টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

চিয়া সিডের উপকারিতা ও অপকারিতাটক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে  আপনাদের জানানোর জন্য আমার আজকের এই আর্টিকেল। টক দই খুবই একটি ভালো খাবার। টক দই শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হজম শক্তিও বৃদ্ধি করে।

টক-দই-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

নিয়মিত টক দই খেলে বাড়তি ওজন কমানো সম্ভব। টক দই নিঃসন্দেহে একটি উপকারী খাবার। তবে এটি খাওয়ার সময় বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। নিয়ম মেনে টক দই খেলে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে।

পেজ সূচীপত্রঃ টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। সারা বিশ্বব্যাপী টক দইয়ের বেশ চাহিদা রয়েছে। টক দই ছাড়া অনেক সুস্বাদু রান্না অসম্পন্ন প্রায়। বিদেশে তো রীতিমতো টক দই কে প্রতিদিনের ডেজার্ট হিসেবে খাওয়া হয়। টক দই কি কেবল স্বাদের জন্যই এমন আকাশ চুম্বি জনপ্রিয়তা? না। টকদই আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

তবে আমরা অনেকেই না জেনে প্রতিদিনের রান্নায় টক দই ব্যবহার করে থাকি। যেমনঃ রোস্ট, বিরিয়ানি, কারি, দই বড়া ইত্যাদি রান্নায় আমরা টক দই ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই টক দই সম্পর্কে বিস্তারিত আমরা অনেকেই জানিনা। আমার এই আর্টিকেলটিতে আজ টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে  বিস্তারিত আলোচনা করবো।

টক দই খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের প্রত্যেকের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দিয়ে দিন শুরু করা উচিত। টক দই একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার। দুধের তৈরি এই খাবারটি আমরা বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারি। টক দই দিয়ে লাচ্ছি তৈরি করে খাওয়া যায় ,ফলের সাথে খাওয়া যায়, বিভিন্ন রেসিপিতে দিয়ে খাওয়া যায়। দুধ খেলে অনেকের হজমের সমস্যা হয়, তারা দুধের বদলে টক দই খেতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়

আপনি যদি নিয়মিত টক দই খেতে পারেন তাহলে আপনার হজমের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।সেই সাথে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যাবে। আপনি যদি টকদের সবচেয়ে ভালো উপকারিতা পেতে চান তাহলে আপনি টক দই ঘরে বানাতে পারেন। কারণ ঘরে বানানো দোয়েল সবচাইতে ফ্রেশ হবে। নিচের টক দইয়ের উপকারিতা আলোচনা করা হলোঃ

সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা অনেক। সকালে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। নিজের কিছু উপকারিতা আলোচনা করা হলোঃ

হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ টক দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক অর্থাৎ উপকারী ব্যাকটেরিয়া হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, গ্যাস্ট্রিক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান করে।

ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করেঃপ্রোবায়োটিক উপাদান ইমিয়ন সিস্টেম শক্তিশালী করতে সাহায্য করে, যা শরীরকে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। 

টক-দই-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
হাড় ও দাঁতের শক্তি বৃদ্ধি করেঃটক দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি হাড় ও দাঁতের জন্য খুবই উপকারী। এটি অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃকম ক্যালরি এবং উচ্চ প্রোটিন থাকার কারণে টক দই ওজন নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃটক দয়ে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে

ত্বক ও চুলের যত্নেঃটক দইয়ে থাকা ল্যাক্টিক এসিড ত্বক পরিষ্কার ও কোমল রাখতে সাহায্য করে।এছাড়াও এটি চুলের মসৃণতা ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় টক দই খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় টক দই খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা উচিত। গর্ভাবস্থায় টক দই খাওয়া খুবই উপকারী। গর্ভাবস্থার টক দই খাওয়া ভালো তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। নিজে গর্ভাবস্থায় টক দই খাওয়ার উপকারিতা আলোচনা করা হলোঃ

  • গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলার হজমের সমস্যা হয়। টক দইয়ের প্রবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করে।
  • টক দইয়ে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে যা মায়ের হাড় মজবুত করে এবং সেই সাথে গর্ভের শিশুর হাড় গঠনেও সাহায্য করে।
  • টক দইয়ে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে যা গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। টক দই কম ফ্যাট যুক্ত এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ হয় এটি পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে কাজ করে এবং সঠিক ওজন বজায় রাখে।
  • টক দইয়ে পটাশিয়াম থাকে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং প্রি-এক্লেমসিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • টক দই শরীরের জ্বালাপোড়া কমায় যা গর্ভাবস্থায় কিছু সাধারন অস্বস্তি থেকে মুক্তি দিতে পারে। 

সতর্কতাঃ

  • অতিরিক্ত টক দই খেলে এসিডিটির সমস্যা হতে পারে দিনে এক থেকে দুই কাপ খাওয়া যথেষ্ট।
  • বাজারে কেনা প্রসেস দইয়ে অতিরিক্ত চিনি বা প্রিজারভেটিভ থাকতে পারে, যা গর্ভবতী নারীদের জন্য ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে বাড়িতে তৈরি টক দই খাওয়া উত্তম।
  • যদি দুধ বা দুধ জাতীয় খাবারের সমস্যা থাকে তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া টক দই খাবেন না।
  • আপনার যদি গ্যাস্ট্রিক আলসার বা অন্য কোন জটিলতা থাকে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে টক দই খাবেন।
  • গর্ভাবস্থায় টক দই নিয়মিত খেলে মায়ের এবং গর্ভের শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। তবে নিজের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে টক দই খাওয়া উচিত। শারীরিক কোন সমস্যা থাকলে টক দই খাবেন না।

ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম

ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আজ আলোচনা করব। ওজন কমাতে টক দই একটি কার্যকারী উপায়। এটি কম ক্যালোরি এবং উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় ডায়েটের জন্য আদর্শ। তবে এর সঠিক নিয়ম মেনে খেলে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। নিচে টক দই খাওয়ার নিয়ম আলোচনা করা হলোঃ

  • সকালের নাস্তায় এক বাটি টক দই খাওয়া খুবই উপকারী। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। টক দই হজমে সাহায্য করে এবং সারাদিন ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারের মাঝখানে টক দই খেলে ক্ষুধা কমে ফলে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর সাথে বাদাম যোগ করে খেলে এটি আরো পুষ্টিকর হয়।
  • চিনি মেশানোর টক দই ওজন কমানোর বদলে ওজন বাড়াতে পারে। তাই চিনি মিশানোর টক দই বাদ দিয়ে স্বাভাবিক টক দই খাওয়ায় ভালো। প্রয়োজনে সামান্য মধু যোগ করতে পারেন।
  • রাতে খাবার খাওয়ার আগে এক কাপ টক দই খেলে ক্ষুধা কমে যায় এবং বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
  • টক দই এ আপেল কলা বেরি পেঁপে মিশিয়ে খেলে এটি আরো সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর হয়। ফলের ফাইবার ও দই এর প্রবায়োটিক একসাথে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • সালাদের সাথে টক দই খেতে পারেন। শালাদের মেয়োনিজ বা ক্রিম এর পরিবর্তে টক দই ব্যবহার করলে এটি আপনার ক্যালরি কমাবে এবং স্বাস্থ্যকর হবে।
  • পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখুন দিনে এক থেকে দুই কাপ যথেষ্ট। 
  • লো-ফ্যাট টক দই বেছে নিন ।কম চর্বিযুক্ত টকদই ওজন কমাতে বেশি কার্যকর।
  • শুধু টক দই খেলেই হবে না নিয়মিত ব্যায়ামও করতে হবে।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন। দই খাওয়ার পাশাপাশি শরীর হাইড্রেট রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

সতর্কতাঃ

  • অতিরিক্ত টক দই খেলে এসিডিটি হতে পারে।
  • যাদের ল্যাক্টোজ ইন্টলারেন্স আছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া টক দই খাবেন না।
  • সঠিক নিয়মে টক দই খেলে এটি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

টক দই খাওয়ার উপযুক্ত সময়

টক দই খাওয়ার উপযুক্ত সময় সাধারণত সকালে খালি পেটে বা খাবার পরে। তবে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এটি ভিন্ন সময়ে খাওয়া যেতে পারে। সকালে খালি পেটে টক দই খাওয়া হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে। এটি ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে। ফল ও ও এর সাথে মিশিয়ে খেলে এটি আরো পুষ্টি সমৃদ্ধ হয়।

আরো পড়ুনঃপেয়ারা পাতার ৮ টি উপকারিতা

দুপুরের খাবারের সাথে বা পরে খেলে হজমে সাহায্য করে। ভারী খাবার খেলে অনেক সময় গ্যাস্টিকের সমস্যা হয় এ সময় টক দই খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে। রাতে দই খাওয়া শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে তবে যাদের ঠান্ডা জ্বর বা সাইনাসের সমস্যা আছে তাদের রাতে দই খাওয়া উচিত নয়। সঠিক সময়ে এবং সঠিক পরিমাণে টক দই খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

টক দই খেলে কি গ্যাস হয়

টক দই খেলে কি গ্যাস হয় এই সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই সঠিক ধারণা নাই। সাধারণভাবে টক দই খাওয়ার কারণে গ্যাস্ট্রিক হওয়ার কথা নয় বরং এটি হজমের সাহায্য করে এবং পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করে। তবে বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে বা ভুল ভাবে খেলে গ্যাস হতে পারে।

টক-দই-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
যেসব ক্ষেত্রে টক দই খেলে গ্যাস হতে পারেঃ
অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়াঃ বেশি টক দই খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে, যা গ্যাসের কারণ হতে পারে ।
খালি পেটে খাওয়াঃ যাদের পেটে অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা আছে তারা টক দই খেলে কিছুটা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

ঠান্ডা দই খেলেঃ ফ্রিজ থেকে বের করে সরাসরি ঠান্ডা দই খেলে পেটের অস্বস্তি বা গ্যাস হতে পারে।

ল্যাক্টোজ ইন্টলারেন্সঃ যাদের ল্যাকটোজ হজমের সমস্যা আছে তারা টক দই খেলে গ্যাস বা পেট ফাঁপার সমস্যা হতে পারে।

প্রতিকারঃ

  • ফ্রিজ থেকে সরাসরি টক দই বের করে না খেয়ে সেটিকে রুম টেম্পারেচারে নিয়ে আনুন।
  • টক দইয়ের সাথে জিরা গুঁড়ো বামধু মিশিয়ে খেলে গ্যাসের সমস্যা কম হবে।
  • খাওয়ার সময় এবং পরিমাণের ক্ষেত্রে সচেতন থাকুন।
  • যদি নিয়ম মেনে টক দই খাওয়ার পরেও গ্যাসের সমস্যা হয় তবে এটি পেটের অন্য কোন সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

রূপচর্চায় টক দই এর ব্যবহার

রূপচর্চায় টক দই এর ব্যবহার অনেক রয়েছে। রূপচর্চায় টক দই খুবই কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এটি ত্বকের যত্নে অনেক উপায়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। টক দই এর মধ্যে থাকা ল্যাকটিক একে ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে। এক চামচ টক দই সরাসরি ত্বকে লাগিয়ে নিন।

১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।এভাবে ত্বকে টক দই লাগালে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়। ত্বক উজ্জ্বল করতে টক দই খুবই উপকারী। টক দই এর প্রবায়োটিক উপাদান ব্রণ সৃষ্টি করা ব্যাকটেরিয়া কমাতে সাহায্য করে। টক দইয়ের সাথে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ব্রনের উপর লাগালে খুবই কার্যকরী হয়।

টক দই ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে সাহায্য করে। টক দইয়ের সাথে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। পুরো মুখে লাগিয়ে বিশ মিনিট রেখে দিন। এরপর স্বাভাবিক পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী নিয়মিত ব্যবহার করুন তাহলে দেখবেন ভালো ফলাফল পাবেন। টক দই ত্বকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উন্মোচন করে।

টক দই খাওয়ার অপকারিতা

টক দই খাওয়ার যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমন এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। নিয়ম মেনে খেলে টক দইয়ের যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমনি নিয়ম না মেনে খেলে টক দইয়ের অনেক অপকারিতাও রয়েছে। টক দইয়ের কিছু অপকারিতা নিচে দেওয়া হলঃ 

ল্যাক্টোজ ইন্টলারেন্সঃ যাদের দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার সহ্য করতে সমস্যা হয় অর্থাৎ যাদের ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্স আছে তাদের জন্য টক দই পেট ফাঁপা, গ্যাস বা ডায়রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে।

পেটে গ্যাসের সমস্যাঃ অতিরিক্ত টক দই খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। এটি বেশি টক থাকলে গ্যাস্ট্রিক বা পেট ব্যথার কারণ হতে পারে।

ঠান্ডা লাগার সমস্যাঃ শীতকালে বেশি পরিমাণে টক দই খেলে অনেকের ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। বিশেষ করে যাদের ঠান্ডার সমস্যা আছে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়

আলসার সমস্যায় ক্ষতিকরঃ যাদের পেটে আলসার আছে তাদের জন্য টক দই খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি আলসার কে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।

সাধারণভাবে প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে টক দই খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। তবে যাদের বিশেষ কিছু শারীরিক সমস্যা আছে, তাদের টক দই খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে টক দই খাওয়া উচিত।

লেখকের মন্তব্যঃ টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক রয়েছে। টক দই সঠিকভাবে খেলে এর থেকে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। টক দই আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং পুষ্টিকর।একজন মানুষ যদি নিয়মিত সঠিক নিয়মে টক দই খায় তাহলে সে তার শরীরের জন্য অনেক উপকার পাবে। টক দই একটি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার।

টক দইয়ের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর অনেক অপকারিতাও রয়েছে। সঠিক নিয়মের টক দই না খেলে এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কোন খাবার খাওয়ার কিছু নিয়মকানুন থাকে সঠিক নিয়ম মেনে চললে সেই খাবার থেকে অবশ্যই উপকার পাওয়া যায়। টক দই এর ক্ষেত্রেও একই কথা উপকার পাওয়ার জন্য সঠিক নিয়ম মেনে খেতে হবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর এস ড্রিমস ব্লগেনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url