বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশবাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানতে হলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ আছে যারা ঘরে বসে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করছে। পার্ট টাইম জব হিসেবে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আর আর্টিকেল লিখতে হলে আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানতে হবে।

বাংলা-আর্টিকেল-লেখার-নিয়ম

তাই আজকে আমি আপনাদের আর্টিকেল লেখার নিয়ম শেখাবো। আশা করছি সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন। আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি আর্টিকেল লেখা শিখে যাবেন।

পেজ সূচীপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম 

টাইটেল বা শিরোনাম লেখার নিয়ম

একটি আর্টিকেলের মধ্যে টাইটেল বা শিরোনাম যেন ৫ থেকে ১০ শব্দের মধ্যে হয় এবং আর্টিকেল টাইটেল বা শিরোনাম পড়ে যেন খুব সহজে বুঝা যায় পুরো আর্টিকেলে কি বিষয়বস্তু থাকছে। অনেক পাঠক আছে শুধুমাত্র টাইটেল পড়ে চলে যায় পুরো আর্টিকেল পড়ে না। কারণ তাদের আর্টিকেলের টাইটেল পছন্দ হয় না

লিস্ট বেজ শব্দ যেমন ৫টি ১০টি ইত্যাদি আর্টিকেলের টাইটেল বা শিরোনামে রাখলে পাঠকরা আর্টিকেলটি পড়তে আকৃষ্ট হয়। টাইটেল বা শিরোনাম লেখার নিয়ম নিচে দেওয়া হলঃ

  •  পোস্টের টাইটেল বা শিরোনাম ৫ থেকে ১০ শব্দের মধ্যে হতে হবে।
  •  টাইটেল এর মধ্যে একটি বা দুটি মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড বসাতে হবে।
  •  টাইটেলের স্পেশাল ক্যারেক্টার এর ব্যবহার নিষিদ্ধ।
  •  শুধুমাত্র দুইটি ফোকাস কিওয়ার্ড এর মাঝখানে হাইফেন(-) ব্যবহার করতে হবে।

ভূমিকা লেখার নিয়ম

শুরুতে আর্টিকেলের মধ্যে চার থেকে পাঁচ লাইনের ভূমিকা লিখা উচিত। যেন শুরুতেই পাঠক বুঝতে পারে যে পুরো ব্লগ পোস্ট এর মধ্যে কি কি বিষয় আলোচনা করা হবে। অনেক পাঠক আছে যারা শুধুমাত্র ভূমিকা পড়ার পর আর আর্টিকেল পড়ে না। তাই একটি আর্টিকেলের জন্য ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । নিচে ভূমিকা লেখার নিয়ম দেওয়া হলঃ

  •   কি বিষয়ে পোস্টে আলোচনা করতে যাচ্ছি এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা ভূমিকাতে থাকতে হবে।
  •   ভূমিকা লেখা শুরুর আগে কোন গ্যাপ থাকা যাবে না।
  •   ভূমিকার মধ্যে ২ থেকে ৩ বার মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড দিতে হবে।
  •   ভূমিকা তিন থেকে চার লাইনের মধ্যে হলে ভালো হয়।
  •   পুরো পোষ্টের মধ্যে ১২ থেকে ১৫ বার মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড দিতে হবে।
  •    ভূমিকা দুইটি ভাগে লিখতে হবে। 
  •   প্রথমে দুই লাইন লিখার পর মাঝখানে ফিচার ইমেজ দিয়ে তারপর আবার দুই লাইন লিখতে হবে।

ফিচার ইমেজ দিতে হবে

প্রত্যেকটি আর্টিকেলের ভেতরে ন্যূনতম দুইটি প্রাসঙ্গিক ফিচার ইমেজ দিতে হবে। পাঠকরা শুধু লাইনের পর লাইন পড়তে পছন্দ করে না। প্রাসঙ্গিক ফিচার ইমেজে দেখতে চাই। তাই আর্টিকেলের মধ্যে ফিচার ইমেজ ব্যবহার করা আবশ্যক। ফিচার ইমেজ কোন আর্টিকেলকে অর্থবোধক করে তোলে।

ফিচার ইমেজ বসানোর কিছু নিয়ম নিচে দেওয়া হলঃ

  •   টাইটেল ও ফিচার ইমেজ এর টেক্সটে যেন ভিন্নতা থাকে। অর্থাৎ আলাদা আলাদা হতে হবে।
  •   আর্টিকেলের মধ্যে ফিচার ইমেজ গুলো সেন্টার অ্যালাইনমেন্ট ব্যবহার করা উচিত।
  •   ফিচার ইমেজ নির্দিষ্ট সাইজের হতে হবে। 

বাংলা-আর্টিকেল-লেখার-নিয়ম

পেজ সূচীপত্র লিখার নিয়ম

পেজ সূচীপত্র লিখার নিয়ম অবশ্যই জানা জরুরী।কোন আর্টিকেলের সূচিপত্র দেখে বোঝা যায় যে সে আর্টিকেলে কি কি বিষয়বস্তু লেখা আছে। পুরো আর্টিকেলের মধ্যে যে বিষয়টি আপনার প্রয়োজন সেটি আপনি পেজ সূচিপত্রের মাধ্যমে খুব সহজেই খুঁজে পাবেন। সূচিপত্রের দেওয়া বিষয়বস্তুর ওপর ক্লিক করলে আপনি সরাসরি সেই বিষয়বস্তুর মধ্যে চলে যাবেন।

সূচিপত্র লেখার নিয়ম নিচে দেওয়া হলঃ

  •   সকল ধরনের হেডিং বা সাব হেডিং পেজ সূচিপত্রের আন্ডারে থাকবে।
  •   পেজ  সূচিপত্রের প্রত্যেকটি হেডিং কে নাম্বার লিস্টিং করতে হবে।
  •   নাম্বার লিস্টের পরে সেই নাম্বার লিস্টের মধ্যে তার প্রকারভেদ অনুযায়ী লিস্টিং করতে হবে।
  •   পেজ সূচীপত্রের বিষয়গুলো লিঙ্ক আপ করতে হবে।

আরো পড়ুন সেকশন ব্যবহার করার নিয়ম

আপনি যে বিষয়বস্তুর ওপর আর্টিকেল লিখেছেন সেই বিষয়বস্তুর সাথে মিল আছে এমন কোন আর্টিকেলের লিংক যুক্ত করতে পারেন ''আরো পড়ুন'' সেকশনে। যাতে পাঠক অন্য ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল পড়তে পারে এবং উপকৃত হতে পারে।

আরো পড়ুন সেকশন ব্যবহার করার নিয়ম নিচে দেওয়া হলঃ

  •   আরো পড়ুন সেকশন ২ প্যারাগ্রাফের মাঝখানে দিতে হবে।  
  •   আরো পড়ুন সেকশন নিচের দিকে দিতে হবে।
  •   পুরো পোষ্টের মধ্যে আরো পড়ুন সেকশন তিন থেকে চার জায়গায় দিতে হবে।
  •   আরো পড়ুন সেকশনে রিলেটেড ব্লগ পোস্ট এর বা আর্টিকেলের এবং পোস্টের লিংক দিতে হবে।

পোস্ট ফরমেটিং করতে হবে

আপনি যখন পুরো পোস্টটিকে জাস্টিফাই এলাইনমেন্টে রাখবেন তখন পুরো পোস্টটি বইয়ের লেখার মত দেখতে হবে। এরকম ফরমেট এর আর্টিকেল পাঠকরা পছন্দ করে। এরকম আর্টিকেল পড়তে পাঠক আগ্রহী হয়। তাই পোস্ট ফরমেটিং করা অত্যন্ত জরুরি।

নিচে পোস্ট ফরমেটিং এর নিয়ম দেওয়া হলঃ

  •   সম্পূর্ণ পোস্টকে জাস্টিফায় এলাইনমেন্ট এ রাখতে হবে।
  •   পুরো পোস্টে জাস্টিফাই এলাইনমেন্ট ব্যবহার করা উচিত।
  •   আর্টিকেলের মধ্যে ফিচার ইমেজ গুলো সেন্টার অ্যালাইনমেন্ট ব্যবহার করা উচিত।

ফোকাস কিওয়ার্ড কি? 

ফোকাস কিওয়ার্ড হলো একটি আর্টিকেলের প্রাণ। কারণ আর্টিকেল এসইও করার ক্ষেত্রে ফোকাস কিওয়ার্ড অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুরো আর্টিকেলের মধ্যে যদি আপনি ফোকাস কিওয়ার্ড ইমপ্লিমেন্ট করেন তাহলে আপনার আর্টিকেলটি গুগল সার্চ রেঙ্কে প্রথমের দিকে দেখাবে এবং আর্টিকেলে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর আসবে।

তাই পুরো আর্টিকেলের মধ্যে ১২ থেকে ১৫ বার ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। ফোকাস কিওয়ার্ড ছাড়া কোন আর্টিকেল গুগল সার্চ রেঙ্কে আসে না। এখন প্রশ্ন হল ফোকাস কিওয়ার্ড আসলে কি ? চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ফোকাস কিওয়ার্ড কি? ধরুন, কিভাবে বাংলা আর্টিকেল লিখতে হয় সেই নিয়ম আপনি জানেন না।

তাহলে আপনি কিভাবে জানবেন? নিশ্চয়ই আপনি গুগল সার্চ বাড়ি গিয়ে সার্চ করবেন তাইনা? তো গুগলে কি লিখে সার্চ দিবেন বলুন দেখি। নিশ্চয়ই আপনি আর্টিকেল লেখার নিয়ম বা বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এভাবে লিখে সার্চ দিবেন তাই না? এই "আর্টিকেল লিখার নিয়ম" এটাই হলো ফোকাস কি ওয়ার্ড।

লাইন গ্যাপ এবং এন্টার দেওয়ার নিয়ম

অনেকেই আছেন যারা ২ প্যারাগ্রাফের মধ্যে অনেকবেশি লাইন গ্যাপ দিয়ে থাকেন। আর্টিকেল লেখার সঠিক নিয়ম হল সর্বোচ্চ দুইটি শব্দের মাঝখানে একটা গ্যাপ এবং প্যারাগ্রাফের মধ্যে এক লাইন গ্যাপ ব্যবহার করা। বাংলা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন।

লাইন গ্যাপ এবং এন্টার দেওয়ার নিয়ম নিচে দেওয়া হলঃ

  •   দুইটি প্যারার মাঝখানে দুইটা এন্টার ব্যবহার করতে পারেন।
  •   বেশি লাইন গ্যাপ দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং করা যাবে না। পোস্ট এর মধ্যে অতিরিক্ত এন্টার দেওয়া    যাবে না।
  •   একটা শব্দের পর অন্য শব্দের মাঝে অতিরিক্ত দুই তিনটা স্পেস দেওয়া যাবে না।

আর্টিকেলের মধ্যে "আপনি"  "আমি" শব্দের ব্যবহার

আর্টিকেলের মধ্যে "আপনি" "আমি" শব্দের ব্যবহার করে পুরো আর্টিকেলটি উপস্থাপন করেন তাহলে আপনার আর্টিকেলটি বেশি সুন্দর হবে। "আপনি" "আমি" ব্যবহার করার কারণে পাঠক মনে করবে আপনি তার সাথে গল্প করছেন।এজন্য পাঠক আপনার আর্টিকেলটি খুব উৎসাহ নিয়ে পড়বে। তাই পুরো পোষ্টের মধ্যে "আপনি" "আমি" শব্দগুলো বারবার ব্যবহার করবেন।

আর্টিকেলের বডি

আর্টিকেলের বডি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।একটি পারফেক্ট আর্টিকেলের মধ্যে ন্যূনতম ৭ থেকে ৮ টি হেডিং রাখা উচিত। আর একটি আর্টিকেলের মধ্যে ন্যূনতম ১৫ টি প্যারা রাখা উচিত। একটি আর্টিকেল এর মধ্যে সব মিলিয়ে সর্বনিম্ন দুই হাজার বা তার বেশি শব্দ ব্যবহার করা উচিত।

কোন কিছুর বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা অসুবিধা লিখার সময় সেগুলো প্যারাগ্রাফ এর মত লাইনের পর লাইন না লিখে নাম্বার লিস্ট বা বুলেট লিস্ট আকারে লেখা উচিত। একটি আর্টিকেলের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রাসঙ্গিক অন্য আর্টিকেলের লিংক রাখা উচিত যাতে করে পাঠকরা সে ব্যাপারে আরো অন্যান্য তথ্য বিস্তারিত জানতে পারে।

স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম

স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম জানা একটি প্রয়োজনীয় বিষয় আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে।আপনি যদি বাংলা কনটেন্ট রাইটিং জব বা ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন রাইটিং করতে চান তাহলে প্রফেশনাল স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম অবশ্যই জানতে হবে। স্ক্রিনশট ইমেজে কোন অতিরিক্ত অংশ যেন না থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। 

বাংলা-আর্টিকেল-লেখার-নিয়ম
যাতে বাংলা কনটেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে কোন সমস্যা না হয়। স্ক্রিনশর্ট বা ফিচার ইমেজে অপ্রয়োজনীয় অংশ থাকলে তা ক্রপ করে ফেলতে হবে।স্ক্রিনশট ইমেজের কোন অংশে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছেন তা লাল কালি বা বিভিন্ন ধরনের কালি দিয়ে মার্ক করে দেখানো উচিত। তাহলে খুব সহজে পাঠক বিষয়বস্তুতি বুঝতে পারবেন।

ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স ইমেজ

ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স ইমেজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর্টিকেল লাখার ক্ষেত্রে।আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলোর মধ্যে অন্যতম নিয়ম হলো কপিরাইট মুক্ত ছবি আর্টিকেলের মধ্যে ব্যবহার করা। কপিরাইট যুক্ত ছবি আর্টিকেল এর মধ্যে দেওয়া যাবে না। আর যদি আপনি কপিরাইট মুক্ত ছবি আর্টিকেলের মধ্যে ব্যবহার করতে চান।

তাহলে আপনাকে অবশ্যই ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স ফিল্টার থেকে ইমেজ ব্যবহার করতে হবে। কিভাবে ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স থেকে ইমেজ ডাউনলোড করবেন সেটি নিচে দেওয়া হলঃ প্রথমে আপনি যে ইমেজটি নিতে চাচ্ছেন তা লিখে গুগলে সার্চ দিবেন। তারপর সেখান থেকে ইমেজ লেখা অপশনে গিয়ে ক্লিক করবেন।

তারপর টুলস লেখা জায়গায় গিয়ে ক্লিক করবেন। টুলসে ক্লিক করার পর যে অপশন আসবে সেখানে গিয়ে ইউজেস রাইটসে ক্লিক করবেন। এরপর যে অপশন আসবে সেখানে গিয়ে ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স অপশনে ক্লিক করবেন। তারপর যে ইমেজ আসবে সেখান থেকে ইমেজ নিয়ে ডাউনলোড করবেন। এভাবে ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স ইমেজ ব্যবহার করবেন।

লেখক এর মন্তব্যঃবাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম 

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে উপরে অনেক কিছু আলোচনা করা হয়েছে।আশা করি আপনারা পোস্টটি পড়ে বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এভাবে নিয়ম মেনে আর্টিকেল লিখলে আর্টিকেলটি সহজে গুগল সার্চ র‍্যাংকিং এ যাওয়া সম্ভব। আপনি আপনার দক্ষতা দিয়ে যতটা সম্ভব মানসম্পন্ন আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেন।

উপরের দেওয়া নিয়মগুলো মেনে আপনি যদি একটি আর্টিকেল লিখেন তাহলে অবশ্যই আপনার আর্টিকেলটি পাঠক পড়বে এবং গুগল এ সহজে র‍্যাংকিং হবে। আর্টিকেলের ফোকাস  কিওয়ার্ড এমন ধরনের নির্বাচন করতে হবে জেনো পাঠক আর্টিকেলের টাইটেল দেখেই আর্টিকেলটি পড়তে আগ্রহী হয়। অর্থাৎ টাইটেল আকর্ষণীয় হতে হবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর এস ড্রিমস ব্লগেনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url