শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়

অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা-১৩টি উপায়শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়া কথাটি শুনতে অবাক লাগছে তাই না? কিন্তু এটা সত্যি যে আপনার যদি মাইন্ড সেটআপ থাকে এবং সেভাবে লক্ষ্য তৈরি করে এগিয়ে যান তাহলে সত্যিই আপনি শূন্য থেকে কোটিপতি হতে পারবেন।এখন প্রশ্ন হল শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায় কি?

শূন্য-থেকে-কোটিপতি-হওয়ার-উপায়

আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে শূন্য থেকে কিভাবে কোটিপতি হওয়া যায়। শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে আপনারা শূন্য থেকে কোটিপতি হতে পারবেন।

পেজ সূচীপত্রঃ শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়

শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়

শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায় কথাটা শুনতেই আপনাদের কেমন অবাক লাগছে তাই না? অবাক লাগলেও সত্যি শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়া সম্ভব। যদি আপনি সঠিকভাবে মাইন্ড সেটআপ করতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে পারেন। শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার জন্য শুধুমাত্র আপনাকে চিন্তাভাবনার ধরন চেঞ্জ করতে হবে। পৃথিবীতে যারা কোটিপতি হয়েছেন তাদের চিন্তাভাবনা সাধারণ মানুষের চাইতে আলাদা।

কোটিপতি হতে হলে আপনাকে অন্যদের চাইতে আলাদাভাবে চিন্তা করতে হবে। আপনার চলাফেরার ধরন আলাদা করতে হবে। সবাই যে বিষয় নিয়ে ভাবে সামনের দিকে এগোতে চায় আপনাকে তার অপজিট বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। সবাই যে পথে সফল হওয়ার জন্য ছুটবে আপনাকে সে পথে ছুটলে চলবে না। তাহলে আপনিও তাদের মতই হবেন। আপনাকে তাদের চেয়ে আলাদা হতে হলে অর্থাৎ আপনি যদি কোটিপতি হতে চান তাহলে আপনাকে ক্রিয়েটিভ ভাবে চিন্তা ভাবনা করতে হবে।

আপনি যদি কোটিপতি হতে চান তাহলে আপনাকে আগে কোটিপতি হওয়ার রাস্তা জানতে হবে। কারণ আপনি যদি কোন জায়গায় যেতে চান এবং সে জায়গায় যাওয়ার রাস্তা জানেন তাহলে আপনাকে কেউ সেখানে যাওয়া থেকে আটকাতে পারবে না। তাই কোটিপতি হতে হলে আপনাকে আপনার লক্ষ্য স্থির করতে হবে এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করে কাজ করতে হবে। লক্ষ্য স্থির করে বসে থাকলে হবে না আপনার চিন্তা-ভাবনা কে কাজে রূপান্তর করতে হবে তাহলে আপনি কোটিপতি হতে পারবেন।

স্রোতের বিপরীতে চলতে হবে

আপনি সকলের সাথে স্রোতে গা ভাসাবেন না। সকলে যে দিকে ছুটে সফল হওয়ার জন্য আপনি সেই পথে ছুটবেন না আপনি তাদের বিপরীত পথে ছুটবেন। বেশিরভাগ মানুষ একই ধরনের লক্ষণ নিয়ে সফল হওয়ার জন্য ছুটতে থাকে। কিন্তু আপনি তাদের বিপরীত দিকে আরেকটু বেশি ক্রিয়েটিভ ভাবে চিন্তা করবেন। শুধু চিন্তা করলেই হবে না সে চিন্তাকে আপনি কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করবেন।

সবাই যেভাবে কাজ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই আপনি তার চেয়ে আলাদাভাবে কাজ করবেন। তাহলে আপনি তাদের চেয়ে আলাদা কিছু করে কোটিপতি হতে পারবেন। কারণ যারা কোটিপতি তারা সাধারণ মানুষের মতো স্বাভাবিক চিন্তাভাবনা করে না। কোটিপতিদের চিন্তাভাবনা চলাফেরার ধরন সাধারণ মধ্যবিত্ত বা গরীব মানুষের চাইতে আলাদা হয়। সেজন্যে তারা কোটিপতি হতে পারে সাধারণ নয় অসাধারণ হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে পারে। আপনাকেও তাদের মত করে ভাবতে হবে।

অধ্যাবসায় সফলতার চাবিকাঠি

অধ্যাবসায় সফলতার চাবিকাঠি কথাটি একদম সত্য। আপনি যদি অধ্যাবসায় না করেন তাহলে কখনো আপনি জীবনে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে পারবেন না। অধ্যাবসায় বলতে শুধুমাত্র ছাত্র জীবনে পড়াশোনা করাকে বুঝায় না। আমরা সাধারণত পড়ালেখা শেষ করে যখন কর্মজীবনে চলে যায় তখন আর পড়াশোনা করি না কর্ম ক্ষেত্রে ব্যস্ত হয়ে যায়। আরে পড়াশোনা না করার জন্য আমরা অনেকেই কর্মজীবনে সফলতার উচ্চ শিখরে পৌছাতে পারি না।

কর্মজীবনে পড়াশোনা বলতে আমি সাধারণ গল্প উপন্যাস বই পড়ার কথা বলছি না। এখানে পড়াশোনা বলতে বুঝানো হচ্ছে আপনার কর্মজীবনে আপনি যে কাজ করছেন সে কাজ নিয়ে পড়াশোনা করার কথা বলা হচ্ছে। আপনি যদি কোন কাজ করেন আর সেই কাজ নিয়ে গবেষণা না করেন তাহলে সে কাজ থেকে আপনি কখনোই সর্বোচ্চ ফলাফল পাবেন না। আপনি যদি যেকোনো কাজ স্বাভাবিকভাবেই করেন তাহলে সেখান থেকে ফলাফল সাধারণ পাবেন।

আরো পড়ুনঃ ডলার ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট

কিন্তু আপনি যদি যে কাজটা করছেন সেই কাজটা নিয়ে গবেষণা করে সামনের দিকে এগিয়ে যান তাহলে সেই কাজ থেকে আপনি সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে পারেন। একই কাজ মানুষ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে করে তাই ফলাফল ভিন্ন ভিন্ন আসে। আপনি যে কাজটা করছেন সেই কাজটা অন্য আরও মানুষ করতে পারে কিন্তু আপনি যদি তাদের চাইতে আলাদাভাবে ক্রিয়েটিভলি চিন্তাভাবনা করে করতে পারেন তাহলে তাদের চাইতে আপনার ফলাফল হবে আলাদা।

শূন্য-থেকে-কোটিপতি-হওয়ার-উপায়

আপনাকে সব সময় আপনার চারপাশের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে আপনার চারপাশে কি ঘটছে কিভাবে ঘটছে সে অনুযায়ী আপনাকে নিজেকে আরও বেশি আপডেট করতে হবে তাহলে আপনি অন্যদের চাইতে নিজেকে আলাদাভাবে প্রমাণ করতে পারবেন। আর এভাবেই আপনি একটা সময় সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে উঠবেন। অর্থাৎ আপনি কোটিপতি হতে পারবেন। এজন্য আপনাকে অবশ্যই কর্মট হয় এবং সেই সাথে অধ্যাবসায়ী হতে হবে।

আপনি আপনার কাজের প্রতি যত বেশি যত্নশীল এবং অধ্যবসায়ী হবেন কাজকে নিয়ে যত বেশি গবেষণা করবেন আপনার সামনে তত বেশি নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কৃত হবে। আপনি সেই বিষয়ে আরো বেশি বেশি জানতে পারবেন এবং নিজেকে আরও বেশি আপডেট করতে পারবেন। তাই বেশি বেশি পড়াশোনা করুন যাতে আপনি নিজেকে অন্যদের চাইতে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে পারেন।

জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

জীবনের সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছানোর জন্য লক্ষণ নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে না পারেন তাহলে আপনি কখনোই জীবনের সফলতার মুখ দেখতে পারবেন না। কারণ আপনার যদি জীবনের লক্ষ্যই না থাকেন আপনি জীবনে কি করতে চান কি হতে চান তাহলে আপনি কিভাবে জীবনের সফল হবেন। তাই আপনাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সফলতার সর্বোচ্চ চূঁড়ায় পৌঁছাতে হলে আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে আপনাকে আগে লক্ষ্য স্থির করতে হবে।

লক্ষ্যহীন জীবন মাঝি বিহীন নৌকার মতো। মাঝি বিহীন নৌকা যেমন কোনো এক সময় কোন এক জায়গায় গিয়ে ভিড়ে ঠিক তেমনি আপনার জীবনেও যদি কোন লক্ষ্য না থাকে তাহলে আপনার জীবন চলতে চলতে কোন এক জায়গায় গিয়ে আটকে যাবে। এজন্য আপনি জীবনে কি করতে চান, কতদূর এগিয়ে যেতে চান সেসব কিছুই স্থির করে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করে কাজে নেমে পড়তে হবে তাহলে আপনি আপনার সেই কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন।

লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী আপনি কাজে নেমে পড়লে আপনার আশেপাশে কে কি বলল সেদিকে তাকানোর আপনার দরকার নেই আপনি আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী এগিয়ে যাবেন। তাহলে আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন তাছাড়া সম্ভব না পিছুটান থাকলে আপনি কখনোই সামনের দিকে এগোতে পারবেন না তাই কে কি বলল সে বিষয়ে কান দেবেন না।

আপনি যদি নিজে বিশ্বাস করেন আপনি পারবেন এবং সে অনুযায়ী এগিয়ে যান তাহলে আপনি অবশ্যই সফল হবেন। আর যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সফল না হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনাকে আপনার লক্ষ্যে অটল থাকতে হবে তাহলে আপনার পক্ষে সফল হওয়া সম্ভব অর্থাৎ আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিলে হবে না লেগে থাকতে হবে তাহলে সফলতা আসবেই।

কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে

জীবনে সফলতার স্বর্ণশিখরে পৌঁছানোর উপায় হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে হবে। আপনি যদি কাজের ধারাবাহিকতা ঠিক না রাখেন একেকবার একেক রকম কাজ করেন তাহলে আপনি সফল কখনোই হতে পারবেন না। অনেকের ধারণা কঠোর পরিশ্রম করলেই জীবনের সফল হওয়া যায়। কঠর পরিশ্রম এবং সফলতা দুটো একই সুতোই বাধা কিন্তু আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম করেন কিন্তু ধারাবাহিকভাবে কাজ না করেন তাহলে আপনার সফলতা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রম করলেই আপনার সফলতা নিশ্চিত নয় সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আপনি কঠোর পরিশ্রম করার পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি আপনার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন। যারা জীবনের সফল হয়েছেন তাদের জীবন কাহিনী পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন তারা জীবনে ধারাবাহিকতার সাথে কাজ করেছেন।

সুসংগঠিত এবং সুশৃংখল জীবন যাপন

আপনাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে আপনার চলাফেরা সুসংগঠিত এবং সুশৃঙ্খল হতে হবে। বিশৃঙ্খলভাবে জীবন যাপন করলে কখনো জীবনের সফল হওয়া সম্ভব নয়। পৃথিবীতে যত ধনী ব্যক্তি দেখবেন তারা প্রত্যেকে ব্যক্তিগত জীবনে পারিবারিক জীবনে অথবা যে কাজ করেন সেখানে প্রচন্ডভাবে সুসংগঠিত এবং সুশৃংখল। তারা কখনো বিশৃঙ্খল জীবনযাপন করেন না। সারা জীবনের প্রত্যেকটি ধাপ ফেলেন অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে।

তাই বলে তারা যে সব সময় লাভবান হয়েছেন এমনটা না কিন্তু তারা তাদের লক্ষ্য থেকে ফিরে আসেননি। তারা যদি দশটি কাজ একসাথে শুরু করে থাকেন তাহলে হয়তো দুইটি কাজে তারা ব্যর্থ হয়েছেন কিন্তু বাকি আটটি কাজে তারা যতটা সফল হয়েছেন দুইটি কাজের ব্যর্থতা তাদের সেই সফলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি। তাদের আটটি কাজের সফলতা দুটি কাজের ক্ষতিকে পুষিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।

আর তাদের এ সফলতার পেছনে রয়েছে তাদের সুসংগঠিত এবং সুশৃংখল কাজের ধরন। সফলতা কোন মিরাকেল নয় এটা কখনো মিরাকেলের মাধ্যমে ঘটেনা। সফলতা হচ্ছে কঠোর পরিশ্রম এবং কঠিন পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্জন করার বিষয়। আপনিও যদি কঠোর পরিশ্রম করেন এবং কঠিন পরিকল্পনা এবং ডেডিকেশনের মাধ্যমে কাজ করেন তাহলে আপনি অবশ্যই আপনার কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন করতে পারবেন। 

আপনি যদি নিজেকে ধনী ব্যক্তিদের জায়গায় দেখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডেডিকেশন নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে আপনি আপনার নিজের জায়গা বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের পাশে করে নিতে পারবেন। এজন্য আপনাকে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে এবং সে পরিশ্রম করতে হবে সুশৃংখল এবং সুসংগঠিত ভাবে তাহলে আপনি আপনার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন।

স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হতে হবে

স্বাস্থ্যের প্রতি অবশ্যই আপনাকে যত্নশীল হতে হবে কেননা দিন শেষে আপনার স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। যেকোনো কাজের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হলে আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি অবশ্যই আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে। আপনার শরীর স্বাস্থ্য যদি ঠিক না থাকে তাহলে আপনি কোন কাজই সঠিকভাবে করতে পারবেন না। ধনী ব্যক্তিদের লাইফস্টাইল থাকে অন্যরকম তারা হাজার কাজের মাঝেও নিজের শরীরের যত্ন নেন। তারা নিয়ম করে প্রতিদিন ব্যায়াম করেন এবং খাবারের তালিকা থাকে স্বাস্থ্যকর খাবারে পরিপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃ অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশ

আমাদের সকলেরই প্রথম শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়া এবং গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। আর আপনি যদি শূন্য থেকে কোটিপতি হতে চান সেক্ষেত্রে তো আপনার জন্য শরীরের যত্নে যত্ন নেওয়া অত্যাবশ্যকীয়। কেননা আপনাকে ধনী হতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং সে কঠোর পরিশ্রম করার জন্য আপনার শরীর স্বাস্থ্য এবং মস্তিষ্ক সবার আগে ঠিক রাখতে হবে তাহলে আপনি কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন এবং কোটিপতি হতে পারবেন।

জীবনে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে

শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার মূল মন্ত্র হচ্ছে আপনাকে জীবনে অবশ্যই সঞ্চয়ে অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আপনি যদি সঞ্চয়ী হতে না পারেন তাহলে আপনার পক্ষে জীবনে কোটিপতি হওয়া সম্ভব হবে না। অনেকে আছেন যারা ইনকাম করেন ১০০ টাকা খরচ করেন ১৫০ টাকা তারা কখনোই জীবনে কোটিপতি হতে পারে না। কেননা ইনকামের চেয়ে খরচ যদি বেশি হয় তাহলে সব সময় আপনার ঋণ থেকেই যাবে। তাহলে আপনি কোটিপতি হবেন কিভাবে?

আপনি যদি আপনার ইনকামের মধ্যে খরচ করার পরেও কিছু পরিমাণ সঞ্চয় করতে না পারেন তাহলে আপনার পক্ষে কোটিপতি হওয়া সম্ভব না। কেননা আপনি কোন কাজ করতে গেলে প্রথমে আপনাকে কেউ বুঝিয়ে দিবে না আপনাকে নিজের চেয়ে পুঁজি জোগাড় করতে হবে। আর আপনি যদি সঞ্চয় করতে না পারেন তাহলে পুঁজি জোগাড় করবেন কিভাবে? আর আপনি যখন অল্প অল্প করে আপনার ইনকামের মধ্যে থেকে জমা করবেন।

শূন্য-থেকে-কোটিপতি-হওয়ার-উপায়

তখন আপনার  অল্প করে জমানো টাকা এক সময় বড় পরিমাণ টাকায় রূপ নিবে আর সেই টাকা আপনি পুঁজি হিসেবে আপনার কাজে বিনিয়োগ করতে পারবেন। সঞ্জয় করা একটা লম্বা সময়ের ব্যাপারে এখানে ধৈর্য ধরে এটা আপনাকে করতে হবে। তাহলে একটা সময় আপনি বড় অংকের টাকা জমাতে পারবেন। সঞ্চয় করার ক্ষেত্রে আপনি আমি আমাদের সকলকে একটা নিয়ম মেনে চলা উচিত।

আমরা অনেকেই এরকমটা করে থাকি ইনকামের টাকা খরচ করার পর যদি অবশিষ্ট থাকে তাহলে জমা করি কিন্তু আসলে এটা ভুল পদ্ধতি। আমাদের এটা করা উচিত ইনকামের টাকা প্রথমে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ আলাদা করে রেখে তারপর বাকি টাকা খরচ করা উচিত। তাহলে আমরা টাকা জমা করতে পারব অর্থাৎ সঞ্চয় করতে পারব। যারা কোটিপতি ব্যক্তি তারা কখনো ইনকামের চেয়ে খরচ বেশি করে না। তারা সব সময় ইনকামের একটা অংশ সঞ্চয় হিসেবে রেখে দেয়।

এজন্য কোটিপতি ব্যক্তিদের সম্পদ প্রতি বছর বাড়ে। আর যারা আয়ের চেয়ে ব্যয় করে বেশি তাদের প্রতিবছর ঋণের পরিমাণ বাড়তে থাকে। তাই আপনি যদি কোটিপতি হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সঞ্চয়ী মনোভাবের হতে হবে এবং প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করতে হবে তাহলেই আপনার পক্ষে কোটিপতি হওয়া সম্ভব। আর এটা আপনাকে ধৈর্য ধরে করতে হবে কেননা এটা একটা লম্বা প্রসেস।

সঠিক সঙ্গী এবং সহযোগী নির্বাচন

আপনাকে জীবনে সফল হতে হলে অবশ্যই সঙ্গী এবং সহযোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা আপনি যদি সঠিক সঙ্গী এবং সহযোগী নির্বাচন করতে না পারেন তাহলে আপনার পক্ষে সফল হওয়া সম্ভব নয়। জীবনে চলার পথে সঠিক সঙ্গী আপনাকে সফল হতে অনেকটাই সাহায্য করবে। আপনি যদি আপনার সঠিক সঙ্গে নির্বাচন করতে ভুল করেন তাহলে আপনার জীবন শেষ। তাহলে আপনি আর কখনোই সফলতা দ্বারপ্রান্তেই যেতে পারবেন না।

কেননা আপনার ভুল সঙ্গি সব সময় আপনার সফলতার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। আপনার যতই ট্যালেন্ট থাকুক না কেন আপনার ভুল সঙ্গী আপনার জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পিছন থেকে টেনে ধরবে। আপনি আপনার জীবন সঙ্গীর কাছ থেকে যে বিষয়গুলো আশা করবেন তা কখনো সে ভুল সঙ্গীর কাছ থেকে পাবেন না। আপনার জীবনে সফল হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই সঙ্গী নির্বাচনে অত্যন্ত বিচক্ষণ হতে হবে।

একইভাবে সহযোগী বা সহকর্মী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আপনাকে গুরুত্বের সাথে তা করতে হবে। কেননা আপনার সহযোগী বা সহকর্মী যদি বিশ্বস্ত না হয় এবং মনোযোগ দিয়ে কাজ না করে তাহলে আপনার পক্ষে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই আপনাকে জীবনের সফল হতে হলে অর্থাৎ কোটিপতি হতে হলে এ দুটো বিষয় খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। অন্যথায় আপনার জীবন শেষ হয়ে যাবে।

লেখক এর মন্তব্যঃ শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়

শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার জন্য উপরে অনেক বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। উপরে আলোচনাকৃত বিষয়গুলো যদি আপনি আপনার জীবনের সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে আপনি একটা সময় গিয়ে কোটিপতিদের কাতারের নাম লেখাতে পারবেন। তবে এই কাজগুলো আপনাকে ধৈর্য ধরে করতে হবে। কেননা এটা একটা লং জার্নি যেখানে আপনার ধৈর্য ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আরে জার্নি করার সময় অনেক ধরনের বাধা-বিপত্তি আসবে যেগুলোকে অতিক্রম করতে হবে আপনাকে ধৈর্যের সাথে। এই পথে চলতে গিয়ে অনেক সময় সফলতা আসবে আবার অনেক সময় ব্যর্থ হবেন কিন্তু আপনাকে বিচলিত হলে চলবে না। ব্যর্থতা আসলে সেখানে ধৈর্য সহকারে উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করতে হবে। আর সফল হলেও খুব বেশি আনন্দে উত্তেজিত হওয়ার দরকার নেই। স্থির ভাবে ধৈর্য ধরে ডেডিকেশন নিয়ে কাজ করেন একদিন দেখবেন সত্যি সত্যি আপনি কোটিপতি হতে পেরেছেন।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর এস ড্রিমস ব্লগেনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url