কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়

কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কতকানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় অর্থাৎ কানাডার ভিসা কিভাবে পাওয়া যাবে এ বিষয়টা আমাদের বেশিরভাগ মানুষেরই জানা নেই। তাই আপনাদের সুবিধার্থে কিভাবে কানাডার ভিসা পাওয়া যাবে এ বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনা। কানাডা একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ। সেখানকার জীবনযাত্রার মানও অনেক উন্নত।

কানাডা-ভিসা-পাওয়ার-উপায়

কানাডার ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় এ বিষয়ে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কানাডা অনেকের কাছে স্বপ্নের একটি দেশ। আর সে স্বপ্ন পূরণের জন্য অনেকে কানাডা যেতে চাই। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কানাডার ভিসা আপনারা কিভাবে পেতে পারেন।

পেজ সূচীপত্রঃ কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়

কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়

কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় জানা না থাকলে আমরা আমাদের স্বপ্নের দেশ কানাডায় যেতে পারবো না। কেননা ভিসা ছাড়া একটি দেশে যাওয়া সম্ভব না। তাই আপনাকে কানাডা যেতে হলে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে কিভাবে ভিসা পাওয়া যাবে কানাডায় যাওয়ার সেটা জানতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে আমরা কানাডা যাওয়ার ভিসা পেতে পারি।

কানাডা অনেক মানুষের স্বপ্নের দেশ। কানাডা মানুষ যেতে চায় সেখানকার উন্নত জীবন যাপন এবং উন্নতমানের শিক্ষার জন্য। একেক জন একেক উদ্দেশ্যে কানাডা যেতে চাই যেমন কেউ কাজের জন্য, কেউ শিক্ষার জন্য, কেউ চাকরির জন্য, কেউ আবার ঘুরার জন্য যেতে চাই। যে জন্যই কানাডা যেতে চান না কেন ভিসা আপনার লাগবেই।

আর ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে সর্ব প্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসার জন্য আবেদন আপনি অনলাইন অথবা অফলাইন যে কোনভাবেই করতে পারেন সেটা আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে। আপনি যদি ভিসা অফিসে গিয়ে আবেদন করতে চান তাহলে সেভাবেও করতে পারেন আর যদি মনে করে না অফিসের ঝামেলায় যেতে চান না তাহলে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।

কানাডায় ভিসা পাওয়ার সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে ফ্যামিলি স্পন্সারশিপ। কানাডায় যদি আপনার ফ্যামিলির কোন সদস্য থাকে কিংবা আত্মীয়-স্বজন থাকে তাহলে আপনার জন্য কানাডার ভিসা পাওয়ার সহজ হবে। কানাডা ভিসা পাওয়া শতভাগ নিশ্চিত। কানাডায় বসবাস করি আপনার কোন ফ্যামিলির সদস্য বা আত্মীয় স্বজন যদি আপনার জন্য স্পন্সর করে তাহলে আপনি সহজেই কানাডার ভিসা পেয়ে যাবেন।

এছাড়াও কানাডায় বসবাসকারী নাগরিকত্বা সনদ প্রাপ্ত কোন নাগরিক যদি আপনাকে স্পন্সর করে তাহলেও আপনি খুব সহজে কানাডায় যেতে পারবেন। আর আপনি যদি একটু টুরিস্ট ভিসার কানাডা যেতে চান তাহলে আপনাকে অনেকগুলো দেশ ভ্রমণ করতে হবে। অনেকগুলো দিয়েছি ভ্রমন যদি আপনি করে থাকেন তাহলে আপনার প্রোফাইল অনেক শক্তিশালী হবে।

তারপর আপনি কানাডা যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করলে আপনি সহজে ভিসা পেয়ে যাবেন। কেননা তারা আপনার প্রোফাইল দেখে বুঝে যাবে যে আপনি অনেক ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। তাই আপনাকে সহজেই ভ্রমণ ভিসা দিয়ে দিবে। এভাবে আপনি সহজে আপনার প্রোফাইল শক্তিশালী করে ভ্রমণ ভিসা নিয়ে কানাডায় যেতে পারেন।

 কানাডা ভিসা আবেদন কিভাবে করবেন

কানাডা ভিসা আবেদন কিভাবে করবেন এজন্য আপনাকে কানাডা সরকারের অভিবাসন এবং নাগরিকত্ব বিষয়ক পোর্টালে গিয়ে আবেদন করতে হবে। এ পোর্টালে গিয়ে ভিসার ধরন অনুযায়ী আপনাকে সেই অনুসারে আবেদন করতে হবে। ভিসা বিষয়ে যাবতীয় কাজ আপনি অনলাইনে করতে পারবেন।তারপর আপনার ভিসার আবেদনের কাজ করা শেষ হয়ে গেলে আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী বায়োমেট্রিক দেওয়ার জন্য আপনাকে ঢাকায় কানাডিয়ান এম্বাসিতে যেতে হবে।

বায়োমেট্রিক দেওয়া হয়ে গেলে আপনার ভিসা আবেদনের কাজ শেষ। এরপর আপনাকে ভিসা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এটা হল অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে।আর আপনি যদি অফলাইনে আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে কানাডিয়ান ভিসা অফিসে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে আসতে হবে আপনার কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে ভিসা আবেদনের জন্য।

আরো পড়ুনঃ কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত

তারপর সেগুলো আপনি ভিসা অফিসে গিয়ে জমা দিলে আপনার ভিসার আবেদনের কাজ ভিসা অফিসের কর্মকর্তারা করে দিবে। এরপর আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর বায়োমেট্রিক্স দেওয়ার জন্য ডাক দিবে। বায়োমেট্রিক্স দেওয়া হয়ে গেলে আপনার ভিসার আবেদনের কাজ শেষ। এভাবে আপনি কানাডার ভিসার জন্য অনলাইনে অথবা অফলাইনে আবেদন করতে পারেন।

কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ

কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ এটা নির্ধারিত খরচের পরিমাণ বলা একটু কষ্টকর। কেননা ভিসার ফি কত হবে সেটা আপনার ভিসার ধরনের ওপর নির্ভর করে। আপনি কোন ধরনের ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে চান সে অনুযায়ী আপনার ভিসার ফি হবে। আপনার ভিসার ধরন এবং এজেন্সির ওপর নির্ভর করে আপনার কানাডার ভিসার খরচ পড়বে। কেননা এক এক এজেন্সির খরচ একেক রকম।

কানাডায় যেহেতু মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে যায় সেহেতু কানাডার ভিসার খরচটাও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন আপনাকে একটু ধারণা দেই আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়তে পারে ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। আবার আপনি যদি কোন কাজ করার উদ্দেশ্যে কানাডা যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে.৮ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। 

কানাডা-ভিসা-পাওয়ার-উপায়
ভিসার খরচের এই হিসাবটা যে এই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকায় হবে এমনটা না এর চেয়ে কমও হতে পারে আবার এর চেয়ে বেশিও হতে পারে এটা  আপনাকে একটা ধারণা দেওয়া হলো যাতে আপনি কোন ধরনের ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে চান সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আপনার সুবিধা হয় এবং সে অনুযায়ী এগোতে পারেন।

কানাডা যেতে কত খরচ হয়

কানাডা যেতে কত খরচ হয় এটা নির্ভর করছে আপনার কাজের ধরনের ওপর। কানাডা যেহেতু একটি উন্নত দেশ এবং সেখানকার জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত সেতু সেখানে যাওয়ার জন্য খরচ একটু বেশি হয় অন্যান্য দেশের তুলনায়। আপনি কোন ভিসা নিয়ে যেতে চান সে অনুযায়ী আপনার খরচ হবে। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ তুলনামূলক কম হবে আর আপনি যদি কাজের  ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ একটু বেশি হবে।

কানাডা সরকার বাইরের দেশের মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা দিয়ে থাকেন। যেমন স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ভিজিট ভিসা, ড্রাইভিং ভিসা, কৃষি কাজের ভিসা, চাকরির ভিসা ইত্যাদি। এখানে প্রত্যেকটা ভিসা আলাদা আলাদা ধরনের এবং প্রত্যেকটা ভিসার জন্য খরচ আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তাই আপনি কোন ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে চান সেটার উপর নির্ভর করবে আপনার কত খরচ হবে।

কানাডা ভিসা পেতে কত সময় লাগে

কানাডা ভিসা পেতে কত সময় লাগে এটা নির্ভর করে আপনার ভিসার ধরনের ওপর। আপনি কোন ভিসা নিয়ে যাবেন সে অনুযায়ী আপনার ভিসা পেতে সময় লাগবে। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যান তাহলে আপনার সময় লাগতে পারে ১ থেকে ২ মাস। তবে কখনো কখনো সময় বেশিও লাগতে পারে। কেননা এজেন্সিতে সিরিয়াল অনুযায়ী কাজ করে তাই সিরিয়ালের জন্য আপনার সময় বেশিও লাগতে পারে

আরো পড়ুনঃ কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন

আর আপনি যদি ট্যুরিস্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার সময় লাগতে পারে.২ থেকে.৩ মাস। এ সময়টা হবে আপনার আবেদনপত্র সম্পন্ন করার পর বায়োমেট্রিক দেওয়া শেষ হলে তখন থেকে ২ থেকে ৩ মাস। আবার আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার ভিসা পেতে সময় লাগবে ৬ থেকে ৮ মাস।

কানাডা-ভিসা-পাওয়ার-উপায়

কখনো কখনো সময় আরো বেশি লাগতে পারে কেননা এজেন্সিতে সিরিয়াল অনুযায়ী কাজ হয় আর আপনার সিরিয়াল যদি সব থেকে নিচে পড়ে যায় তাহলে সময় আরো বেশি লাগবে। আবেদন পত্র করে বায়োমেট্রিক দেওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনসহ আরো অন্যান্য অনেক কাজ থাকে সেজন্য ভিসা হাতে পেতে সময় লেগে যায়।

আবার আপনি যদি জরুরী ভিত্তিতে কোন ভিসা পেতে চান অর্থাৎ আপনার আত্মীয়-স্বজন কেউ যদি কানাডায় থাকে সেখানে আপনার যাওয়ার প্রয়োজন হয় সেজন্য আপনার জরুরী ভিত্তিতে ভিসা প্রয়োজন সেক্ষেত্রে আপনি ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ভিসা পেতে পারেন তবে সেজন্য আপনাকে অতিরিক্ত ফি প্রদান করতে হবে।

সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়

সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় সবচেয়ে ঝুঁকিমুক্ত। কানাডা সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ভাবে যাওয়া যায়। সরকারিভাবে কানাডা গেলে তুলনামূলক খরচ কম হয়। কানাডা একটি উন্নত এবং সমৃদ্ধ দেশ এজন্য অনেকেরই স্বপ্ন থাকে কানাডা যাওয়ার। কানাডা সরকার বর্তমানে কানাডা যাওয়ার জন্য অনেক ধরনের ভিসা দিচ্ছে। সরকারিভাবে যাওয়ায় যেহেতু তুলনামূলক খরচ কম তাই এর চাহিদা অনেক বেশি।

সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য বেশ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী এসব যোগ্যতা ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার ILTS যোগ্যতা থাকতে হবে এবং ILTS এর সর্বনিম্ন পয়েন্ট 6 থাকতে হবে। আর আপনি যদি কোন কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে সেই কাজের যথেষ্ট যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে সেই সাথে আপনার ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হবে।

এসব যোগ্যতা যদি আপনার থাকে তাহলে আপনি আবেদন ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ফরম পূরণ করার পর সবকিছু যাচাই-বাছাই করে যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনাকে সরকারিভাবে ভিসা প্রদান করা হবে। এভাবে আপনি সকল কিছুর নিয়ম-কানুন মেনে আপনার যোগ্যতা প্রমাণ করে সরকারিভাবে কানাডা যেতে পারেন।

লেখক এর মন্তব্যঃ কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়

কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা উপরে বেশ কিছু আলোচনা করেছি যেখান থেকে আপনি ধারণা নিয়ে কানাডা যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারেন। কানাডা একটি উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে বর্তমানে পরিচিত। এজন্য অনেকেরই কানাডা যাওয়ার আগ্রহ এবং ইচ্ছা অনেক বেশি। সরকারি এবং বেসরকারি দুইভাবে কানাডা যাওয়া যায়।

আপনি সরকারিভাবে চেষ্টা করে দেখতে পারেন যদি আপনার সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার যে ক্যাটাগরি রয়েছে সে অনুযায়ী আপনার যোগ্যতা থাকে। সরকারিভাবে চেষ্টা করে যদি আপনি যেতে না পারেন তাহলে আপনার যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে বেসরকারিভাবেও বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে আপনি কানাডা যেতে পারেন। অনেকে বেসরকারিভাবে কানাডা গিয়েও সেখানে কাজ করে উন্নত জীবন যাপন করছে আপনিও চেষ্টা করতে পারেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর এস ড্রিমস ব্লগেনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url