মিল্কশেক এর ১০টি উপকারীতা ও অপকারীতা

চিয়াসিডের উপকারিতা ও অপকারিতামিল্কশেক এর উপকারীতা ও অপকারীতা অনেক। মিল্কশেক একটি উপকারী পানীয়।মানবদেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণে মিল্কশেকের কোন বিকল্প নেই।এটি বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাদ্যদ্রব্যের সংমিশ্রণে তৈরি হয়।

মিল্কশেক-এর-উপকারীতা-ও-অপকারীতা
 মিল্কশেকে ভিটামিন 'বি' কমপ্লেক্স থাকার কারনে শরীরের স্নায়ুগুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়।দুধ ও ফলের মিশ্রণে তৈরি মিল্কশেক আমাদের শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং আমাদের শরীর ও মনকে রাখে সতেজ।

পেজ সূচীপত্রঃ মিল্কশেক এর উপকারীতা ও অপকারীতা 

মিল্কশেক এর উপকারীতা ও অপকারীতা

মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা। এটি ঘুম আসতে সাহায্য করে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে আমরা যদি প্রতিদিন মিল্কশেক খায় তাহলে অবশ্যই আমাদের এর উপকারীতা ও অপকারীতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। মিল্কশেকে থাকা দুধ  ক্যালসিয়ামের একটি প্রধান উৎস,যা হাড় ও দাঁতের গঠন এবং তাদের শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।

দুধ থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন শরীরের পেশি গঠনে সহায়তা করে এবং শক্তি প্রদান করে। মিল্কশেকে ব্যবহৃত ফল থেকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেল পাওয়া যায়,যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ত্বকের উন্নতি ঘটায়।দুধে থাকা কার্বোহাইড্রেট দ্রুত শক্তি প্রদান করে , যা ক্লান্তি দূর করে। এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি পানীয়।

মিল্কশেক এর উপকারীতাঃ

শরীরে পুষ্টির যোগান দেয়ঃ মিল্কশেকে প্রচুর পরিমানে দুধ, ফল ও বাদাম থাকে , যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।এতে ক্যালসিয়াম,প্রোটিন এবং ভিটামিন থাকে যা হাড় ও দাঁতের জন্য ভাল।

শক্তি বৃদ্ধি করেঃ মিল্কসেক শরীরে শক্তি যোগায়,বিশেষ করে যখন ফলের সাথে কার্বোহাইড্রেট থাকেে। এটি সকালের নাস্তা বা ব্যায়ামের পরে পান করা যেতে পারে।

শরীর ঠান্ডা রাখেঃ বিশেষত গরমের সময় এটি শরীরকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে।এতে থাকা দুধ এবং ফল শরীরকে ঠান্ডা রাখে।

আরও পড়ুনঃ টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ওজন বৃদ্ধিতে সহায়কঃ যারা ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য মিল্কসেক একটি সহজ সমাধান হতে পারে। পুষ্টিকর উপাদানগুলির কারনে এটি সুস্থভাবে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।তাই মিল্কশেক তৈরিতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যোগ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

মিল্কশেক এর অপকারীতাঃ 

অতিরিক্ত চিনিঃ অনেক মিল্কশেকে অতিরিক্ত চিনি থাকে, যা নিয়মিত খেলে ওজন বাড়ে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

ল্যাক্টোজ ইন্টলারেন্সঃ যাদের ল্যাক্টোজ ইন্টলারেন্স রয়েছে তাদের মিল্কশেক খাওয়া ঠিক না কারন দুধ খাওয়ার পরে হজমের সমস্যা হতে পারে।

ওজন বৃদ্ধিঃ যদি নিয়মিত উচ্চ ফ্যাট এবং চিনি মিশ্রিত মিল্কশেক খাওয়া হয় তাহলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তারা উচ্চ ভ্যাট এবং চিনি মিশ্রিত মিল্কশেক খাবেন না।

কৃত্রিম উপাদানঃ কিছু মিল্কশেকে  কৃত্রিম উপাদান যেমন রং,ফ্লেভার ইত্যাদি মেশানো  থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

মিল্কশেক এর ধরন

মিল্কশেক এর ধরন বিভিন্ন রকম হয়।মিল্কশেক হলো একটি ঠাণ্ডা ও ক্রিমি পানীয় যা তৈরি করতে লাগে দুধ,আইস্ক্রিম, চকলেট এবং বিভিন্ন ফল।যেমনঃখেজুর,কলা,আপেল,স্ট্রবেরি,আম,কমলা,ইত্যাদি ফল দিয়ে বানানো হয়। এজন্য এর থেকে প্রকৃত ফলের স্বাদ পাওয়া যায়।তবে বর্তমানে বাজারে মিল্কশেক নামক সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যায় তা অনেকাংশেই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।

মিল্কশেক গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা ও প্রশান্তিদায়ক পানীয় হিসেবে অনেক জনপ্রিয়। এটি ক্যাফে রেস্টুরেন্ট এবং বাড়িতে খুব সহজেই তৈরি করা যায়। বিভিন্ন স্বাদে এটি তৈরি করা যায় যেমনঃ চকলেট, ফল, বাদাম বা মধুর স্বাদ। এর প্রধান উপাদান হলো দুধ। দুধের সাথে অন্য যে উপাদান দিয়ে তৈরি করা হবে সেটি হবে ওই ধরনের।

মিল্কশেক-এর-উপকারীতা-ও-অপকারীতা

দুধের সাথে বাদাম মিশিয়ে মিল্কশেক তৈরি করলে সেটি হবে বাদাম মিল্কশেক। দুধের সাথে স্ট্রবেরি মিশিয়ে মিল্কশেক বানালে সেটি হবে স্ট্রবেরি মিল্কশেক। চকলেট মিশিয়ে মিল্কশেক বানালে হবে চকলেট মিল্কশেক। এভাবে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন ফ্লেভারের মিল্কশেক বানাতে পারেন। 

স্ট্রবেরি মিল্কশেক

স্ট্রবেরী মিল্কশেক একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু পানীয় যা বড় এবং বাচ্চাদের খুবই জনপ্রিয় একটি পানীয়।এটি বানানো খুব সহজ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতায় ভরপুর। স্ট্রবেরি মিল্কশেক বানানোর জন্য প্রথমে আপনাকে স্ট্রবেরি নিতে হবে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে। তারপর একটি ব্লেন্ডার যারে স্ট্রবেরি দুধ চিনি দিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে।

ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে একটি গ্লাসে ঢেলে তারপর স্ট্রবেরি স্লাইস বা চকলেট সিরাপ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে। কেউ যদি বেশি ঠান্ডা খেতে পছন্দ করেন তাহলে বরফ কুচি ও মেশাতে পারেন।গরমের জন্য ঠান্ডা ঠান্ডা স্ট্রবেরি মিল্কশেক অনেক মজাদার এবং আরামদায়ক। এটি একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর পানীয়।

আরও পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়

স্ট্রবেরী ভিটামিন সি-এ ভরপুর যা ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বককে উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। স্ট্রবেরি মিল্কশেকে থাকা দুধ এবং স্ট্রবেরি দ্রুত শক্তি যোগায়। মিল্কশেকে থাকা দুধের ক্যালসিয়াম হাড় শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

বাদাম মিল্কশেক

বাদাম মিল্কশেক একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু পানীয় যা দ্রুত শরীরের শক্তি যোগায়। এটি অনেকের পছন্দের পানীয় যা সহজেই বাড়িতে তৈরি করা যায়। বাদাম মিল্কশেক বানাতে  কাঠবাদাম, দু্‌ধ, চিনি বা মধু, এলাচ গুড়া, বরফের টুকরা ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। বাদাম গুলো অন্তত ৪-৬ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর ভেজানো বাদাম গুলো খোসা ছাড়িয়ে নিন।

খোসা ছাড়ানো হয়ে গেলে বাদাম গুলো ব্লেন্ডার যারে দিন এরপর এতে একে একে দুধ, চিনি,এলাচ গুড়া দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন যতক্ষণ পর্যন্ত মসৃণ না হয়। যদি ঠান্ডা খেতে চান তবে বরফ কুচিও মেশাতে পারেন। তারপর গ্লাসে ঢেলে উপরে পেস্তা বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন। এটি প্রোটিন স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ক্যালসিয়ামে ভরপুর।

চকলেট মিল্কশেক

চকলেট মিল্কশেক একটি জনপ্রিয় পানীয় যা দুধ, চকলেট এবং আইসক্রিমের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি বাচ্চা থেকে শুরু করে বড় সকলেরই খুব পছন্দনীয়। কারণ চকলেট চকলেট খেতে কে না পছন্দ করে বলুন? এটি মজাদার হলেও এর কিছু স্বাস্থ্যগত সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। চকলেট মিল্কশেক এর উপকারীতা ও অপকারীতা আলোচনা করা হলোঃ

উপকারিতাঃ

  • চকলেট মিল্কশেকে কার্বোহাইড্রেট ও চিনি থাকে যা দ্রুত এনার্জি যগায়। বিশেষত শরীরচর্চার পর এটি খেলে ক্লান্তি দূর হয়।
  • দুধের কারণে এতে ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি ও প্রোটিন থাকে যা হাড় ও পেশির গঠনে সাহায্য করে।চকলেটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • চকলেটে থাকা সেরোটোনিন ও থিওব্রোমিন  মেজাজ ভালো করতে সাহায্য করে। এটি স্ট্রেস কমাতে পারে।
  • যাদের ওজন কম, তাদের জন্য চকলেট মিল্কশেক উচ্চ ক্যালরি সরবরাহ করে, যা ওজন বাড়াতে সহায়ক।

অপকারিতাঃ

  • চকলেট মিল্কশেকে আইসক্রিম, চিনি ও ফুল ক্রিম দুধ ব্যবহার করলে এটি উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হয়ে যায় যা অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • বেশি চিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত চকলেট মিল্কশেক খেলে কোলেস্টরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • যাদের ল্যাকটোজ  ইন্টলারেন্স আছে তাদের জন্য দুধ যুক্ত মিল্কশেক হজমে সমস্যা করতে পারে।

ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর চকলেট মিল্কশেক খেলে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। চিনি ও আইসক্রিমের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে খেতে হবে। ওজন কমানোর জন্য মিল্কশেক খেলে লো-ফ্যাট দুধ ব্যবহার করুন এবং চিনি পরিহার করুন। সঠিকভাবে চকলেট মিল্কশে গ্রহণ করলে এটি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে।

মিল্কশেক এর পুষ্টিগুণ

মিল্কশেক এর পুষ্টিগুণ মূলত এর উপাদানের উপর নির্ভর করে। সাধারণত দুধ ফল চিনি আইসক্রিম বা বিভিন্ন ফ্লেভার দিয়ে তৈরি মিল্কশেক স্বাদ ও পুষ্টিতে অতুলনীয়। মিল্কশেক সঠিকভাবে এবং সঠিক উপাদান দিয়ে বানালে এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর হয়। নিচে মিল্কশেক এর পুষ্টিগুণ ব্যাখ্যা করা হলোঃ

মিল্কশ্বক এর পুষ্টিগুণ (প্রতি ১ গ্লাস/২৫০মিলি) 

  • উপাদানের ভিত্তিতে এক গ্লাস মিল্কশেকে ২০০ থেকে ৪০০ ক্যালোরি থাকতে পারে। ওজন বাড়াতে চাইলে এটি একটি উপযুক্ত পানীয়।
  • দুধের কারনে এক গ্লাস মিল্কশেকে ৮-১২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এটি পেসি গঠনের সহায়তা করে এবং শরীরে শক্তি যোগায়।
  • চিনি ও ফলের জন্য এতে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ থাকে অনেক। যা তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়।
  • ফুল ক্রিম দুধ ও আইসক্রিম থাকার কারণে মিল্কশেকে ৫-১৫ গ্রাম ফ্যাট থাকতে পারে। লো ফ্যাট দুধ ব্যবহার করলে ফ্যাটের পরিমাণ কম হয়।
  • ভিটামিন ডি থাকে যা হার গঠনে সহায়তা করে। ভিটামিন এ রয়েছে যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে যাবি পাক ক্রিয়া উন্নত করে।
  • ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় ও দাঁতের গঠনে সাহায্য করে। পটাশিয়াম রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফসফরাস যা শক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ফল ব্যবহার করার ফলে মিল্কশেকে ফাইবার পাওয়া যায় যা হজমে সাহায্য করে।
  • চকলেট ও ফলের উপস্থিতির কারণে  এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা কোষের ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যকর মিল্কশেক তৈরি করার জন্য লো ফ্যাট দুধ ব্যবহার করতে হবে। চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে হবে। প্রাকৃতিক ফল যেমন স্ট্রবেরি বা আম ব্যবহার করতে হবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ করার জন্য বাদাম বা ওটস যোগ করতে হবে। সঠিকভাবে তৈরি করলে একটি পুষ্টিকর সুস্বাদু পানিও হতে পারে। তবে অতিরিক্ত চিনি ও ফ্যাট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

মিল্কশেক খেলে কি ওজন বাড়ে

মিল্কশেক খেলে কি ওজন বাড়ে এ বিষয়টি অনেকের মাথায় প্রশ্ন আসে। হ্যাঁ মিল্কশেক খেলে ওজন বাড়তে পারে তবে এটি নির্ভর করে মিল্কশেকের উপাদান ও প্রস্তুত প্রণালীর ওপর। মিল্কশেকে যেহেতু উচ্চ ক্যালরি এবং চিনি থাকে সেহেতু এটা নিয়মিত খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। কেননা  উচ্চ ক্যালরি এবং চিনি ওজন বাড়াতে সহায়ক।

বিশেষ করে দোকানে তৈরি মিল্কশেকে প্রক্রিয়াজাত চিনি ও কৃত্রিম ফ্লেভার থাকে যা দ্রুত ওজন বাড়াতে পারে। প্রোটিন সমৃদ্ধ মিল্কশেক শরীরের পেশী বৃদ্ধিতে সাহায্য করে যা ওজন বাড়ানোর একটি স্বাস্থ্যকর উপায়। বিশেষ করে যারা ব্যায়াম করেন তাদের জন্য প্রোটিন যুক্ত মিল্কশেক ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। 

মিল্কশেক-এর-উপকারীতা-ও-অপকারীতা

মিল্কশেক শুধু ওজন বাড়ায় তা নয় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান এবং নিয়মিত মিল্কশেক খেতে চান তাহলে মিল্কশেকে চিনি বা ক্রিম কম ব্যবহার করবেন।ফুল ক্রিম দুধের পরিবর্তে লো-ফ্যাট দুধ ব্যবহার করবেন। কৃত্রিম ফ্লেভারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক ফল ব্যবহার করবেন।

সঠিক উপায় এবং পরিমিত মাত্রায় মিল্কশেক খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে বেশি ক্যালরিযুক্ত মিল্ক শেক খেলে এটি ওজন বাড়িয়ে দিবে। আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তবে বাড়িতে স্বাস্থ্যকর উপায়ে মিল্কশেক তৈরি করে খাওয়াই উত্তম। মিল্কশেক একটি পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর পানীয়।মিল্কশেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক।

মিল্কশেক পাউডারের উপকারিতা

মিল্কশেক পাউডারের উপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে বুঝতে হবে এটি সাধারণত কিভাবে ব্যবহার করা হয়। মিল্কশেক পাউডার হল এমন একটি পণ্য যা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ঝটপট মিল্কশেক তৈরি করা যায়। এর মধ্যে সাধারণত কৃত্রিম স্বাদ প্রোটিন ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে। নিচে এর কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হলোঃ

  • মিল্কশেক পাউডার দিয়ে অল্প সময়ে মিল্কশেক তৈরি করা যায় যা ব্যস্ত জীবনে খুবই উপকারী। 
  • এতে বিভিন্ন ফ্লেভার পাওয়া যায় যা পানীয়টিতে বিভিন্ন স্বাদের মাত্রা যোগ করে।
  • কিছু উন্নত মানের মিল্কশেক পাউডারে প্রোটিন ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে যার শরীরের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।
  • এটি তাৎক্ষণিক এনার্জি দিয়ে থাকে। বিশেষ করে শিশু কিশোর এবং শরীর চর্চা করা ব্যক্তিদের জন্য এটি বেশ উপকারী।
  • যারা ওজন বাড়ানোর জন্য উচ্চ ক্যালরির পানীয় খুঁজছেন তাদের জন্য মিল্ক চেক পাউডার একটি কার্যকারী উপাদান।

এত উপকারিতা থাকার পরেও মিল্কশেক পাউডার বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে অতিরিক্ত চিনি ও কৃত্রিম রঙ যুক্ত করা থাকে যা নিয়মিত খেলে আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকতে পারে।সঠিক পরিমাণে এবং উন্নত মানের মিল্কশেক পাউডার ব্যবহার করলে এটি উপকারী হতে পারে। সর্বোপরি সকল মিল্কশেক এর উপকারীতা ও অপকারীতা রয়েছে।

লেখক এর মন্তব্যঃ মিল্কশেক এর উপকারীতা ও অপকারীতা

মিল্কশেক এর উপকারীতা ও অপকারীতা নিয়ে আমরা উপরে অনেক আলোচনা করেছি। মিল্কশেক উপকারী হলেও তা পরিমিত পরিমানে খাওয়া উচিত । কারন অতিরিক্ত চিনি বা ফ্যাটযুক্ত মিল্কশেক খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সঠিক উপাদানে তৈরি মিল্কশেক শরীরের জন্য পুষ্টিকর এবং শক্তিদায়ক।

যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাদের জন্য উচ্চ ফ্যাট যুক্ত এবং চিনি মিশ্রিত মিল্কশেক খাওয়া উচিত নয়। মিল্কশেক একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে তার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা যেহেতু সকলেই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ সেহেতু আমরা যে কোন খাবার সঠিক পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করব।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর এস ড্রিমস ব্লগেনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url