মোবাইল দিয়ে ফ্রীলান্সিং কিভাবে শিখবো
অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশমোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই প্রশ্নের উত্তর যদি আপনি জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকে আমরা আলোচনা করব কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা অনেক সহজ। আপনার যদি কাজ করার আগ্রহ এবং ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি সেটা মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কিছু বিষয় জানতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।
পেজ সূচীপত্রঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
- মোবাইল দিয়ে কি সত্যিই ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপস
- ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য মোবাইল বাছাই
- মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এ কি ধরনের কাজ করা যায়
- মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন কাজ নির্বাচন
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার অসুবিধা
- লেখক এর মন্তব্যঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এ বিষয়টি আমাদের অনেকের মাথার ভিতর
ঘুরপাক খায়।আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনারা অবশ্যই মোবাইল দিয়ে
ফ্রিল্যান্সিং শেখার বিষয়টি সম্পর্কে অনেক ধারণা পাবেন। মোবাইল দিয়ে
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে গেলে আমাদের বেশ কিছু কাজ করতে হবে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে গেলে প্রথমেই আপনাকে নির্বাচন করতে হবে
আপনি আসলে কোন কাজ শিখতে চান। তারপর আপনাকে ওই কাজ সম্পর্কে ইউটিউবে
সার্চ দিতে হবে। ইউটিউবে অনেক ধরনের ভিডিও দেওয়া থাকে। সেখানে সার্চ দিয়ে
আপনি আপনার কাজ সম্পর্কিত অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে ভিডিও
দেখে আপনি কাজ শিখতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে ভিডিও গুলো দেখে দেখে আপনি আপনার পছন্দ মতন কাজ শিখে নিতে পারবেন
ফ্রিতে। যেখানে আপনার এক টাকাও খরচ করতে হবে না। অযথা আপনি ফেসবুক
চালিয়ে সময় নষ্ট না করে ইউটিউব দেখে আপনার পছন্দমত কাজ শিখে সেখান থেকে আপনি
ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং শিখে কাজ করলে আপনি অনেক ভাল
পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন।
যেকোন স্কিল শেখার পর নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে। প্র্যাকটিস ছাড়া আপনি
কোন কাজই ভালোভাবে করতে পারবেন না। তাই আপনি যদি ভালোভাবে কাজটি শিখতে চান
অবশ্যই ইউটিউব ভিডিও দেখার পর সিটি তারা যেভাবে বলবে ভিডিওতে সেভাবে সেভাবে
আপনাকে কাজটি প্র্যাকটিস করতে হবে। তাহলে আপনি ভালোভাবে কাজটি আয়ত্ত করতে
পারবেন।
মোবাইল দিয়ে কি সত্যিই ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব
মোবাইল দিয়ে কি সত্যিই ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব এই কথাটা অনেকেরই জানার
আগ্রহ। কারণ অনেকেই জানেন না মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা
সম্ভব। যদিও মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে তবুও
সঠিক স্কিল এবং টুলস ব্যবহার করলে সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। মোবাইল
দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করলে সহজেই কম খরচে কাজ শুরু করা যায়।
কারণ মোবাইল যত টাকা দিয়ে কিনা যায় কম্পিউটার সে টাকার মধ্যে কেনা সম্ভব হয়
না। তাই আপনার যদি অল্প পুঁজি থাকে তাহলে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে প্রথমে
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করতে পারেন। আপনার ইচ্ছা শক্তি থাকলে এবং কাজ
করার আগ্রহ থাকলে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন।
আরও পড়ুনঃ অল্পপুজিতে লাভজনক ব্যবসা-১৩টি উপায়
এখন অনেক অ্যাপস আছে যেগুলো মোবাইল ফ্রেন্ডলি যেমনঃক্যানভা, গুগল ডক্স, ফাইবার,
আপ ওয়ার্ক ইত্যাদি। নতুনদের জন্য মোবাইল দিয়ে বেসিক কাজ করা একটি ভালো
সুযোগ। যেমনঃ কনটেন্ট রাইটিং, ডিজাইনিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
ইত্যাদি মোবাইল দিয়েই সহজে করা যায়।মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং ও করা যায়
খুব সহজে।
তবে মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার কিছু অসুবিধা রয়েছে। যেমন অ্যাডভান্স কোডিং
এর কাজ এগুলো মোবাইল দিয়ে করা যায় না পিসির প্রয়োজন হয়। মোবাইলের
স্ক্রিন যে তুই ছোট তাই দীর্ঘ সময় কাজ করলে অসুবিধা হয়। মোবাইলের স্টোরেজ
বা ব্যাটারি বেশি ব্যবহৃত হলে মোবাইলের সমস্যা হতে পারে।পিসির ভার্সনের
তুলনায় মোবাইল ভার্সনে ফিচার কম থাকে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপস
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপস অনেক ধরনের রয়েছে। যে এপসগুলো দিয়ে
আপনি কাজ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস অ্যাপস এগুলোতে প্রোফাইল তৈরি
করে ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে আপনি কাজ নিতে পারেন। যেমনঃ
- Fiverr: এটি মার্কেট প্লেস এর একটি অ্যাপ। এটি ছোট ও সহজ কাজ করার জন্য উপযুক্ত একটি অ্যাপস। মোবাইলে অ্যাপ টি ব্যবহার করে আপনি প্রোফাইল তৈরি করে কাজ করতে পারবেন।
- Upwork: এটিও মার্কেটপ্লেস এর একটি অ্যাপস। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদী এবং বড় প্রকল্পের জন্য সুবিধা।মোবাইলে এ অ্যাপটি দিয়ে ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করা যায় এবং কাজ সাবমিট করা যায়।
- Freelancer.com: এটি বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য উপযুক্ত একটি অ্যাপস। যেমন, কাজের বিড করা এবং চ্যাটের মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলা ইত্যাদি করা যায় এই অ্যাপস এর মাধ্যমে।
- Toptal: এটি অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য উপযুক্ত একটি অ্যাপ।এ অ্যাপটি ব্যবহার করে মোবাইল এর মাধ্যমে কাজ খুঁজে ক্লায়েন্টদের সাথে আপনি কাজ করতে পারবেন।
- PeoplePerHour: সময় ভিত্তিক কাজের জন্য এই অ্যাপটি উপযুক্ত। একটি মোবাইলের সহজে ব্যবহার করা যায়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিংঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ভিডিও
এডিটিং এর জন্য কতগুলো অ্যাপস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে সহজে গ্রাফিক্স ডিজাইন ও
ভিডিও এডিটিং করা যায়। যেমনঃ
- Canva: একটি লোগো ডিজাইন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ও পোস্টার ডিজাইন এর জন্য একটি ভাল অ্যাপ।
- Adobe Express: এটি একটি সহজ গ্রাফিক্স ডিজাইন টুলস।
- PiceArt: এটি একটি মোবাইল ভিত্তিক ইমেজ এডিটিং অ্যাপস যার মাধ্যমে সহজে ইমেজ এডিট করা যায়।
- Kinemaster:এটি একটি সহজ ভিডিও এডিটিং অ্যাপস। এটি দিয়ে সহজে সুন্দরভাবে ভিডিও এডিটিং করা যায়।
- CapCut: এটিও একটি ভিডিও এডিটিং এর অ্যাপস। এটির মাধ্যমে শর্ট ভিডিও এডিটিং করা সবচেয়ে ভালো হয়।
- InShot:এটিও একটি ভিডিও এডিটিং এর অ্যাপস যার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও এডিটিং করা সহজ হয়।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য মোবাইল বাছাই
ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য মোবাইল বাছাই করা অবশ্যই জরুরী। কারণ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে সঠিক মোবাইল বাছাই করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আপনার কাজের ধরন এবং প্রয়োজনীয় টুলসের উপর ভিত্তি করে ভালই স্মার্টফোন বেছে নিতে হবে। মোবাইল ফোন বাছায়ের ক্ষেত্রে এখানে কিছু বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে।
স্মার্টফোনের প্রসেসর এবং পারফরম্যান্স কিরকম তার ওপর ভিত্তি করে আপনার কাজের গতি নির্ভর করে। অর্থাৎ এখানে আপনাকে মোবাইলে প্রসেসর এবং পারফরমেন্সের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।আপনার মোবাইলে কমপক্ষে Snapdragon 720G, Dimensity 900 বা সমমানের প্রসেসর থাকা উচিত ।
ভালো পারফর্মেন্সের জন্য কমপক্ষে 6GB RAM এবং 128GB স্টোরেজ প্রয়োজন। ভিডিও বা গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য বেশি স্টোরেজ প্রয়োজন হলে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করতে পারেন। বড় এবং উচ্চ মানের ডিসপ্লে হলে গ্রাফিক ডিজাইন বা ভিডিও এডিটিং সহজ হয়। দীর্ঘ সময় কাজ করার জন্য লং লাইফ ব্যাটারি এবং দ্রুত চার্জিং সুবিধা থাকা অবশ্যই দরকার।
আরও পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অবশ্যই মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেম ভালো হতে হবে। যদি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট বা ফটোগ্রাফি সম্পর্কিত কাজ করতে চান তাহলে মোবাইলের ক্যামেরা অবশ্যই ভালো হতে হবে। কেননা ক্যামেরা ভালো না হলে আপনি ভাল ফটোগ্রাফি করতে পারবেন না।
আপনার বাজেট এবং কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে ফোন বাছাই করুন। আপনি যদি
লেখালেখি বা বেসিক ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে চান তাহলে বাজেট ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোনই
যথেষ্ট। আর আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ভিডিও এডিটিং এর মত কাজ করতে চান
তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে একটু ভালো রেঞ্জের ফোন ব্যবহার করতে হবে।
মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন
মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করা সম্ভব। বর্তমানে অনেক অ্যাপস আছে যা আপনি
সহজে মোবাইল দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তবে কিছু অসুবিধা রয়েছে যেমন
কমপক্ষে বড় স্ক্রিন এবং পিসির তুলনায় কিছু ফিচার কম পাওয়া যায়। তবে গ্রাফিক
ডিজাইনের অনেক কাজ মোবাইল দিয়েও করা যায়। কিছু অ্যাপস আছে যেগুলো দিয়ে
আপনি সহজেই মোবাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারবেন।
ক্যানভা একটি সহজ অ্যাপস যার মাধ্যমে আপনি সহজেই লোগো বানান, সোশ্যাল
মিডিয়া পোস্ট, প্রেজেন্টেশন এবং আরও অনেক কিছু ডিজাইন করতে পারবেন। এডোবি
এক্সপ্রেস এর মাধ্যমেও আপনি সহজে লোগো, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়া
কনটেন্ট ইত্যাদি তৈরি করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনি ফ্রি ডিজাইন টেমপ্লেট ব্যবহার করে
কাজ শুরু করবেন। কারণ টেমপ্লেট গুলোতে আপনার কাস্টমার করতে সুবিধা
হবে। উচ্চমানের ইমেজ ব্যবহার করুন কারন ডিজাইন এবং পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে
ছবির গুণগত মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খুব জটিল ডিজাইন করার দরকার নেই
ক্লিয়ার এবং সিম্পল ডিজাইন বেশি কার্যকর হয়।
ডিজাইন সহজে পাঠযোগ্য এবং আকর্ষণীয় করার জন্য ফ্রন্ট এবং রং সঠিক ব্যবহার
করুন। আপনি কোন কাজ করতে চাচ্ছেন সেই কাজটি নির্দিষ্ট করুন। আপনি যদি
মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে চান তবে এটি আপনার জন্য একটি চমৎকার
সুযোগ। আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে কাজ নিতে পারেন। যেখানে গ্রাফিক
ডিজাইনের কাজের জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এ কি ধরনের কাজ করা যায়
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কি ধরনের কাজ করা যায় এখন এ প্রশ্ন আপনার মনে
আসতে পারে।মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেক ধরনের কাজ করা যায়। এখানে
কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজের কথা উল্লেখ করা হলোঃ
মোবাইল দিয়ে অনেক ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা যায় আপনি আর্টিকেল রাইটিং,
ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন,ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি কাজ করতে
পারেন। মোবাইলে আর্টিকেল রাইটিং করে আপনি আর্টিকেল রাইটিং এর জব করতে
পারেন। অথবা নিজের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করতে
পারেন।
ভাষা অনুবাদের কাজও আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারেন। আপনি যদি মাল্টিপল ভাষা
জানেন তাহলে সহজে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে ভাষা অনুবাদ এর কাজ করে ইনকাম করতে
পারেন।মোবাইল অ্যাপস যেমন কিনেমাস্টার, ইনশট ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি বেসিক ভিডিও
এডিটিং এর কাজ করতে পারেন।
আপনি মোবাইল দিয়ে অনলাইন ক্লাস এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করতে পারেন।
যেমনঃ ভাষা, গণিত অথবা অন্যান্য স্কিল শেখানোর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের আপনি
উপকার করতে পারেন। এতে আপনার অর্থ উপার্জন হবে সেই সাথে ছাত্রছাত্রীদের
উপকার হবে। এভাবে মোবাইলের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন প্রকার ফ্রিল্যান্সিং এর
কাজ করে নিজে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন কাজ নির্বাচন
মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন কাজ নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ আপনি যে কোন কাজ নির্বাচন করলেই মোবাইল দিয়ে সেটা করতে পারবেন না। মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। তাহলে আপনি আপনার দক্ষতা দিয়েছে কাজটি মোবাইলের মাধ্যমে করতে সক্ষম হবেন।
মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন যে কাজটি আপনি নির্বাচন করবেন সে কাজটি আপনাকে
ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। এবং আপনার দক্ষতা দিয়ে যে কাজটি বারবার
প্র্যাকটিসের মাধ্যমে আপনাকে ভালোভাবে শিখে নিতে হবে। সঠিক কাজ নির্বাচন করে
কাজ করলে আপনি সেই কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার অসুবিধা
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার অসুবিধা রয়েছে বেশ কিছু। প্রত্যেক
জিনিসেরই কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে তেমনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করারও
কিছু অসুবিধা রয়েছে।মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে সব ধরনের কাজ করা যায়
না। যেমন কোডিং এর কাজ এগুলো পিসি ছাড়া মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব না।
মোবাইলের স্ক্রিন যেহেতু তুলনামূলক ছোট সেজন্য দীর্ঘ সময় কাজ করলে অসুবিধা
হয়। মোবাইল দিয়ে কাজ করার সময় দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে
অনেক সময় চোখেরও সমস্যা হয়। মোবাইল দিয়ে কাজ করতে করতে অনেক সময়
মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে যাই তখন আর কাজ করা সম্ভব হয় না। সব মিলিয়ে কিছু
সমস্যা থেকেই যাই।
লেখক এর মন্তব্যঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এ বিষয় নিয়ে উপরে বেশ কিছু
আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
শিখার ব্যাপারে আপনি বেশ কিছু ধারনা পাবেন।তবে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে
আপনার নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়েই শিখতে হবে। আগ্রহ এবং ইচ্ছা থাকলে সবই
সম্ভব।
অনেকেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখেছেন এবং শুরু করেছেন এবং সেখান থেকে সফল
হয়েছেন।তবে দীর্ঘমেয়াদে উন্নত এবং ভালো মানের কাজ করার জন্য একটি ল্যাপটপ বা
পিসি অবশ্যই দরকার।শুরুতে মোবাইল দিয়ে বেসিক স্কিন শিখা এবং কিছু ছোট কাজ শুরু
করাই যেতে পারে। সঠিক পরিকল্পনা এবং ইচ্ছাশক্তি থাকলে মোবাইল দিয়েও ভালো
ইনকাম করা সম্ভব।
আর এস ড্রিমস ব্লগেনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url