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ পর্যন্ত। এখন আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনার যোগ্যতা কতটুকু আপনি কোন ভিসা নিয়ে কুয়েতের হোটেলে কাজ করার জন্য যাবেন। আপনার যদি সর্বোচ্চ যোগ্যতা থাকে কুয়েতের হোটেলে কাজ করার তাহলে আপনার কুয়েতের হোটেলের সর্বোচ্চ বেতন অর্থাৎ ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা হবে।

কুয়েতের হোটেল গুলোতে সর্বোচ্চ বেতন দেওয়া হয় হোটেলের সেফকে এবং সর্বনিম্ন বেতন দেয়া হয় হোটেলের ক্লিনার কে। এ দুই পথ ছাড়াও হোটেলে আরো অনেক পথ রয়েছে যেমন রান্না বান্নাই সেফ কে সাহায্য করে অর্থাৎ সাহায্যকারী, হোটেলের বয়, রিসিপশনিস্ট ছাড়াও আরো অনেক পদ রয়েছে। যাদের সকলের বেতন ভিন্ন ভিন্ন। এখন আপনি কোন পদের হোটেল ভিসা নিয়ে কুয়েত যেতে চান সিদ্ধান্ত আপনার সেই পদ অনুযায়ী আপনি বেতন পাবেন।

কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত

কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত এ বিষয়টি যারা কুয়েত যেতে চান তাদের জন্য অবশ্যই জানা দরকার। কুয়েতের টাকার মান অনেক বেশি। কুয়েতে শুধু হোটেল ভিসা নয় আরো অনেক ধরনের ভিসা কুয়েত সরকার দিয়ে থাকে। কুয়েতের টাকার মান যেহেতু অনেক বেশি সেহেতু অনেক মানুষ কুয়েত যাওয়ার জন্য আগ্রহ পোষণ করে। যে দেশের শ্রমের চাহিদা বেশি রয়েছে সে দেশে টাকার মান একটু বেশিই থাকে।

কুয়েত সরকার কুয়েতে যারা কাজ করবে তাদের জন্য একটি সর্বনিম্ন বেতনের পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। আর সেই পরিমাণ হচ্ছে ৬০ দিনার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ হবে ২০ হাজার টাকা। আপনি কুয়েতে গিয়ে যত ছোট কাজই করেন না কেন আপনার সর্বনিম্ন বেতন হবে ৬০ দিনার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ.২০হাজার। এছাড়াও আপনি কুয়েতে গিয়ে যে ধরনের কাজ করবেন আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী আপনাকে বেতন দেয়া হবে।

কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি

কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ বিষয়টি যারা কুয়েত যেতে চান তাদের জন্য জানা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ কোন কাজের চাহিদা বেশি এটি জানা থাকলে যারা কুয়েত যেতে চান কাজের জন্য তাদের জন্য সুবিধা হবে। সবার তো সব কাজের অভিজ্ঞতা থাকে না সেজন্য যদি জানা যায় যে কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই কাজ শিখে অভিজ্ঞ হয়ে যেতে পারলে কুয়েতে গিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে।

আরো পড়ুনঃ কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত

কুয়েতে বেশ কিছু কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে। যেমন ড্রাইভিং, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, কনস্ট্রাকশন কাজ, হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর কাজ ইত্যাদি কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে। কুয়েত মধ্যপ্রাচের একটি উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ যেখানে কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে এবং সেখানকার টাকার মান অনেক বেশি তাই অনেকেই কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে গিয়ে সেখানে কাজ করে উন্নত জীবন যাপন করছে।

এসব কাজের মধ্যে আপনার যদি কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকে আপনি সেই কাজের ভিসা নিয়ে গিয়ে কুয়েতে কাজ করে উন্নত জীবন যাপন করতে পারেন। আর উল্লেখিত কাজ গুলোর মধ্যেও কোনো কাজের যদি আপনার কোন অভিজ্ঞতাই না থাকে তারপরেও যদি আপনি কুয়েত যেতে চান তাহলে আপনাকে যে কোন কাজ শিখে অভিজ্ঞতা তৈরি করে যেতে হবে তাহলে আপনি কুয়েত গিয়ে আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। 

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত এ বিষয়টি যারা বিভিন্ন কোম্পানির ভিসা নিয়ে কুয়েতে যেতে চান তাদের জানা অত্যন্ত জরুরী। কেননা কুয়েতে অনেক ধরনের কোম্পানি রয়েছে এবং এক এক কোম্পানির বেতন কাঠামো এক এক রকম। এখন আপনি কোন কোম্পানিতে কোন কাজের জন্য ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন সেটা আপনার জানা থাকলে আপনার বেতন সম্পর্কে ধারণা পেতে সুবিধা হবে।

চলুন জেনে নেয়া যাক আসলে কম্পানি ভিসায় কুয়েতে বেতন কত পাওয়া যায়? আপনি যদি কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার পদের ভিসা নিয়ে কুয়েত যান তাহলে আপনার বেতন হবে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর আপনি যদি অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের ভিসা নিয়ে যান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার বেতন হবে ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে।

কুয়েত-হোটেল-ভিসা-বেতন-কত

কোম্পানি ভিসায় বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ থাকে। আপনি যে কাজ করতে চান সেই কাজের ভিসা নিয়ে গেলে সেখানে সে অনুযায়ী বেতন পাবেন। কোম্পানি ভিসায় গেলে আপনি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন। কারণ বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি শ্রমিকদেরকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। কোম্পানিগুলোতে পদোন্নতির সুযোগ থাকে সেক্ষেত্রে আপনার বেতন ও বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ থাকবে।

কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত

কুয়েত মধ্যপ্রাচ্যের একটি সমৃদ্ধশালী অন্যতম মুসলিম দেশ। কুয়েতে প্রচুর পরিমাণে গাড়ি রয়েছে এজন্য এ দেশে ড্রাইভিং কাজের চাহিদা অনেক বেশি। আপনার যদি ড্রাইভিং কাজের দক্ষতা থাকে এবং একটি বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে আপনি তাহলে কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে পারেন। কুয়েতে ড্রাইভিং কাজের বেতন অনেক বেশি। কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার সর্বনিম্ন বেতন ৮০ হাজার এবং সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ টাকা হয়ে থাকে।

আপনার যদি ড্রাইভিং পেশাই ভালো দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি কুয়েত গিয়ে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কেননা দক্ষ ড্রাইভিং পেশার লোকদের বেশি মূল্যায়ন করা হয়। এছাড়াও আপনি ড্রাইভিং এর কাজ করে ওভারটাইম করলেও  অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কুয়েতে ড্রাইভিং পেশায় বেতন আসলে নির্দিষ্ট করে বলা যায় না কারণ এক একজন ড্রাইভার এর কাজের সময় এক এক রকম। কেউ রাতে কাজ করে আবার কেউ দিনে কাজ করে। যারা রাতে কাজ করে তাদের বেতন একটু বেশি হয়ে থাকে।

কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে

কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে এটা আসলে নির্ধারিত করে বলা যায় না কেননা এটি ভিসার উপরে নির্ভর করে। আপনি কোন ধরনের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন সে ভিসার উপর নির্ভর করে আপনার টাকা খরচ হবে। কুয়েত সরকার বিভিন্ন ধরনের  ভিসার সুযোগ দিয়ে থাকেন এক এক ভিসার মূল্য এক এক রকম। এছাড়াও আপনি এজেন্টের মাধ্যমে গেলে এজেন্টের ওপর নির্ভর করেও ভিসার খরচ আলাদা হয়ে থাকে কেননা এক এক এজেন্ট এক এক রকম খরচ নিয়ে থাকেন।

কুয়েত যেতে সাধারণত যে খরচ গুলো হয়ে থাকে তা হল ভিসা প্রসেসিং, মেডিকেল ফি, বিমান ভাড়া, প্রশাসনিক খরচ এবং আরো অন্যান্য কিছু আনুষঙ্গিক খরচ। সব খরচ মিলিয়ে মোটামুটি কুয়েত যেতে ৬ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। প্রত্যেক দেশেরই টুরিস্ট ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কম হয় কিন্তু ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ একটু বেশি হয়ে থাকে। ভিসার খরচ অনেক সময় ভিসার মেয়াদের উপর নির্ভর করেও কম বেশি হয়।

আরো পড়ুনঃ কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন

কুয়েত আরো অনেক কম খরচে যাওয়া যায়। কুয়েতে যদি আপনার কোন আত্মীয় বা পরিচিতজন থাকে তাহলে আপনি তার মাধ্যমে কম খরচে কুয়েত যেতে পারবেন। উপরে যে ছয় থেকে আট লক্ষ টাকার কথা বলা হয়েছে সেটা এজেন্ট এর মাধ্যমে গেলে খরচ হবে। যেকোনো কাজ মাধ্যম ব্যবহার করলে খরচ বেশি হয় আর সরাসরি করলে খরচ কম হয়। কুয়েত ভিসাটাও সেরকম দালালের মাধ্যমে হওয়ার কারণে খরচটা অনেক বেশি পড়ে যায়।

আপনি যদি পরিচিত কারো মাধ্যমে সরাসরি যেতে পারেন কুয়েত দালাল ছাড়া তাহলে আপনার খরচ খুবই কম হবে। শুধুমাত্র প্লেন ভাড়া আর কিছু আনুষঙ্গিক খরচ করলেই আপনি কুয়েত যেতে পারবেন। আর এই খরচ গুলো মোটামুটি ১ থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যেই হয়ে যায়। আপনি যদি পরিচিত কারো কাছ থেকে কুয়েতের ভিসা জোগাড় করতে পারেন তাহলে আপনি অল্প খরচেই কুয়েত যেতে পারবেন। তাই কুয়েত যাওয়ার খরচটা আপনার উপরে নির্ভর করবে আপনি কোন মাধ্যমে কুয়েত যেতে চান।

কুয়েত ফ্রি ভিসা দাম কত

যে কোন দেশের ফ্রি ভিসা বলতে আপনি ওই দেশে গিয়ে আপনার ইচ্ছামত কাজ খুঁজে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু ফ্রি ভিসা পাওয়া খুব কঠিন সব সময় পাওয়া যায় না। এ ফ্রি ভিসা নিয়ে দালালরা অনেক সময় প্রতারণা করে থাকে আপনাদের মত গ্রাহকদের সাথে। দালালরা বিভিন্ন বন্ধ কোম্পানির নামে জাল ভিসা বানিয়ে অনেক সময় প্রতারণা করে থাকেন। কেননা ফ্রি ভিসার সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকে তাই বেশিরভাগ মানুষ ফ্রি ভিসা খুঁজে থাকেন।

এজন্য দালালরা সেই সুযোগটা সদ্ব্যবহার করে থাকেন। ফ্রি ভিসার নামে বন্ধ কোম্পানির জাল ভিসা দিয়ে অনেকের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। ফ্রী ভিসা সব সময় যেহেতু পাওয়া যায় না তার পরেও আপনার যদি ভাগ্য ভালো হয় আপনি ফ্রি ভিসার সন্ধান কখনো পেয়ে যান তাহলে আপনি সেটা ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে তারপর টাকা-পয়সা লেনদেন করবেন। বর্তমানে কুয়েতের ফ্রি ভিসার দাম ৪ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

কুয়েত ভিসা পেতে কত সময় লাগে

কুয়েত ভিসা পেতে কত সময় লাগে এই প্রশ্নটি অনেকের মনে থাকে যারা বিশেষ করে কুয়েত যেতে আগ্রহী তাদের। কেননা আবেদন করার পর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে এটি আসলে একটি জানার বিষয়। আপনি যদি সঠিকভাবে আবেদন করতে পারেন এবং সঠিক এজেন্টের মাধ্যমে আবেদন করেন এবং বৈধ কাগজপত্র জমা দেন তাহলে আপনার ভিসা পেতে খুব বেশি সময় লাগবেনা।

কুয়েত-হোটেল-ভিসা-বেতন-কত

আপনার কাগজপত্র ঠিকঠাক ভাবে প্রসেসিং করে জমা দেওয়া হলে কুয়েত ভিসা পেতে আপনার সর্বোচ্চ ১ থেকে ২ মাস সময় লাগতে পারে। ভিসা প্রসেসিং এর ব্যাপারটা যেহেতু সিরিয়াল করে করা হয় সে তো আপনার কাগজপত্র যদি সিরিয়ালের প্রথম দিকে থাকে তাহলে আপনি তাড়াতাড়ি ভিসা পেয়ে যেতে পারেন। আর যদি আপনার কাগজপত্র সিরিয়ালের নিচে পড়ে যায় তাহলে একটু সময় লাগতে পারে।

কুয়েত যেতে কত বয়স লাগে

যেকোনো দেশে কাজ করার জন্য অবশ্যই ১৮ বছর বয়স হতে হবে। ১৮ বছরের আগে কাজ করতে গেলে সেটা শিশু শ্রম হিসেবে গণ্য হয়। কুয়েত যেতে কত বয়স লাগে এটা অনেকে জানতে চান। প্রাপ্তবয়স্ক না হলে যেহেতু কাজ করা যাবে না সেহেতু আপনাকে অবশ্যই ১৮ বছর বয়সের হতে হবে। কুয়েত যাওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বয়স হচ্ছে ২১ থেকে ৩৫ বছর। ১৮ বছর বয়স হলেও কুয়েত ভিসার আবেদন করা যায় তবে এক্ষেত্রে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

কুয়েতের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে ২১ থেকে ৩৫ বছর বয়সের কর্মীদেরকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। কেননা কাজ করার ক্ষেত্রে বেশি কম বয়স হলেও সমস্যা হতে পারে আবার বেশি বয়স হলেও সমস্যা হয়। কেননা কম বয়স হলে জ্ঞানের পরিধি কম থাকে আর বেশি বয়স হলে শরীরের শক্তি কমে যায় এজন্য ২১ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে শক্তি এবং বুদ্ধির ভারসাম্য থাকে ওই সময়টাকে উপযুক্ত মনে করা হয়। তবে ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে বয়সের কোন সীমা থাকে না যে কোন বয়সের মানুষ ভিজিট ভিসা নিয়ে কুয়েত যেতে পারবে।

লেখক এর মন্তব্যঃ কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত

কুয়েতের হোটেল ভিসার বেতন নিয়ে উপরে অনেক আলোচনা করা হয়েছে আশা করছি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে কুয়েতের হোটেল ভিসার বেতন সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়েছেন। আর্টিকেলের মধ্যে কুয়েতের হোটেল ভিসা ছাড়াও অন্যান্য ভিসা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে সেখান থেকে আপনারা অনেক তথ্য পাবেন। কুয়েত একটি সমৃদ্ধশালী উন্নত দেশ এবং সেখানকার মুদ্রার মান অনেক বেশি সেজন্য অনেকেই কুয়েত যেতে চান।

কুয়েতে হোটেল কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। হোটেলের ভিসারও অনেক রকম ধরণ রয়েছে। একটি হোটেলে অনেক রকমের কাজ থাকে। আপনি যে কাজের ভিসা নিয়ে যাবেন সেই কাজ অনুযায়ী আপনার বেতন হবে। কুয়েতে হোটেলের সবচেয়ে বেশি বেতনের কাজ হচ্ছে সেফ এর কাজ। আর সবচেয়ে কম বেতনের কাজ হচ্ছে ক্লিনার এর কাজ। মোটকথা আপনি যে লেভেলের কাজের ভিসা নিয়ে যাবেন আপনার বেতনও সে লেভেলের হবে। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে কুয়েত হোটেল ভিসা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর এস ড্রিমস ব্লগেনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url