অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা-১৩ টি উপায়

অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশঅল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা শুরু করা সত্যিই সম্ভব। তার জন্য প্রয়োজন দক্ষতা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, সৃজনশক্তি আর অধ্যাবসায়। অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে চিহ্নিত করতে হবে আপনার আগ্রহ ও দক্ষতার ক্ষেত্র।

অল্প-পুঁজিতে লাভজনক-ব্যবসা

যেহেতু এইসব ব্যবসায়ী বিনিয়োগ কম তাই বাস্তবে আপনি বিক্রি করবেন আপনার দক্ষতা আর শ্রম।আর তাই এই ব্যবসার ক্ষেত্রটিতে আপনার যথেষ্ট দক্ষতা না থাকলে লাভজনক ব্যবসা করা সম্ভব হবে না।

পেজ সূচিপত্রঃ অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা-১৩ টি উপায়

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করার-১৩ টি উপায়

আপনি কি অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের এ আর্টিকেলটি আপনার জন্য। অনেকেই অল্প পুজি দিয়ে ব্যবসা করে জীবন যাপন করছেন। আপনিও পারেন অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করে জীবনে উন্নয়ন করতে। চলুন জেনে নেয়া যাক অল্প পুজি দিয়ে আমরা কিভাবে লাভজনক ব্যবসা করে জীবন যাপন করতে পারি।

ছোট ব্যবসা বলতে আমরা সেই ব্যবসাগুলিকে বুঝি যেগুলোতে অনেক টাকা বা পুঁজি প্রয়োজন হয় না।কিন্তু এইটা অবশ্যই মনে রাখবেন যে কম টাকায় আরম্ভ করা ছোট ব্যবসা সবসময়ই ছোট বা ক্ষুদ্র নাও থাকতে পারে।আপনার ক্ষুদ্র ব্যবসা একদিন বড় হয়ে উঠতে পারে।কিন্তু তার জন্য আপনার নিজের কাজের ওপর মনোযোগ, কাজ করার ইচ্ছা এবং ধৈর্যশক্তির প্রয়োজন হবে।

তাহলে আপনি নিজের ক্ষুদ্র ব্যবসা কে বড় করে নিতে পারবেন। নিজের একটা ব্যবসা শুরু করাটা সবারই একটা স্বপ্ন বা ইচ্ছা থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ লোকেরা ব্যবসার স্বপ্নটি পূরণ করতে পারেনা টাকার সমস্যার জন্য। আর তাই আমি আপনাদের এমন ১৫ টি ক্ষুদ্র ব্যবসার বিষয়ে বলবো যেগুলো আপনারা অনেক কম পুঁজিতে আরম্ভ করতে পারবেন।

আপনার নিজের একটি ব্যবসার স্বপ্ন এখন আর স্বপ্ন হয়ে থাকবে না। আপনার হাতে যতটাই টাকা আছে তা দিয়েই আপনি একটা ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। যদি আপনি সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কোন চাকরি করেন তাহলে নিচে দেওয়া ব্যবসার ধারণা গুলি দ্বারা আপনি পার্টটাইম ব্যবসা করে আয় করতে পারবেন। 

এমন অনেক ব্যবসা আছে যেগুলো আপনি অনেক কম খুজিতে শুরু করতে পারবেন। আজকে আমি এমন কিছু ব্যবসার উপায় বলবো যেগুলো দিয়ে আপনি আপনার অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করে আয় করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক অল্প পুজি নিয়ে কিভাবে লাভজনক ব্যবসা করা যায়।এক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা এবং অধ্যাবসায়কে কাজে লাগাতে হবে।

আরও পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম করার সহজ উপায়

মোবাইল রিপেয়ারিং এর ব্যবসা

মোবাইল রিপেয়ারিং এর ব্যবসা একটি সুন্দর এবং সহজ ব্যবসার উপায়। আজ মানুষের হাতে হাতে এবং ঘরে ঘরে স্মার্টফোন আছে। আর এই স্মার্টফোনগুলি যেকোনো সময় নষ্ট হয়। তাই আপনি যদি মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজটি শিখে একটি ছোট্ট দোকান দিয়ে বসতে পারেন তাহলে আপনি আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইল রিপেয়ারিংয়ের কাজ শুরু করতে আপনার বেশি পুজি প্রয়োজন হবে না। আপনাকে প্রথমে একটি মোবাইল রিপেয়ারিং এর কোর্স করতে হবে যেটা তিন থেকে চার মাসেই হয়ে যাবে। আর এই কোর্স করতে আপনার তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা লাগবে। আপনি যদি চান তাহলে youtube এ ভিডিও দেখে ফ্রিতে মোবাইল রিপেয়ারিংয়ের কাজ শিখতে পারবেন।

এখন বাকি রইল দোকান। নিজের রিপেয়ারিং ব্যবসার জন্য আপনার একটি দোকানের প্রয়োজন হবে।মনে রাখবেন মোবাইল রিপেয়ারিং ব্যবসার জন্য আপনার বেশি বড় দোকানের প্রয়োজন হবে না।কেবল নিজের কাজটুকু করার মত একটি ছোট্ট দোকান নিলেই হবে। তাই এখানেও আপনার বেশি পুঁজির প্রয়োজন পড়বে না।

এখন কোর্স করার পর নিজের দোকান নেওয়ার পর আপনার টাকার প্রয়োজন হবে যন্ত্রপাতি কেনার।মোবাইল রিপেয়ারিংয়ের কাজ করার জন্য আপনার কিছু যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে যেগুলো দুই থেকে তিন হাজার টাকার ভিতরে হয়ে যাবে। তাই এই মোবাইল রিপেয়ারিং এর ব্যবসা আপনি ১০ হাজার টাকার ভিতরে আরম্ভ করে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

ফুলের দোকানের ব্যবসা

ফুলের দোকানের ব্যবসা অল্প পুঁজিতে একটি খুবই সুন্দর লাভজনক ব্যবসা। আজকাল সেই ব্যবসা তাড়াতাড়ি চোখে পড়ে বা তাড়াতাড়ি সফল হয় যেগুলো ইউনিক এবং মার্কেটে খুব কম পরিমাণে রয়েছে এবং যেগুলোর চাহিদা অনেক বেশি। সেরকমই ফুলের দোকানের ব্যবসা খুব কম লোকেরা করছেন এবং এই ব্যবসার চাহিদা অনেক বেশি।

তাই আপনি অনেক রকমের ফুল গাছ এবং ফুল নিজের দোকানে রেখে সেগুলি বিক্রি করতে পারেন।মানুষ বিয়ে জন্মদিন বা যেকোনো উপলক্ষ তে ফুল বা ফুল দিয়ে সাজানো ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে অনেক ভালোবাসেন। আর তাই এরকমের উপহার আজকাল অনেক বেশি জনপ্রিয়। আর তাই অল্প পুঁজি  দিয়ে এভাবে লাভজনক ব্যবসা করতে পারেন।  

আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর ১০ টি উপায়

অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্যবসা

অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্যবসা করা এখন বর্তমান যুগে একটি ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি এইটা তো জানেন যে, আজকাল বেশিরভাগ লোকেরা অনলাইন ওয়েবসাইটে গিয়ে জিনিস কেনাকাটা করতে ভালোবাসে। কারণ অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটে কম খরচে ভালো জিনিস পাওয়া যায় এবং ঘরে বসেই পণ্য পাওয়া যাই। এ ব্যবসা আপনি ধৈর্য ধরে করতে পারলে সহজেই সফল হতে পারবেন।   

তাই যদি আপনি কম খরচে লাভের ব্যবসা করতে চান তাহলে অনলাইন শপিং  ওয়েবসাইট বানাতে পারেন। শপিং ওয়েবসাইট বানাতে বেশি খরচ হয় না। আপনি কোন ওয়েবসাইট ডেভেলপারকে দিয়ে ১০ হাজারে একটি শপিং ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন। তাছাড়া আপনি নিজেই  ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে একটি ফ্রি শপিং ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন। 

ওয়ার্ডপ্রেসের  মাধ্যমে একটি ফ্রি শপিং ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবেন তা জানার জন্য আপনি ইউটিউবে গিয়ে ভিডিও দেখে শিখতে পারবেন। নিজের অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট বানানোর আগে আপনাকে পন্যের ব্যাপারে ভাবতে হবে। অর্থাৎ আপনি অনলাইনে কি বিক্রি করতে চান তা আগেই ভেবে নিতে হবে। 

আপনি একটি বা অনেক পণ্য নিজের লাইন শপিং ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারেন। শুধু এতটুকু মনে রাখবেন আপনি যে পণ্য নিয়ে ব্যবসা করবেন তার চাহিদা থাকতে হবে এবং পণ্যে লাভ থাকতে হবে। এর বাইরে অল্প মার্কেটিং এবং বুদ্ধি খাটিয়ে আপনাকে নিজের অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটটি মানুষের মধ্যে প্রচার করতে হবে। 

ব্লগিং দ্বারা অনলাইন ব্যবসা 

ব্লগিং দ্বারা  অনলাইন ব্যবসা করে এখন মানুষ ঘরে বসে টাকা উপার্জন করছে। আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা করতে চান তাহলে ব্লগিং ব্যবসা আপনার জন্য অনেক ভালো একটি সুযোগ। আপনি ব্লগিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনার ব্লগ যদি সফল হয় তাহলে আপনি ভাবতেও পারবেন না যে আপনি কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে ব্লগার ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট করতে হবে। তারপর আপনার নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখতে হবে। আপনি যে কোন বিষয়ে লিখতে পারবেন আপনার যা ভালো লাগে এবং মানুষের  যা ভালো লাগে। যখন আপনি ভালো ভালো আর্টিকেল নিজের ব্লগের লিখবেন তখন এবং yahoo এর মতো সার্চ ইঞ্জিন থেকে আপনার ব্লগে ভিজিটর আসবে। 

আর যখন একটু ভালো পরিমাণে আপনার ব্লগে ভিজিটর আসবে তখন আপনি গুগল এডসেন্স এর দ্বারা নিজের ব্লগে বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি বিশ্বাস করেন আজ বিশ্বে হাজার হাজার মানুষ ব্লগ এবং গুগল  এডসেন্সের মাধ্যমে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ইনকাম করছে। ব্লগিং করে যে কেউ ইনকাম করতে পারে।

আপনি যদি পার্টটাইম বা ফুল টাইম কাজ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ব্লগ বানিয়ে তাকে বিজনেস হিসেবে নিয়ে পার্টটাইম বা ফুল টাইম কাজ করতে পারেন। এতে আপনার বেশি টাকার প্রয়োজন নেই। আপনি অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে পারেন এই ব্লগিংয়ের মাধ্যমে। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে খুব দ্রুত আপনি সফল হতে পারেন। 

ইউটিউব চ্যানেল দ্বারা অনলাইন ব্যবসা  

ইউটিউব চ্যানেল দ্বারা অনলাইন ব্যবসা একটি ভালো ব্যবসা হিসেবে চলতে পারে। আপনি যদি অনলাইন ব্যবসা করতে চান তাহলে ইউটিউব চ্যানেল খুলে ব্যবসা করতে পারেন। ব্লগের মতই ইউটিউবে চ্যানেল খুলে তাতে ভিডিও আপলোড করে আপনি ঘরে বসে ইনকাম করতে পারেন। এই ব্যবসায় আপনি কোন পুঁজি ছাড়াই করতে পারবেন। 

এখানে শুধু আপনার নিজের ট্যালেন্ট এবং ভালো ভালো ভিডিও বানানোর যোগ্যতা থাকতে হবে। ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে তাতে ভিডিও আপলোড করে মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। কিন্তু মনে রাখবেন এই ব্যবসা থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ সময় দিতে হবে। এখানে আপনার সেরকম কোন কিছু প্রয়োজন হবে না।

আপনি যদি অল্প সময় দিতে পারেন আর ভাল ভাল ভিডিও বানিয়ে নিজের চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন তাহলে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। আপনি যদি অল্প কিছু সময় বিনিয়োগ করে মনোযোগ সহকারে ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারেন তাহলে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপনি অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ মোবাইল ব্যবসা করার টেকনিক

ফুড ভ্যানে খাবার বিক্রি

ফুড ভ্যানে খাবার বিক্রি এটি একটি অল্প পুজিতে সুন্দর ব্যবসা। ছোট ফুড ভ্যানে করে খাবার বিক্রি করলে ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। তাতে রাখতে পারেন রোল, চাওমিন অথবা বার্গার, স্যান্ডউইচ এর মত খাবার। এছাড়াও আপনি আপনার ইচ্ছামত সুস্বাদু খাবার রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে খাবারের স্বাদ ইউনিক হওয়া জরুরী।

কারণ কাস্টমাররা সব সময় অল্প দামে ইউনিক কিছু খুঁজে থাকেন। এজন্য আপনি যদি স্বল্প দামে ইউনিক কিছু খাবার কাস্টমারের হাতে তুলে দিতে পারেন তাহলে এখানে আপনার অল্প পুঁজিতে ভালো ব্যবসা হবে। সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছে যেতে পারলে বিক্রি ভালো হবে। স্কুল  কলেজ অথবা অফিস এলাকায় বিক্রি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

দশ হাজার টাকায় ব্যবসার উপায় আছে অনেক আপনাকে বুঝতে হবে বাজারের চাহিদা আর চিহ্নিত করতে হবে নিজের দক্ষতা আর আগ্রহ। এই ছোট ব্যবসায় আপনার দক্ষতা আর উদ্ভাবনে শক্তি আপনার পুঁজি। সেই পুঁজিকে কাজে লাগিয়ে শুরু করতে পারেন ব্যবসা। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে আপনার আয়।

চায়ের দোকানের ব্যবসা

চায়ের দোকানের ব্যবসা অল্প পুজিতে একটি অসম্ভব সুন্দর এবং সহজ ব্যবসা। চায়ের দোকানের ব্যবসা করতে আপনার খুব বেশি পুঁজির প্রয়োজন হবে না। চায়ের দোকান খুলতে ভাড়া করতে হবে ছোট্ট একটি দোকান ঘর এবং কিনতে হবে কিছু বেঞ্চ আর টেবিল। আর কিনতে হবে সামান্য কিছু চা বানানোর সরঞ্জাম।

অল্প-পুঁজিতে লাভজনক-ব্যবসা

দশ হাজার টাকার মধ্যেই হয়ে যাবে এসব কিছু। আর পাঁচটা দোকানের থেকে খানিকটা আলাদাভাবে সাজিয়ে নিন আপনার দোকানটা তাহলেই কাস্টমার আপনার দোকানের প্রতি আগ্রহী হবে। দোকানের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জাটাই হচ্ছে এখানে আপনার প্রধান আকর্ষণ। যেটা দেখে কাস্টমার আপনার দোকানে চা খেতে আসবে।

এক্ষেত্রে আপনাকে চায়ের মানটা অবশ্যই ভালো করতে হবে। কেননা ভালো মানের চা যদি আপনি কম দামে বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনার ব্যবসা বাড়বে। কারণ কাস্টমাররা সব সময় কম দামে ভালো জিনিস আশা করে। এক্ষেত্রে আপনি যদি কম দামে ভালো কিছু কাস্টমারদের উপহার দিতে পারেন তাহলে আপনার দোকানে কাস্টমার ভিড় জমাবে।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা খুবই সুন্দর একটি ব্যবসা। ছোট বড় সব সংস্থার জন্যই সামাজিক মাধ্যমে উপস্থিতি প্রায় বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে। নিজেদের পরিষেবা বা পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া ও ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে প্রায় সব কোম্পানি।

এক্ষেত্রে খরচও কম হয় পণ্য কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য। বড় কোম্পানি গুলোর সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের জন্য নিজস্ব কর্মী থাকলেও ছোট কোম্পানিগুলো বেশিরভাগই বাইরের সংস্থাকে দিয়ে থাকে এ কাজের দায়িত্ব। তাই আপনি খুবই অল্প পুঁজিতে এই ব্যবসাটি করে লাভবান হতে পারেন। এখানে আপনার পুঁজি খুবই অল্প লাগবে।

অনলাইনে বাংলা বই বিক্রি

অনলাইনে বাংলা বই বিক্রি আপনার জন্য হতে পারে অল্প পুঁজিতে একটি স্মার্ট ব্যবসা। আপনার যদি বাংলা সাহিত্য নিয়ে যথেষ্ট জানাবো যা থাকে তাহলে দশ হাজার টাকায় এ ব্যবসার কথা ভাবতে পারেন।অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট এর সৌজন্যে ইংরেজি ও মূল ধারার অনেক বই অনলাইনে পাওয়া গেলেও বাংলা বইয়ের ক্ষেত্রে এ সুযোগ এখনো কম।

বিশেষতঃ পুরনো বাদুস প্রাপ্য বাংলা বই অনলাইনে পাওয়াই যায় না। অথচ কলেজ স্ট্রিট এলাকাতেই খুঁজলে বহু এরকম দুষ্প্রাপ্য বাংলা বইয়ের সন্ধান মিলে। কলেজ ট্রিট যদি আপনার নখ দর্পণে থাকে এই ব্যবসা আপনার জন্য। নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ফেসবুকের মাধ্যমে এই ব্যবসা করতে পারেন। অর্ডার অনুযায়ী পৌঁছে দিন ক্রেতার বাড়িতে বই।

প্রচুর বই কিনে ব্যবসা শুরু করার দরকার নাই। অর্ডার এলে বই সংগ্রহ করে পৌঁছে দিন ক্রেতার হাতে।এতে আপনার পুঁজির বেশি প্রয়োজন পড়বে না। অল্প পুজি দিয়ে সামান্য বই সংগ্রহ করে আপনি ক্রেতার বাসায় বই পৌঁছে দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে সার্ভিস ভালো দিতে হবে যেন কেটা সন্তুষ্ট হয়। তাহলে আপনার ব্যবসা লাভজনক হবে।

ওয়েডিং প্লানের ব্যবসা

ওয়েডিং প্ল্যান এর ব্যবসা বর্তমান সময়ে খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। বর্তমান সময়ে মানুষ ঝামেলা নিতে চায় না। বিয়ে বাড়ি ভাড়া করা থেকে ডেকোরেশন, খাওয়া-দাওয়া থেকে বিয়ের কার্ড ছাপানো,কনের সাজ থেকে ফটোগ্রাফি বিয়ের অনেক কাজ থাকে। আজকের ছোট পরিবার আর ব্যস্ততার যুগে এসব কাজ সুষ্ঠভাবে করার লোক কমে আসছে।

এই বিশেষ দিনটির অনুষ্ঠানিকতা নিয়ে কেউ কোন কমতি রাখতে চাই না। আপনি যদি কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী তাদের কাজ করে দিতে পারেন এবং কাস্টমারকে খুশি করতে পারেন আপনার কাজ দিয়ে তাহলে আপনার ব্যবসা খুব ভালো চলবে। এজন্য আপনাকে একটা ওয়েবসাইট খুলতে হবে এবং ভালো যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখতে হবে কাস্টমারের সাথে।

গ্রাফিক ডিজাইন করে ব্যবসা

গ্রাফিক ডিজাইন করে ব্যবসা করা বর্তমান সময়ে খুবই চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজ। চাকরির চেয়ে নিজের ব্যবসায় বেশি আয় করেন গ্রাফিক ডিজাইনাররা। কম্পিউটার আর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার থাকলে ১০০০০ টাকায় ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোন অফিসের প্রয়োজন নেই আপনি ঘরে বসেই ব্যবসা করতে পারেন।

অল্প-পুঁজিতে লাভজনক-ব্যবসা

ঘরে বসেই অর্ডার পেতে পারেন অনলাইনে অথবা চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যাদের নিয়মিত গ্রাফিক ডিজাইনিং এর  কাজের প্রয়োজন।  বর্তমানে ডিজিটাল যুগে গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজের সুযোগ প্রচুর। আপনি ঘরে বসে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করে ব্যবসা করে লাভবান হতে পারেন খুব সহজেই।

আরও পড়ুনঃ রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার উপায়

ভাষা অনুবাদের ব্যবসা

ভাষা অনুবাদের ব্যবসা খুবই স্মার্ট একটি ব্যবসা। এক্ষেত্রে আপনার সেরকম কোন পুঁজির প্রয়োজন পড়বে না শুধুমাত্র আপনার দক্ষতার প্রয়োজন। দুটি বা তার বেশি ভাষা জানা থাকলে অনুবাদের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। পৃথিবী জুড়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের অনুবাদের প্রয়োজন পড়ে তা হতে পারে আইনি কাগজ বা মেডিকেল নথি অথবা মোবাইল অ্যাপ বা গেমিং।

এছাড়াও পাওয়া যায় সিনেমা বা টিভি সিরিজের সাবটাইটেল অনুবাদ করার কাজ। প্রতিটির জন্য নির্দিষ্ট কিছু দক্ষতা থাকা প্রয়োজন আর সেই বিষয়ের শব্দের সম্পর্কে জ্ঞান। এ ব্যবসা করে ঘরে বসে ইন্টারনেটে আয় করতে পারবেন ভালই পরিমাণ। অনুবাদ এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে নিয়মিত কাজ পাওয়া যাবে। এভাবে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করতে পারেন।

বিউটিশিয়ান ও মেকআপ আর্টিস্ট ব্যবসা

বিউটিশিয়ান ও মেকআপ আর্টিস্ট ব্যবসা বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয়। উপযুক্ত দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ থাকলে অল্প পুজিতে এ ব্যবসা করা সম্ভব। প্রথমেই কিনে ফেলুন প্রাথমিক সেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ। বাড়িতে গিয়ে ফেসিয়াল, পেডিকিউর, ম্যানিকিউর, অয়েল ম্যাসাজ এর মত সেবা দিন ক্রেতাকে। 

অনেকে বিউটি পার্লারে না গিয়ে বাড়িতে এ সমস্ত সেবা পেতে পছন্দ করেন। সেবার মান ভালো হলে লোকমুখেই প্রচার হবে। তৈরি করতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটও। আপনি যদি সাজাতে পছন্দ করেন তাহলে এই ব্যবসা আপনার জন্য। কনে সাজানো থেকে পার্টি মেকআপ অথবা নাচ বা অন্যান্য অনুষ্ঠান ডাক পেতে পারেন বিভিন্ন জায়গা থেকে।

লেখক এর মন্তব্য

অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করার অনেক উপায় উপরে আলোচনা করলাম। উপরের আলোচনা থেকে যে কোন বিষয় নিয়ে আপনি অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনার ইচ্ছায় এবং আগ্রহ থাকলে অল্প পুঁজি দিয়ে উপরে আলোচনা কৃত ব্যবসাগুলো করে আপনি সহজে লাভবান হতে পারেন।

এই ধরনের ব্যবসা গুলো করতে আপনাকে খুব বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে না শুধুমাত্র আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি ব্যবসা করতে পারেন এবং লাভবান হতে পারেন।এসব ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনার পুঁজি হবে আপনার দক্ষতা এবং শ্রম যা আপনি সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আপনার ব্যবসার উন্নয়ন ঘটাতে পারেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Abdus Sabur
    Abdus Sabur ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ এ ৪:৪৭ PM

    অনেক কিছু জানতে পারলাম, ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর এস ড্রিমস ব্লগেনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url