কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
মিল্কশেক এর ১০টি উপকারীতা ও অপকারীতাকলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে পাঠককে তথ্য দেওয়ার জন্য আজকে আমার এই আর্টিকেল।আমরা অনেকেই কলা খাই কিন্তু কলা খাওয়ার আসলে উপকারিতা ও অপকারিতা কি এই সম্পর্কে সঠিক তথ্য আমরা অনেকেই জানিনা।
তাই কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যদি সঠিক তথ্য জানতে চান তাহলে
আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। তাহলে চলুন পাঠক বন্ধুরা আমরা আজকে জেনে
নেই আমরা যে কলা খায় তার উপকারিতা এবং অপকারিতা কতটুকু।
পেজ সূচীপত্রঃ কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
- কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
- সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
- রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- কলার পুষ্টিগুণ উপাদান
- কলা খাওয়ার নিয়ম
- দুধ ও কলা খাওয়ার উপকারিতা
- কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
- লেখক এর মন্তব্যঃ কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে না জেনেই আমরা কলা খাই। কলা
খুবই একটি কমন খাবার এবং সর্বত্র পাওয়া যায়। কলা যেহেতু আমরা বেশিরভাগ
মানুষই পছন্দ করি সেহেতু আমরা যদি কলার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেই খাই তাহলে আরও
বেশি ভাল হয়। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কলা খেলে আমাদের কি উপকার এবং অপকার
হবে। আপনাদের সুবিধার জন্য কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে নিচে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
উপকারিতাঃ কলা একটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার। এটা আমাদের
শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটা শুধু স্বাস্থ্যের জন্য না ত্বকের জন্যও
অনেক উপকারি। আপনি যদি নিয়মিত কলা খান নিয়ম মেনে তাহলে আপনি অনেক ভালো
উপকার পাবেন।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ কলাতে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। কারো যদি হজমে সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত কলা খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ঃ নিয়মিত কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করেঃকলায় আয়রন রয়েছে যা হিমোগ্লোবিন উৎপাদন করতে সাহায্য করে একটি এটি রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমাতে কার্যকর।
- ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ কলা ওজন কমাতে সাহায্য করে কারণ কলা খেলে ক্ষুধা কম লাগে যা ওজন কমাতে সহায়ক।
- শরীরে শক্তি যোগায়ঃ কলা আমাদের শরীরে শক্তি যোগায়।কলায় থাকা কার্বোহাইড্রেট এবং প্রাকৃতিক চিনি শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ কলাতে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। নিয়মিত কলা খেলে আমাদের টক সুন্দর হবে।
- চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিঃ কলা খেলে যেমন আমাদের টক সুন্দর হয় তেমনি চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়। কলার প্যাক তৈরি করে চুলে লাগালেও চুল অনেক সুন্দর হয়।
অপকারিতাঃ কলার উপকারিতার পাশাপাশি বেশ কিছু অপকারিতা রয়েছে। সব
জিনিসেরই উপকারিতা এবং অপকারিতা রয়েছে কলার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। আমরা যদি নিয়ম
মেনে সঠিক ভাবে কলা খায় তাহলে সেখান থেকে উপকার পাবো। আর যদি অনিয়ম করি
বেশি বেশি কলা খায় তাহলে আমাদের কলা খেয়ে উপকারিতার চেয়ে অপকারিতায় বেশি
হবে।
আরো পড়ুনঃ টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- ওজন বৃদ্ধি করেঃ কলা বেশি খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কারণ কলাতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি ও কার্বোহাইড্রেট যা ওজন বাড়াতে সহায়ক।
- ডায়াবেটিস বাড়ায়ঃ কলাতে যেহেতু প্রাকৃতিক চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে সেতু ডায়াবেটিস রোগী যদি বেশি কলা খায় তাহলে ডায়াবেটিসের পরিমাণ বেড়ে যায়।
- গ্যাসের সমস্যা বাড়েঃ বেশি পরিমাণ কলা খেলে কারো কারো পেটে গ্যাস হয়। তাই যাদের পেটে গ্যাসের সমস্যা আছে তাদের কলা এড়িয়ে চলা উচিত।
- কিডনির সমস্যা বাড়েঃ যাদের কিডনি জনিত সমস্যা আছে তাদের কলা না খাওয়াই উচিত। কেননা কলাতে পটাশিয়াম থাকে যা কিডনি সমস্যা জনিত মানুষ সহ্য করতে পারে না।
সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
সকালে কলা খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। আমরা যদি নিয়মিত সকালে
সঠিক পরিমাণে কলা খায় তাহলে আমরা অনেক উপকার পেতে পারি। কলাতে কার্বোহাইড্রেট
রয়েছে সেজন্য সকালে কলা খেলে শরীরে শক্তি পাওয়া যায়। সকালবেলা কলা খেলে দিনের
শুরুটা উদ্যম নিয়ে করা যায়। কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমে
সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
কলায় পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে এবং
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কলা খেলে ক্ষুধা কম লাগে তাই বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে
যায় ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কলায় থাকা ট্রিপটোফ্যান ও ভিটামিন
বি-৬ মন ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ কমায়। কলায় থাকা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কলা একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। কারণ এটি
পাকস্থলীর এসিড নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে কলা খাওয়া উচিত
কিনা তা নির্ভর করে একজন ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর। সকালে নিয়ম করে পরিমিত
পরিমাণে কলা প্রতিদিন খেলে অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে।
রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে কিছুটা মতভেদ রয়েছে। রাতে কলা
খেলে কিছু মানুষের উপকার হয় আবার কিছু মানুষের ক্ষতি হয়। রাতে কলা খাওয়ার
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
উপকারিতাঃ কলায় থাকা ট্রিপ্টোফ্যান নামক অ্যামাইনো এসিড মস্তিষ্কে সেরেটোনিন উৎপাদন করে যা ভালো ঘুম আসতে সাহায্য করে। কলাতে প্রচুর ফাইবার থাকে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।কলায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। রাতে কলা খেলে দীর্ঘক্ষন ক্ষুধা না লাগায় এটি ধীরে ধীরে শরীরে শক্তি সরবরাহ করে।
অপকারিতাঃ রাতে বেশি পরিমাণে কলা খেলে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে গ্যাসের
সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।কলায় কার্বোহাইড্রেট এবং প্রাকৃতিক চিনি থাকে তাই রাতের
বেলা কলা খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। রাতে কলা খেলে রক্তের শর্করা
মাত্রা বেড়ে যায় ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রাতের বেলা কলা খাওয়া ঠিক না।
কলা ঠান্ডা প্রকৃতির তাই রাতে কলা খেলে সর্দি বা ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি বেড়ে যেতে
পারে। তাই যাদের ঠান্ডা সমস্যা আছে তারা রাতের বেলায় কলা না খাওয়াই ভালো।
রাতের বেলা কলা ধীর গতিতে হজম হয় তাই যাদের হজমে সমস্যা আছে তাদের জন্য রাতের বেলা
কলা না খাওয়াই ভালো। রাতে কলা খাওয়া উপকার নাকি অপকার এটা মূলত এক একজনের
স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে।
কলার পুষ্টিগুণ উপাদান
কলার পুষ্টিগুণ উপাদান নিয়ে বলার কোন অবকাশ নেই কারণ কলা একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ফাইবার ভিটামিন যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কলা শক্তি প্রধান উৎস এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা শরীরকে তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি যোগায়। কলা আর সমৃদ্ধ খাবার অর্থাৎ কলাতে ফাইবার রয়েছে যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ চিয়াসিডের উপকারিতা ও অপকারিতা
কলাতে রয়েছে ভিটামিন বি ৬ যা মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বাড়ায় এতে আরো রয়েছে
ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি
করে। উচ্চ মাত্রার পটাশিয়াম রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হার্ট
ভালো রাখতে সাহায্য করে। কলায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা পেশি ও স্নায়ুর
কার্যক্ষমতা বাড়ে।
কলাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে বিভিন্ন ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্যের প্রভাব থেকেও রক্ষা করে। কলাতে রয়েছে আয়রন যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি বা দুটি কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। স্বাস্থ্যকর খাবারের মেনুতে অবশ্যই আমাদের প্রতিদিন কলা রাখা উচিত।
কলা খাওয়ার নিয়ম
কলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা উচিত কেননা কলা একটি পুষ্টিকর ফল
হলেও যেভাবে খুশি সেভাবে খেলে সেটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে
পারে। তাই আমরা কলা যেহেতু খাব সেটি নিয়ম মেনেই খাব যাতে কলা খাওয়ার পর আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য উপকার হয়। নিচে কলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
কলা সকালের নাস্তায় খাওয়ার একটি উপযুক্ত সময় সকালের নাস্তায় কলা খেলে শরীর তাৎক্ষণিক শক্তি পাই এবং পেট ভরে থাকে। কলার সঙ্গে ওটস দুধ বা দই মিশিয়ে খাওয়া আরও স্বাস্থ্যকর। তাহলে এটি আমাদের সকালে একটি স্বাস্থ্যকর নাস্তা হবে। কলা খালি পেটে না খাওয়াই ভালো কেননা কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম যা খালি পেটে খেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তাই কলা অন্য খাবারের সঙ্গে খাওয়া ভালো।
ব্যায়াম করার আগে বা পরে কলা খাওয়া ভালো কেননা কলা খেলে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া
যায়। রাতে হালকা কিছু খেতে চাইলে কলা খাওয়া ভালো এটি ঘুমের জন্য উপকারী। তবে
বেশি পরিমাণ কলা রাতে খাওয়া যাবেনা কারণ এটি হজমের সমস্যা হতে পারে। দিনে
এক থেকে দুটি কলা খাওয়ায় যথেষ্ট কেননা অতিরিক্ত কলা খেলে পটাশিয়ামের মাত্রা
বেড়ে গিয়ে শরীরের ঝুঁকি হতে পারে।
পাকা কলা হজমের সাহায্য করে তবে বেশি পাকা কলা খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে কারণ
পাকা কলাতে প্রাকৃতিক চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের
জন্য বেশি পরিমাণ পাকা কলা খাওয়া উচিত নয় কারণ পাকা কলা খেলে সুগারের মাত্রা
বেড়ে যেতে পারে। রান্না করে সবজি হিসেবে খাওয়া যায় যার ডায়েটের জন্য উপকারী।
সঠিক নিয়মে কলা খেলে এটি শরীরের জন্য শক্তি যোগায় হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং
সবমিলিয়ে স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
দুধ ও কলা খাওয়ার উপকারিতা
দুধ ও কলা খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না কারণ দুধ একটি পুষ্টিকর খাবার এবং কলা ও একটি পুষ্টিকর খাবার দুইটি পুষ্টিকর খাবার একসাথে মিলে পুষ্টির দ্বিগুণ হয়ে যায়। দুইটি পুষ্টিকর খাবারের সমন্বয় যা শরীরের জন্য অনেক উপকার। দুধে প্রোটিন থাকে এবং কলাতে কার্বোহাইড্রেট থাকে দুটো একসাথে মিলিয়ে অত্যন্ত উপকারী হয় যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়।
দুধ এবং কলার মিশ্রণ ব্যায়াম করার পর খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। যারা শারীরিকভাবে দুর্বল বা ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য দুধ কলার মিশ্রণ একটি অত্যন্ত উপকারী খাবার। এটি শরীরে ক্যালরি ও পুষ্টি উভয়ই সরবরাহ করে। দুধে ক্যালসিয়াম এবং কলাতে পটাশিয়াম থাকে যা হাড়ের গঠন মজবুত করে। এটি শিশু এবং বৃদ্ধ উভয়ের জন্য উপকারী।
কলায় থাকা ফাইবার এবং দুধের প্রবায়োটিক উপাদান হজম শক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। দুধের ভিটামিন ডি এবং কলার ভিটামিন সি একত্র হয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি ঠান্ডা সর্দি এবং বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে। দুধে থাকা প্রোটিন এবং কলায় থাকা পটাশিয়াম পেসি গঠনে সাহায্য করে। এটি অ্যাথলেট এবং পেসি গঠন যারা করতে চায় তাদের জন্য উপযুক্ত।
দুধ কলার মিশ্রণ ট্রিপ্টোফ্যান নামক অ্যামাইনো এসিড সরবরাহ করে যা মানসিক চাপ কমিয়ে আরামদায়ক ঘুম আসতে সাহায্য করে। সকালে নাস্তার সাথে বা বিকালে কলা খাওয়ার উপযুক্ত সময়।প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সঙ্গে একটি থেকে দুটি কলা মিশিয়ে খেতে পারলে এটি অনেক বেশি উপকারী।ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য দুধ এবং কলার মিশ্রণ খাওয়ার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।
কেননা দুধে প্রাকৃতিক চিনি এবং কলাতেও প্রাকৃতিক চিনি ও কার্বোহাইড্রেট থাকে যা ডায়াবেটিস বাড়াতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণ দুধ কলার মিশ্রণ খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই আমরা অতিরিক্ত পরিমাণ না খেয়ে দুধ ও কলার সঠিক সমন্বয়ে সঠিক পরিমাণ খাবো। দুধ ও কলার সঠিক সমন্বয়ে তৈরি খাবার আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটা খাবার।
কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা ও অনেক। পাকা কলাতেও যেমন আমাদের অনেক
স্বাস্থ্যকরী উপকারিতা রয়েছে তেমনি কাঁচা কলাতেও রয়েছে। তবে সবকিছুই সঠিক
পরিমাণে খাওয়া উচিত বেশি খেলে এটা ক্ষতিকর হতে পারে। উপকারিতার পাশাপাশি
অতিরিক্ত খেলে এতে অপকারিতা হতে পারে। নিচে কাঁচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
আলোচনা করা হলোঃ
উপকারিতাঃ কাঁচা কলা ভিটামিন এ সি বি সি এবং ফাইবারে ভরপুর একটি খাবার। এটি
শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। কাচা কলায় থাকা ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কাঁচা কলাতেও পটাশিয়াম রয়েছে যার রক্তচাপ স্বাভাবিক
রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা কলায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম যা ডায়াবেটিস রোগীদের
জন্য উপযোগী।
আরো পড়ুনঃ মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা
কাঁচা কলায় বিদ্যমান ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে যা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা
কমায় ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের
ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা কলাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা
আমাদের শরীরের রক্তশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে। যাদের শরীরে রক্ত কম তারা নিয়মিত
কাঁচা কলা খেতে পারেন।
অপকারিতাঃ অতিরিক্ত কাঁচা কলা খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা হতে পারে এবং পেট ফাঁপার
সমস্যা হতে পারে। কাঁচা কলায় অনেকের এলার্জি থাকতে পারে যাদের কাঁচা কলায়
এলার্জি রয়েছে তারা কাঁচা কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। শুধুমাত্র কাঁচা কলার
ওপর নির্ভর করে খাদ্যাভ্যাস তৈরি করলে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে।
লেখক এর মন্তব্যঃ কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
কলার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে উপরে অনেক আলোচনা করা হয়েছে যা আপনারা ইতিমধ্যেই
পড়েছেন। কলা একটি অত্যন্ত উপকারী এবং পুষ্টি সম্পন্ন খাবার যা আমাদের
শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কলা ছোট বড় সকলেরই পছন্দ এবং আমরা সব সময় কলা
খায়। কলার অনেক উপকারিতা থাকলেও এর বেশ কিছু অপকারিতাও রয়েছে।
কলা খাওয়া আমাদের জন্য উপকারী তবে সেটা নিয়ম মেনে খেতে হবে। কারণ অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না আমরা যদি নিয়ম মেনে কলা খাই তাহলে কলা থেকে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার পেতে পারি। কিন্তু আমরা যদি নিয়ম মেনে সঠিকভাবে কলা না খায় তাহলে সেই কলা খেয়ে আমাদের উপকারের চাইতে অপকারই বেশি হবে।
আর এস ড্রিমস ব্লগেনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url